সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায়

সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায় এই বিষয়ে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে। চলুন তাহলে আমরা জেনে নেই সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায়। এবং সিজারের কতদিন পর সিজারিয়ান রোগী সুস্থ হয়। 

সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায়


সাধারণত সিজারিয়ান মায়ের অপারেশনের পর তার সেলাই শুকাতে কিছুটা সময় লাগে। এটা তার শারীরিক কন্ডিশনের উপর নির্ভর করে। কারো কারো একটু বেশি সময় লাগে সেলাইয়ের ক্ষত শুকাতে। 

সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায়

সাধারণত নরমাল সিজারিয়ান অপারেশনের পর 6 থেকে 8 সপ্তাহ লাগে রোগীর সেলাইয়ের ক্ষত শুকাতে। একজন সিজারিয়ান রোগীর সিজারের পরে সঠিক পরিচর্যা এবং পরামর্শ প্রয়োজন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সঠিক পরামর্শ অনুযায়ী একজন সিজারিয়ান রোগী চলে না। এ কারণে অধিকাংশ সিজারিয়ান রোগীর জটিলতা সৃষ্টি হয়। 

প্রথমত একজন সেজেরিয়ান মাকে অবশ্যই সুষম খাবার খেতে হবে। এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কোন অবস্থাতেই প্রস্রাব আটকে রাখা যাবে না। এবং একজন সেজারিয়ান মায়ের রাতে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা এবং দিনে কমপক্ষে দুই ঘন্টা ঘুমাতে হবে। সর্বমোট 10 ঘন্টা বিশ্রাম করতে হবে। 

অনেকে আবার বাচ্চার জন্য রাতে ঠিকমতো বিশ্রাম নিতে পারেনা এবং সেজন্য তার ঘুমে ঘাটতি হয়ে যায়। এ কারণে শরীর দুর্বল থাকে এর জটিলতার সৃষ্টি হয়। অনেকে সিজারের পর একটু সুস্থ হলেই ভারী কাজ করা শুরু করে। যার ফলে সেলাইয়ের কত শুকাতে দেরি হয় এবং অনেক সময় ইনফেকশন হয়ে যায়। 

তাই অবশ্যই মনে রাখতে হবে সিজারের পর তিন মাস কোন অবস্থাতেই ভারী কাজ করা যাবে না। তবে সে ক্ষেত্রে স্বাভাবিক যে কাজকর্ম রয়েছে তা করতে পারবে। ড্রেসিং খোলার পর নিয়মিত গোসল করতে হবে এবং ক্ষতস্থানে সাবান এবং পানি দিয়ে নির্মিত ধুয়ে নিতে হবে এবং এন্টিসেপটিক লাগাতে হবে।

অনেকের মাঝে এমন একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে সিজারের পর কত স্থানে কোন অবস্থাতেই সাবান পানি লাগানো যাবে না। এই ধারণাটি দূর করতে হবে। এবং প্রতিদিন অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে ক্ষতস্থানে ড্রেসিং করতে হবে। এবং ড্রেসিং এর পর প্রতিদিন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। এন্টিবায়োটিক মলম ব্যবহার করতে হবে। 

অনেকের এলার্জিজনিত সমস্যার কারণে ক্ষতস্থানে চুলকানি হয়। এবং একটু চুলকালেই তরল জাতীয় কসের মতো বের হয়। এরকম জটিলতা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

বর্তমানে অধিকাংশ সিজার কসমেটিক সার্জারি করা হয়। এবং কসমেটিক সার্জারির ফলে এই ধরনের জটিলতা কম হয়। 

সিজারের পর সুস্থ হতে কত দিন সময় লাগে

সাধারণত সিজারের পর সুস্থ হতে রোগীর সাত দিন সময় লাগে। অর্থাৎ সিজারের পর ৭ দিনের মধ্যে রোগী স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা করতে পারবে। তবে কোন অবস্থাতে কোন ভারী জিনিস তুলতে বা বহন করতে পারবে না। এবং ভারী কোন কাজ করতে পারবে না। এবং সিজারের ঘা বা সেলাইয়ের ক্ষত শুকাতে কমপক্ষে আর দুই থেকে আড়াই মাস সময় লাগে। 

সিজারের পর কি কি খাবার খাওয়া উচিত নয়

সিজারের পর অবশ্যই আস যুক্ত খাবার এবং ফল খেতে হবে। এছাড়াও ডাল মটরশুটি সবুজ ছোলা স্ট্রবেরি মিষ্টি। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। অনেকেই মনে করেন টক জাতীয় খাবার খেলে ক্ষতস্থানে ইনফেকশন হয়।  কিন্তু এই বিষয়টি মোটেও ভিত্তি নেই। তবে অবশ্যই সিজারিয়ান রোগী কোন অবস্থায় তেতুল বা মারাত্মক টক জাতীয় খাবার খাবেন না। 

একজন সিজারিয়ান রোগীর কতদিন ব্যথা থাকে

একজন সিজারিয়ান রোগীর অপারেশনের পর প্রথম দিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত ব্যথা অনুভব হয়। এবং মোটামুটি সম্পূর্ণ ব্যথা নিরাময় হওয়ায় জন্য ১৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। তবে মনে রাখতে হবে কোন অবস্থাতেই এই সময়ের মধ্যে ভারী বস্তু বহন করা যাবে না। 


প্রিয় পাঠক আশা করি আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে সিজারের পরবর্তী যে সমস্ত জটিলতা রয়েছে সে সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। 
Next Post Previous Post