বাংলাদেশের পিত্তথলির পাথর অপারেশনের খরচ কিরকম কি এ বিষয়ে সবারই ধারণা নেওয়া উচিত। পিত্তথলিতে পাথর বা গলব্লাডার এর এ রোগে প্রায়ই বয়স্ক মানুষই আক্রান্ত হয়ে থাকে। তবে ত্রিশের পর থেকে বেশিরভাগ মানুষরাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। নারী পুরুষ উভয়ই এই পিত্তথলির পাথরের বা গলব্লাডার রোগে আক্রান্ত হয় বেশি।
বাংলাদেশে পিত্তথলির পাথর অপারেশনের খরচ।
বাংলাদেশের নারী পুরুষ উভয়েই মানসী এই পিত্তথলির পাথর বা গলব্লাডারের যাকে বলা হয় এই রোগে আক্রান্ত হয় বেশি। অনেক সময় এই রোগে পিত্তথলির পাথরঅপারেশন এর প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশে পিত্তথলির পাথর অপারেশনের খরচ কিরকম কি এই বিষয়ে জানতে অনেকেই ইচ্ছুক।
তাদের জন্যই বলছি আসলে বাংলাদেশে পিত্তথলি পাথরে অপারেশনে কিরকম কি খরচ হবে সেটা নির্ভর করবে ডাক্তারের উপরে। কারণ সব সময় সব রোগী শারীরিক কন্ডিশন একরকম থাকে না। অনেক ক্ষেত্রে অনেক রোগীর তার রোগ অনুসারে অনেক ধরনের টেস্ট দিতে হয়। যে টেস্ট আর দশটা সাধারণ রোগীর নাও লাগতে পারে।
তাই একাকৃষ্ট এক. আধ ধর্, টেস্টের বিভিন্ন ধরনের খরচ আছে। তাছাড়া হসপিটাল অথবা ক্লিনিকে ভাড়া এক এক রকম। দেখা যায় যে এক এক জন ডাক্তারের ওটি ফি এক এক ধরনের চেয়ে থাকে।আমার সরকারি হসপিটালে যদি আপনি আপনার পিত্তথলি পাথরের অপারেশন করাতে চান তাহলে আপনার খরচ একটু কম হবে।
তবে আপনি যদি কোন প্রাইভেট ক্লিনিক অথবা প্রাইভেট হসপিটাল ধারা অপারেশন করাতে চান তাহলে আপনি সরকারি হাসপাতালের যে খরচ ওই অনুসারে প্রাইভেট ক্লিনিক, ও প্রাইভেট হসপিটালে সরকারি খরচের মত, কম খরচে পিত্তথলির পাথর অপারেশন করাতে পারবেন না। কারণ প্রাইভেটভাবে পিত্তথলির অপারেশন করাতে গেলে অবশ্যই আপনার খরচটা একটু বেশি হবে।
তবে আমি এখানে একটা সাধারণ অনুমানের উপর ভিত্তি করে খরচে হিসাব বলছি। তবে আগে বলিনি আমার এই পিত্তথলি পাথরের অপারেশনের খরচে এই খরদী হবে তেমনটা কিন্তু না। এর উপরে আপনি আপনার অপারেশন খরচ ভিত্তি করবেন না।
মিনিমাম আপনি যদি পিত্তথলির অপারেশন করাতে চান তাহলে নিম্ন হলেও আপনার 30000 টাকা এর মত লাগতে পারে এমনকি তার বেশিও লাগতে পারে।
তাই যদি কোন রোগীর পিত্তথলির পাথর বা গলব্লাডারের স্টোন অপারেশন পর্যায়ে যদি যেয়ে থাকে। তাহলে অবশ্যই আমাদের এই লেখার উপর ভিত্তি করবেন না। আপনি বরং চিকিৎসক বা হসপিটাল কর্তৃপক্ষের কাছে সঠিকভাবে বিস্তারিতভাবে জেনে নেবেন। সেটাই আপনার জন্য সবথেকে ভালো হবে।
পিত্তথলির পাথর।
নারী-পুরুষ উভয়েই পিত্তথলি র ও গলব্লাডর স্টোনের রোগে ভুগে থাকেন। তবে নারীদের পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিটা বেশি থাকে। অনিয়মিত জীবনযাপনের জন্য এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে মানুষ খুবই বেশি। পিত্তথলিতে পাথর বলতে বুঝায় যে।
পিত্তের থলিতে মোটরের দানা বা তার চেয়ে বড় শক্ত দানাদার বস্তু, যা বিভিন্ন রঙের বা আকৃতির হতে পারে। এটি নির্ভর করে কি পদার্থ দিয়ে পাথরে পরিণত হয় তার উপর।
পিত্তথলিতে বিভিন্ন কারণে ইনফেকশন হয়ে গোল গোল দানা হয়ে শক্ত পাথরের পরিণত হয়, বলেই একে পিত্তথলির পাথর বলা হয়।
পিত্তথলির পাথরের লক্ষণ।
পিত্তথলিতে পাথর হলে আপনি কিভাবে বুঝতে পারবেন এবং পিত্তথলিতে পাথরের লক্ষণ গুলো কি কি। এই বিষয়সমূহ গুলো নিম্নে সুন্দরভাবে উল্লেখ করা হলো -
১ পিত্তথলিতে পাথর হলে রোগীর খেয়াল রাখতে হবে এক্ষেত্রে পেটের ডান দিকে তীব্র ব্যথার সাথে সাথে বমি বমি ভাব হবে।
২ গা গলানো ও বমি বমি লাগতে পারে লাগতে পারে।
৩ পিত্তথলিতে পাথরের কারণে শরীরের তাপমাত্রাও বেড়ে যেতে পারে।
৪ পিত্তথলিতে যদি পাথর হয় যদি দেখেন আপনার প্রসাবে সমস্যা দেখা দিচ্ছে তাহলে মোটামুটি ধারণা করে নিতে হবে যে আপনি পিতথলি তে পাথরের রোগে আক্রান্ত।
৫ অনেক সময় পেটের পিছনে দিকে পেটের মাছ বরাবর এমনকি বুকের ভিতরেও ধীরে ধীরে ব্যথা অনুভব হবে। তার সাথে সাথে বমি বমি ভাবও হবে।
উপরোক্ত লক্ষণগুলো যদি আপনি আপনার মাঝে দেখতে পান তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।
পিত্তথলিতে পাথর কেন হয়।
পিত্তথলিতে পাথর কেন হয় এটা আমাদের সকলের জানা উচিত।
রক্তের কোলেস্টেরল বা বিলিরুবিনের মাত্রা যখন বৃদ্ধি পায় তখন পিত্তরস ক্ষরণে বাধা হয়ে থাকে। পিত্ত রস পিত্তথলিতে ছোট ছোট কণার মতো জমে তারপর পাথরের মত তৈরি করে।
আর এসব হওয়ার কারণ হলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
> না খেয়ে থাকা অসময়ে খাবার খাওয়া
> কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে না থাকা
> নারীরা যদি প্রচুর পরিমাণে গর্ভনিরোধক পিল সেবন করে। এমন নারীদের ক্ষেত্রেও হতে পারে পিত্তথলিতে পাথর।
> হরমোনার অসুখ
> বেশি পরিমাণে জর্দা ও তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবন করার কারণে হতে পারে।
পিত্তথলিতে পাথর হলে করণীয়।
পিত্তথলিতে পাথর হলে আমাদের যা করণীয় সেগুলো হল-
পিত্তথলিতে পাথর হলে যে লক্ষণ গুলো উল্লেখ করা হলো সেসব লক্ষণ যদি আপনি আপনার মাঝে দেখতে পান। তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাবেন। আর চিকিৎসক আপনাকে যেভাবে ওষুধ সেবন করতে দেবে ও যে নিয়ম-কানুন অনুসারে আপনাকে চলতে বলবে অবশ্যই আপনি সেইগুলো অনুসরণ করে চলবেন।
পিত্তথলিতে পাথর আপনার যদি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে তাহলে। পাথরের পরিমাণ যদি নরম ও ছোট থাকে তাহলে এন্টিবায়োটিক ও ওষুধের মাধ্যমে আপনার কমে যেতে পারে।
পিত্তথলির পাথর গলানোর উপায়।
পিত্তথলিতে পাথর গলানোর উপায় বিষয় যদি আমি বলি। , তাহলে আমি এটাই বলব যে এটার পরামর্শ একমাত্র আপনাকে ডাক্তারি দিতে পারবে। কারণ আপনার পিত্তথলির পাথর কোন পর্যায়ে আছে। সেটা ওষুধে কমবে কিনা। বা অপারেশনে এর মাধ্যমে ফেলে দিতে হবে কিনা। এটা নির্ধারণ করবে একমাত্র ডাক্তারি।
তবে বর্তমানে দেখা যায় অনেক পিত্তথলিতে পাথরে আক্রান্ত রোগীরা আছেন। যারা কবিরাজ, ওঝা,ক্যানভাসার সহ আরো বিভিন্ন ভুয়া চিকিৎসার শরণাপন্ন হয়ে থাকেন।
তাদের জন্য বলছি আপনারা ভুলেও এই কাজটি করবেন না। কারণ যদি আপনার পিত্তথলিতে পাথর হয়ে যায় তাহলে আল্লাহতালা ও ডাক্তার এর চিকিৎসা ছাড়া নিরাময় হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
আর আপনি যদি এটা গুরুত্ব না দিয়ে কোন ভুয়া চিকিৎসা গ্রহণ করেন। তাহলে আপনার এই রোগ একদিন আপনাকে মৃত্যুর কাছে নিয়ে যাবে। তাই অবশ্যই পিত্তথলিতে পাথর দেখলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই।
পিত্তথলির পাথরের ঘরোয়া চিকিৎসা।
পিত্তথলিতে পাথর ধরা পড়লে এর ঘরোয়া কোন চিকিৎসা নেই। এর চিকিৎসা একমাত্র ডাক্তার আপনাকে দিতে পারবে। তবে পিত্তথলিতে পাথর হলেত অপারেশন করতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে।
আর আপনি অপারেশন রাত পর্যন্ত, সুষম ও ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। খাবার ঘুম গোসল নিয়মিত করবেন।
আশা করি আপনারা আমার বাংলাদেশের পিত্তথলির পাথর অপারেশনের খরচ সমহসহ পিত্তথলিতে পাথর বা গলব্লাডারে স্টোন এই রোগের সম্পর্কে অনেক কিছুই আপনাদের আমি জানাতে পেরেছি। এরকম আরো বিষয় আপনাদের জানানোর চেষ্টা করে থাকব। ইনশাআল্লাহ-