ডেঙ্গুতে প্লাটিলেট কমে গেলে করণীয়

ডেঙ্গুতে প্লাটিলেট কমে গেলে করণীয় কি।  প্রিয় পাঠক আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় হলো ডেঙ্গু হলে কেন আমাদের প্লাটিলেট  কমে যায়,  প্লাটিলেট  কি, এবং কি করনীয় ইত্যাদি সমূহ আলোচনা করব। তাহলে চলুন এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করা যাক। 



 জেনে নিন প্লাটিলেট কি?


মানুষের রক্তের প্লাটিলেট একটি গুরুত্বপূর্ণ রক্ত কণিকা। যা কাজ করে রক্তকে জমাট বাঁধতে প্লাটিলেট স্বাভাবিক সংখ্যা প্রতিঘন মিলি লিটার দেড় লাখ থেকে প্রায় সাড়ে চার লাখ। 

শুধুমাত্র ডেঙ্গুনি নয় আরো নানা রোগে রক্ত সংক্রমণে এই প্লাটিলেট সংখ্যা কমতে পারে। তাই ডেঙ্গু  রোগীদের জন্য প্লাটিলেট কমে যাওয়া খুব ঝুঁকি।

 

ডেঙ্গুতে প্লাটিলেট কমে গেলে করণীয়। 

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর যদি রক্তের প্লাটিলেট কমে যায় তাহলে রোগীর খুব বিপদজনক পরিস্থিতি হয়। যখন একজন রোগীর রক্তের প্লাটিলেট কমে যাবে তখন অনেক সময় দেখা যায় যে প্লাটিলেট 50000 এর নিচে নামলেই রোগীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
 
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে প্লাটিলেট কমে যাওয়ায় রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার মাধ্যমে কিন্তু ডেঙ্গুর তীব্রতা মাপা হয় না। প্লাটিলেট ঠিক থাকলে রোগী ভালো থাকবে সেরকমও না, প্লাটিলেট দিলেই যে রোগী সুস্থ হয়ে উঠবে এমনও নয়। 
রক্তক্ষরণের চিহ্ন দেখা দিলে এবং প্লাটিলেট কাউন্ট যদি ২০ হাজারের নিচে নামলে অথবা রক্তক্ষরণ ও নেই কিন্তু প্লাটিলেট ১০ হাজারের নিচে, এমত পর্যায়ে তখন রোগীকে প্লাটিলেট দেওয়া হয়। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্ল্যাটিলেট কমে গিয়ে নয় বরঞ্চ রোগী মারা যায় ডেঙ্গুর শখ সিনড্রোমে। ডেঙ্গু ভাইরাসের কারণে রোগীর রক্তনালী গুলো আক্রান্ত হয়ে থাকে। 

রক্তনালীর গায়ে ছোট ছোট ছিদ্র থাকে, সেগুলো আস্তে আস্তে বড় হয়ে যায়। রক্তের জলীয় উপাদান ও রক্ত রস তখন বের হয়ে আসে। ঠিক তখন রক্তচাপ কমতে থাকে। পিসিবি বা প্যাকড সেল বুলিওম বাড়তে থাকে। 

এটা ঠেকাতে তাৎক্ষণিক অবস্থায় ডেঙ্গু রোগীকে পর্যাপ্ত ফ্লুইড বা তরল দিতে হবে। এই তরল মুখে খাওয়ানো যেতে পারে বা শিরায় ইঞ্জেকশন অথবা স্যালাইন এর মাধ্যমে দেওয়া হয়ে থাকে থাকে। 

ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হলে রোগীর প্রাচীনের কত তা ঘন ঘন না দেখে বরং রোগীর অন্যান্য সিমটম বা বিষয় গুলোর দিক লক্ষ্য রাখুন। যেমন-

> রক্তচাপ ঠিক আছে কিনা। 

> রোগী পানি শূন্যতায় ভুগছে কিনা। 

> রক্তের পিসিবি বা   হেমাটোক্রিট কেমন তা অবশ্যই দেখা উচিত। 

 উপরোক্ত সিমটম বিষয়গুলো যদি আপনি দেখতে পান, তখনই ডেঙ্গু ভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে পর্যাপ্ত পরিমাণের তরল বা ফ্লুইড কারেকশন করুন। আর সর্বদা চেষ্টা করবেন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার। 

একজন সুস্থ মানুষের পাটিলে কত থাকে?


ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও প্লাটিলাইট কমে যাওয়া রোগীর থেকে স্বাভাবিক মানুষের পাতিলেক্ট থাকে হল। স্বাভাবিক সংখ্যা প্রতিঘন মিলিলিটার দেড় লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর এই প্লাটির মাত্রা দ্রুত কমে যায়। এবং দেহে রক্তক্ষরণ ও নানা স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দেয়। এই রক্তের প্লাটিলেট বেড়ে যাওয়া কারণে রোগী ব্রেন স্ট্রোক হার্ট এটাক এর মত মারাত্মক রোগে অগ্রসর হয়। 

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে কি ধরনের খাবার দেওয়া উচিত। 

ডেঙ্গু ঝরে আক্রান্ত রোগীর প্রধান ঝুঁকির কারণ হচ্ছে তার রক্তের প্লাটিলেট কমে যাওয়া। আর এই প্লাটিলের কারণেই রোগী খুবই ঝুঁকিতে থাকে। তাই এ সময় সাধারণত যেসব খাবারের মাধ্যমে  প্লাটিলেট মোটামুটি বাড়ানো যায় নিম্নে সেগুলো দেওয়া হলো। 

> পেঁপে, পেঁপের মাধ্যমে কি পানিসূন্যতা কিছুটা কমে। 

> মিষ্টি কুমড়া ও মিষ্টি কুমড়ার বিচি। 

> আমলকি। 

> লেবুর শরবত ও লেবুর রস। 

> ডালিম ও আনার, ডালিম ওনার অবশ্যই বেশি পরিমাণ দিতে হবে কারণআনারের রস রোগীর হিমোগ্লোবিন বাড়ায়। 

> বেশি পরিমাণে পানি

> বিভিন্ন প্রকার সবুজ শাকসবজি। 

> ডাবের পানি সহ যত তরল ও লিকুইড জাতীয় খাবার আছে সেগুলো রোগীকে বেশি বেশি করে পান করাবেন। 



আজকে আমাদের আলোচনার মাধ্যমে আমরা মোটামুটি ধারণা নিতে পারলাম ডেঙ্গুটে প্লাটিলেট কমে গেলে আমাদের কি কি করণীয় এবং  ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত। 

তাই আসুন আমরা সবাই ডেঙ্গু থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করি এবং আমাদের বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখি। আর আল্লাহর কাছে আমরা দোয়া করি আল্লাহতালা যেন ডেঙ্গু সহ সকল ধরনের ভাইরাস থেকে আমাদের কে রক্ষা  করেন। 
Next Post Previous Post