ব্রেস্ট টিউমার মানেই কি ক্যান্সার কি না ? এই প্রশ্নটা আমাদের সবার মাঝেই থাকে। আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক বাংলাদেশে প্রতি বছরই প্রায় ১৫ হাজার মানুষ ব্রেস্ট ও স্তন্ ক্যান্সার আক্রান্ত হচ্ছে। আজকে আমাদের এই আর্টিকেলে বিষয় হলো ব্রেস্ট টিউমার মানে কি ক্যান্সার কিনা। তাই আজ আমি এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব চলুন শুরু করা যাক।
ব্রেস্ট টিউমার মানেই কি ক্যান্সার?
স্তন টিউমার ও ক্যান্সার এই বিষয়টি নিয়ে সকলেই আমরা চিন্তিত থাকি।
স্তন টিউমার আর এক না। চিকিৎসকদের মতে টিউমার সাধারণ ভাবেই ব্রেস্টে ও স্তনে আক্রান্ত হয়। যদি টিউমার সাধারণ টিউমার হয় তাহলে চিকিৎসকে ওষুধ অপারেশনে ভালো হয়। যদি আপনার টিউমার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে তাহলে আপনি যদি চিকিৎসকের কাছে যান আর ওষুধ সেবন করেন তাহলে আপনার টিউমার থেকে মুক্ত হতে পারেন। আর যদি আপনি টিউমার বড় হয় আর যদি টিউমারের শাখা প্রশাখা ছড়িয়ে যায় তাহলে অপারেশনের মাধ্যমে আপনি ভালো হতে পারেন।
স্তন ক্যান্সার এবার আসি এই বিষয়ে। সাধারণ টিউমার থেকে কখনো ক্যান্সারে পরিণত হয় না। যে টিউমারটি আপনার ক্যান্সারে রূপ নেবে, তা ওই প্রথম থেকেই ছোট অবস্থা থেকেই টিউমারটি ক্যান্সারে রূপ নেয়। যদি আপনার এই স্তনে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়ে, তখন যদি আপনি তখনই অবস্থায় চিকিৎসকের আহথ ভুক্ত হন তাহলে ক্যান্সারের ভয়ংকর ছোবল থেকে আপনি রক্ষা পেতে পারেন।
কিন্তু আমরা স্তন টিউমার ও ক্যান্সার বেধারায় যাওয়ার পর আমরা চিকিৎসকের কাছে যেয়ে থাকি। অনেক রোগী এমন অবস্থায় চিকিৎসকের কাছে আসে। তখন আর চিকিৎসকের করণীয় থাকে না। তখন রোগী মৃত্যু দিকে ঢলে পড়ে।
ব্রেস্ট ও স্তন টিউমার কি?
মানবদেহের অন্যান্য অঙ্গের মতো কোষেরও স্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রক্রিয়া রয়েছে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে স্তনের কিছু কোষ অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। আর এই অস্বাভাবিক ও অনিয়ন্ত্রণ কোষ গুলোই একসময় মাংসপিণ্ড ও চাকায় পরিণত করে। স্তনে অস্বাভাবিকভাবে মাংস পিণ্ড ও চাকার মত হওয়ার কারণেই স্তন টিউমার বলে। আর এই রোগটি বেশিরভাগ নারীদের হয়ে থাকে। বাংলাদেশে অধিকতার নারী প্রতিবছর কি স্তন টিউমারের আক্রান্ত হন।
স্তন টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ গুলো।
> স্তন টিউমার সবথেকে প্রধান লক্ষণসমূহ হলো স্তনে মাংস পিন্ডের মতো থাকার হওয়া। স্থান টিউমার রোগীর স্তনে অস্বাভাবিক আকারে পরিবর্তন দেখা। স্তন শক্ত অনুভব করা।
> স্তনের বোটাতে অস্বাভাবিক ভাবে পরিবর্তন দেখা। বোটা শক্ত হয়ে যাওয়া, ব্যথা অনুভব করা, ও ভিতরে ঢুকে যাওয়া।
> স্তনের যেকোনো নির্দিষ্ট জায়গায় অধিকতারে চুলকানি হওয়া। এবং নির্দিষ্ট কোন জায়গার চামড়ার রং পরিবর্তন হয়ে যাওয়া।
> তাছাড়া সব রোগী নিজেই এতই ধরনের সিমটম দেখা দিবে এমনটা না। অনেকের অধিক পরিমাণে স্তনে ব্যথা হওয়া, বোটা তে ঘা হওয়া , ফুলে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণসমূহ দেখা দিতে পারে।
উপরোক্ত লক্ষণ সমূহ দেখা দিলে অবশ্যই আপনারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। এবং স্তন
টিউমারের বিষয় সচেতন থাকবেন।
বিশ্বে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট এর গবেষকদের মতে উঠে এসেছে যে, বাংলাদেশে ব্রেস্ট ও স্তন টিউমার ও ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীরা একেবারে শেষ সময়ে চিকিৎসকের কাছে আসে। যে কারণে প্রতিবছরই স্তন টিউমার ও ক্যান্সারের রোগী বেড়ে ব্যাপক ভাবেই বেড়েই চলেছে।
স্তন ও ব্রেস্ট ক্যান্সার কি চিকিৎসায় ভালো হয় ?
স্তন ক্যান্সার চিকিৎসা মাধ্যমে ভালো হয় তবে যদি স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায় যদি ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ৩৫ বছর থেকে বেশিরভাগ নারীদের মাঝেই এই ব্রেস্ট ও স্থান ক্যান্সার দেখা দেয়। যে কারণে বিশ্ব ক্যান্সার গবেষক সকরা গণনা করেছেন যে, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৫ হাজারের বেশি মানুষ স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। যার বেশি ভাব হল নারী।
স্তন ক্যান্সার মানেই মৃত্যু ও স্তন কেটে ফেলা?
স্তন ক্যান্সার মানেই স্তন কেটে ফেলা ও মৃত্যু নয়। ব্রেস্ট ও স্তন ক্যান্সারে চিকিৎসা জগতে মোটামুটি পরিবর্তন এসেছে। আপনার যদি আর্থিক সক্ষমতা বেশি থাকে, তাহলে ইন্ডিয়ার সহ বিদেশের উন্নতশীল দেশগুলোতে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের উন্নত মানের চিকিৎসা দিয়ে ক্যান্সার মুক্ত করার চেষ্টা করেন। তবে মনে রাখবেন আপনার ক্যান্সার যদি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক অবস্থায় সমাপ্ত হয় তাহলে আপনার ক্যান্সার থেকে মুক্ত পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।