চালের গুড়া দিয়ে ফেসিয়াল করার নিয়ম, অনেকেই আমরা তৈলাক্ত ত্বক এবং মুখে মেছতা, কালো দাগ সহ বিভিন্ন সমস্যা সম্মুখীন হয়ে থাকি। তাই এসব সমস্যায় যারা ভুক্তভোগী তাদেরকে নিয়ে কে আমার এই আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে।
চালের গুঁড়ো দিয়ে ফেসিয়াল করার নিয়ম।
তাহলে চলুন জেনে নিই চালের গুঁড়ো দিয়ে কিভাবে ফেসিয়াল করতে হবে। নিম্নে আমাদের দেওয়া হল কি কি উপকরণ দরকার চালের গুড়া ফেসপ্যাক তৈরি করতে-
১ প্রথমে একটি বাটিতে চার চামচের তিন চামচ চালের গুড়া। আপনার ভেজানো চালেরও হতে পারে অথবা কোন ভাঙানো চালু হতে পারে। তবে যে চালের গুড়াটাই আপনি ব্যবহার করেন না কেন খেয়াল রাখতে হবে তাহলে দ্রুত যেন ভালো ও ফ্রেশ হয়।
২ এক চামচ গরুর কাঁচা দুধ।
৩ মধু হাফ চা চামচ।
৪ এলোভেরা জেল এক চা চামচ।
৫ হালকা পরিমাণে কাঁচা হলুদ। যদি কারো কাছে কাঁথা হলুদ না থাকে তাহলে ফ্রেশ ও ভালো মানের হলুদের গুঁড়াও ব্যবহার করতে পারেন।
এগুলো সব একত্রিত করে মিক্স করবেন। একটা চামচের সাহায্যে বাড়িতে থাকা সকল উপকরণগুলো চালের সাথে মিক্স করবেন। কিছুক্ষণ মিক্স করার পর দেখবেন একটা খুব ভালো পেস্ট এর মত হয়ে গেছে।
তবে এই চালের গুড়ার ফেসপ্যাক টা তৈরি করার সময় যে উপকরণগুলো দেয়া হয়েছে তার সাথে কোনোভাবেই পানি মিক্স করা যাবে না। যদি দেখেন আপনার ফেসপ্যাক একটু ঘন হয়ে গিয়েছে তাহলে সামান্য পরিমাণের আবার একটু গরুর কাঁচা দুধ এড করে নিবেন।
চালের গুড়োর ফেসপ্যাক কিভাবে ত্বকে ব্যবহার করবেন।
চালের গুড়ুর ফেসপ্যাক ত্বকের ব্যবহার করার নিয়ম হলো। প্রথমে আপনি আপনার ত্বকটিকে সাবান অথ বা ফেস ওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নিবেন। তারপর একটি টাওয়াল অথবা গামছার দিয়ে ভালোভাবে মুছে নিবেন আপনার ত্বক।
তারপর বাটিতে থাকা চালের গুড়োর ফেসপ্যাকটি, একটি ফেসিয়াল ব্রাশের মাধ্যমে আপনার ত্বকে লাগাবেন। যদি ফেসিয়াল ব্রাশ না থাকে তাহলে আপনি হাত দিয়েও আপনার ত্বকে লাগাতে পারেন ফেসপ্যাক্টটি আপনার ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ মাসাজ করে নেবেন প্রায় ৭ থেকে ১০ মিনিট এর মত।
তারপর কিছুক্ষণ মাসাজ করার পর আপনি সফট কোন টাওয়াল অথবা টিস্যু এর মাধ্যমে চালের গুঁড়ো গুলো মুছে ফেলবেন।
আপনি যখন ৭ থেকে ১০ মিনিটের মত চালের গুঁড়ো পেস্টিংটি ত্বকে মাসাজ করবেন। তখন দেখবেন চালের গুড়ো গুলো সব শুকিয়ে গিয়েছে। ঠিক তখনই আপনি টিস্যু অথবা টাওয়াল এর মাধ্যমে অথবা কোন নরম কাপড়ের মাধ্যমে ত্বকটি সুন্দর করে মুছে নেবেন।
এরপর আপনি বাকি যে চালের গুরার ফেস প্যাকটি বাটিতে আছে সেগুলো হাত অথবা ফেসিয়াল ব্রাশের মাধ্যমে, খুব পাতলা করে আপনার ত্বকে ফেস আলতোভাবে লাগাবেন। লাগিয়ে প্রায়১৫ থেকে২০ মিনিটের মত অপেক্ষা করবেন
কিছুক্ষণ পর দেখবেন যে আপনার ত্বক ও স্কিনে একটা টান টান অনুভূতি হচ্ছে। যখন দেখবেন আপনার ত্বকের চালের গুড়া ফেসপ্যাকটি সম্পূর্ণ শুকিয়ে গিয়েছে। আর আপনি কথা বলতেও পারছেন না কথা বললে আপনার স্কিনে টানটান লাগে যখন এমনটা হবে তখন বুঝবেন যে আপনার ফেসপ্যাকটি পুরোপুরি শুকিয়ে গিয়েছে।
তখন আপনি পানি দিয়ে আপনার মুখের একটি ধুয়ে ফেলবেন। তবে যখন আপনার মুখ ধুতে যাবেন তখন একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। চালের গুরুর ফেস প্যাকটি মুখ থেকে ধুয়ে ফেলার আগে পানি দিয়ে আপনার ত্বকে থাকা চালের গুড়ো গুলো ভিজিয়ে নেবেন। ভেজানোর পর দেখবেন সেগুলো নরম হয়ে গিয়েছে। যদি আপনি পানি মুখে দিয়েই যদি ত্বকে জোরে করে হাত দিয়ে ধোয়ার চেষ্টা করেন তাহলে আপনার স্কিনের সমস্যা হতে পারে।
এই কারণে আগে পানি লাগিয়ে ফেসপ্যাকটিকে নরম করে দুই হাতের মাধ্যমে আলতো করে আস্তে আস্তে আবার মাসাজ করে করে পানি দিয়ে সুন্দর করে ও ভালোভাবে আপনার ফেস ধুয়ে ফেলবেন। তারপর আপনার ত্বক ও ফেইজে বরফ অথবা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করবেন।
চালের গুড়ো মুখে কতদিন ব্যবহার করলে ফর্সা হবে।
চালের গুঁড়ো মুখে কতদিন ব্যবহার করলে ফর্সা হবেন আপনি। আপনি যদি প্রতি সপ্তায় একবার করে এই চালের গুড়ো ফেসপ্যাক ব্যবহার করেন। এভাবে যদি আপনি তিন মাস প্রতি সপ্তায় একবার করে ব্যবহার করলে আপনি আপনার ত্বকের অনেক পরিবর্তন দেখতে পাবেন। আর আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। আর যে সকল সমস্যা আপনার ত্বকে ও ফেইজে আছে সেগুলো আর থাকবে না।
চালের গুঁড়ো মুখে ব্যবহার করলে উপকার কি?
চালের গুড়ো মুখে ব্যবহার করলে কি কি উপকারউপকার, আমরা এই বিষয় জেনে নিই-
চালের গুড়ো আপনি যদি আপনার মুখে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বকের মুখের কালো দাগ দূর করে, নাকের দুই পাশে মরা কোষ গুলো উঠে যায়, স্কিন তৈলকতো হয় না, আর এই চালের গুড়া কোন ক্ষতি হবে না। আপনার ত্বকে। কারণ এটা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ,এতে কোন কেমিক্যাল ও মেডিসিন নেই যা আপনার ত্বককে ক্ষতি করবে।
তাই আপনারা নিঃসন্দেহে এই চালের গুড়ো ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আপনি যদি এটি নিয়মিত আপনার মুখ অথবা ত্বকে ব্যবহার করেন আপনি অবশ্যই অনেক পরিবর্তন দেখতে পাবেন। ধন্যবাদ-