হাইপোথাইরয়েডিজম থেকে মুক্তির উপায়

হাইপোথাইরয়েডিজম থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে। আমরা অনেকেই জানিনা হাইপোথাইরয়েডিজম কি। এবং সে সম্পর্কে আমাদের কোন ধারনা নেই। তাই আমাদের আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে ভাইপো থাইরয়েডিজম কি ভাইপো থাইরয়েডিসিয়াম থেকে মুক্তির উপায় ভাই এর লক্ষণ সহ হাইপো থাইরয়েড এর চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। 

হাইপোথাইরয়েডিজম থেকে মুক্তির উপায়


হাইপো থাইরয়েডিজম মূলত কি

আমাদের শরীরে থাইরয়েড এর গ্ল্যান্ড রয়েছে এবং এ গ্লান্ড যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু হরমোন সৃষ্টি করে। যখন আমাদের শরীরের থাইরয়েডের গ্ল্যান্ড যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই হরমোন তৈরি করতে পারেনা তখন সেই বিষয়টিকেই আমরা হাইপো থাইরয়েডিজম বলে থাকি। এবং হাইপোথাইরয়েডিজম হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়। 

হাইপোথাইরয়েডিজম থেকে মুক্তির উপায়

আমাদের শরীরে থাইরয়েডের গ্ল্যান্ড যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকু যদি হরমোন তৈরি করতে না পারে সেই বিষয়টি কি আমরা বলে থাকি ভাইপোথাইরয়েডিজম। এবং হাইপোথাইরয়েডিজম হলে অবশ্যই আমাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শের প্রয়োজন। কারণ এটি একটি মারাত্মক ব্যাধি। চিকিৎসক যদি রক্তের পিএইচএস অথবা থাইরয়েড স্টুডেন্ট হরমোন পরীক্ষার মাধ্যমে। উচ্চমাত্রায় হাইপো থাইরয়েডিজম ধরা পড়ে তখন থাইরয়েডিজম কনফার্ম হয়ে যায়। 

হাইপো থাইরয়েডিজম চিকিৎসা মূলত হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট বা হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। 

হাইপো থাইরয়েডিজম এর লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে এবং ওষুধের পাশাপাশি প্রাকৃতিক ভাবে পাওয়া যে সমস্ত উপাদান রয়েছে সেগুলোও সেবন করতে হবে। তাই ওষুধের পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপাদান গ্রহণের ক্ষেত্রে রোগের চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে যেতে চলে তাহলে হাইপো থাইরয়েডিজম থেকে খুব সহজে মুক্তি পাওয়া যায়। 

এছাড়াও হাইপোথাইরয়েডিজম থেকে মুক্তির আরও একটি উপায় হচ্ছে আয়োডিন সেবন করা কারণ থাইরয়েডে হরমোন তৈরিতে আয়োডিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে টি থ্রি এবং টি ফোন হরমোন একসঙ্গে আয়োডিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মুক্তির জন্য অবশ্যই এর প্রয়োজন হয়। 

এছাড়াও ছেলে নিয়াম এবং জিঙ্ক সেবনের মাধ্যমে হাইপোথাইরয়েডিজম সমস্যার সমাধান হতে পারে। প্রাকৃতিকভাবে আরও একটি বিষয় রয়েছে তা হচ্ছে অশ্বগন্ধা হলুদ এবং এলোভেরার ব্যবহার এটি ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে প্রাকৃতিকভাবে হাইপোথাইরয়েডিজম থেকে মুক্তি পেতে পারেন। 

হাইপোথাইরয়েডিজম এর লক্ষণ

থাইরয়েড একটি মারাত্মক ব্যাধি। এবং এটি সারা বিশ্বে প্রতিবছর ২৫ শে মে থাইরয়েড দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। থাইরয়েডের গ্রন্থি ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না এবং এই সমস্যা সারা বিশ্বে ব্যাপক হারে দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে ৬০ বছরের বেশি মহিলাদের মধ্যে থাইরয়েড সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তাই অবশ্যই জানতে হবে থাইরয়েড এর লক্ষণ গুলো কি কি। 

অত্যাধিক ওজন বৃদ্ধি পায় অথবা ওজন কমে যায়

ঘাড় প্রচুর পরিমাণে ফুলে যায় এবং এবং ঘাড় ফুলে যাওয়ার কারণে গলগন্ড হয়

হৃদ স্পন্দনের পরিবর্তন হয় থাইরয়েডের শরীরে প্রতিটি অংক কে প্রভাবিত করে এবং হার্টবিটের পরিবর্তন করে

শরীরের এনার্জি এবং মেজাজের পরিবর্তন করে এবং শরীরের এনার্জি লস করে এবং মেজাজ খিটখিটে করে ফেলে

থাইরয়েডিজম এর কারণে চুল পড়া শুরু হয়


থাইরয়েটিজম হলে আমাদের শরীরের স্বাভাবিকের চেয়ে খুব ঠান্ডা অনুভব হয় অথবা প্রচুর পরিমাণে ঘেমে যায় গরমের কারণে

বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়,  ভাইপো থাইরয়েডিজম এর ক্ষেত্রে অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা যায় যেমন ত্বক শুষ্ক হওয়া মত ভাঙ্গা হাত-পা অপসারণ হয়ে যাওয়া কোষ্ঠকাঠিন্য প্রিয়ারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় এছাড়াও গর্ভপাতের সমস্যা হয়ে থাকে। 


হাইপোথাইরয়েডিজম কেন হয়

আমাদের মনে অবশ্যই প্রশ্ন জাগে যে হাইপোথাইরয়েডিজম মূলত কেন হয়। এমন একটি শারীরিক অবস্থা এবং আমাদের দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ হরমোন উৎপাদন করতে পারে না। এবং আমাদের বৃদ্ধি কোষ মেরামত কোষ এবং বিপদ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে বাধা সৃষ্টি করে। 

যে কারণে হাইপো থাইরয়েডিজম এ যে সমস্ত ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন তাদের ওজন বৃদ্ধি চুল পড়া ক্লান্তি হওয়া শরীর দুর্বলতা ডিপ্রেশন এবং অত্যন্ত ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা হয়ে থাকে। 

ভাইপো থাইরয়েডিজম মূলত বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। নিচে সে কারণসমূহ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। 

জন্মগত অস্বাভাবিকতার কারণে হাইপোথাইরয়েডিজম হয়ে থাকে। 

থাইরয়েড এর গ্রন্থি অপারেশন হলে হাইপোথাইরয়েডিজম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। 

কখনো কখনো আমাদের শরীরে p2 হিটারে যে গ্রন্থি রয়েছে সে গ্রন্থির সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং সেই সমস্যা সৃষ্টির মাধ্যমে থাইরয়েডিজম হয়ে থাকে। 

আমরা যখন খাবার খায় তখন আমাদের খাবারে আয়োডিনের ঘাটতি থাকে এবং আরডিনের অভাব হলে তখন থাইরয়েডিজম হয়ে থাকে। 

কখনো কখনো গর্ভাবস্থায় বা প্রশ্ন উত্তর এর সময় হাইপোথেডিজমের লক্ষণ দেখা দেয় এবং এই সময় আমাদের দেহে এন্টি বডি যা থাইরয়েড গ্রন্থিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং সময়মতো এই হাইপোথাইরয়েডিজম এর চিকিৎসা না করানোর ফলে এটি পারমিনেন্টভাবে হাইপো থাইরয়েডিজম হয়ে যায়। 

মাঝেমধ্যে অতিরিক্ত ওষুধ বা এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে আমাদের শরীরে থাইরয়েড হরমোন উৎপাদন হ্রাস হয়ে যায় এবং এর ফলে থাইরয়েড রোগটি হয়ে থাকে। 

হাইপোথাইরয়েডিজম প্রতিকার

আমাদের শরীরকে থাইরয়েড থেকে সুস্থ রাখার জন্য আমাদের অবশ্যই এর প্রতিকার প্রয়োজন। প্রতিকার হচ্ছে এমন একটি অবস্থা যেখানে আমরা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে হাইপো থাইরয়েডিজম থেকে মুক্তি পেতে পারি বা আমাদের শরীরে যাতে হাইপোথাইরয়েডিজম না হয় সেই বিষয়ে আমরা আমাদের দেহকে প্রতিরোধ করতে পারি। 

আয়োডিনের ব্যবহার করা

আমাদের পরী শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ গণিত আয়োডিনের অভাব থাকলে হাইপোথাইরয়েডিজম হয়ে থাকে তাই আমাদেরকে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়োডিন বা আয়রনযুক্ত লবণ বা সামুদ্রিক মাছ খেতে হবে। 

সেলেনিয়াম এর অভাব

আমাদের শরীরে আরও একটি খনিজ পদার্থ হলো সেলেনিয়াম যা অভাবে থাইরয়েড হয়ে থাকে। তাই আমাদের শরীরকে থাইরয়েড থেকে মুক্ত করতে হলে অবশ্যই সেলেনিয়াম জাতীয় খনিজ পদার্থ খেতে হবে। বিশেষ করে বাদাম টুনামাক সামুদ্রিক মাছ ডিম শস্য দানা ইত্যাদির ভিতরে প্রচুর পরিমাণে ছেলেমেয়ে খনিজ পদার্থ থাকে। 

জিংক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া

আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ লিংক সমৃদ্ধ খাবার যদি না থাকে তাহলে আমাদেরকে থাইরয়েডের আক্রান্ত হতে পারে। তাই জিং জাতীয় খাবার যেমন দুগ্ধ দুগ্ধজাত খাবার ডিম বাদাম মাশরুম চিংড়ি মাছ সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক পাওয়া যায় তাই এই শব্দটিও খাবার আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। 

ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খাওয়া

আমাদের শরীরে যখন ভিটামিন ডি এর অভাব বা ঘাটতি দেখা দেয় তখন থাইরয়েড দেখা দেয় তাই ভিটামিন ডি জাতীয় যে সমস্ত খাবার রয়েছে সেটি জাতীয় খাবার খেতে হবে। 

এছাড়াও আমাদের শরীরে ভিটামিন বি ১২ জাতীয় খাবার এবং ম্যাগনেসিয়াম এর ঘাট যাতে না হয় সে যদিও খাবার খেতে হবে। এবং তার সাথে সাথে ভিটামিন এ ভিটামিন সি ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এই সমস্ত খাবার যদি আমাদের খাদ্য তালিকায় থাকে তাহলে হাইপো থাইরয়েডিজম থেকে আমরা খুব সহজেই মুক্তি পেতে পারি এবং এর খুব সহজে প্রতিকার করতে পারি। যে কোন জিনিস আপনি চিকিৎসার থেকে প্রতিরোধের থেকে করা ভালো এবং এর থেকে প্রতিকার পাওয়া ভালো। তাই অবশ্যই থাইরয়েড থেকে মুক্তির জন্য আমাদের থাইরয়েড এর প্রতিকার সম্পর্কে জানতে হবে এবং সেই নিয়মমাফিক চলতে হবে। 

আশা করি আমাদের এই আর্টিকেলটি করার পরে আপনার হাইপো থাইরয়েডিজম থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না। আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে নির্মিত ভিজিট করুন এবং আমাদের গুগল নিউজ ফলো করে রাখুন। 
Next Post Previous Post