প্রসাবে ইনফেকশন দূর করার উপায়

প্রসাবে ইনফেকশন দূর করার উপায় কিভাবে এর সমাধান পাবেন এই বিষয় আজকে আরো বিস্তারিত আলোচনা করব আপনাদের সাথে। প্রস্রাবে ইনফেকশন অথবা ইউরিন ইনফেকশনে ছোট বড় সবাই কমবেশি আমরা এই রোগে ভুক্তভোগী হয়ে থাকি।

প্রস্রাবে ইনফেকশন দূর করার উপায়,প্রসাবে ইনফেকশন দূর করার উপায়,প্রস্রাবে ইনফেকশন,প্রস্রাবে ইনফেকশন দূর করার উপায়,প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে করণীয়,প্রস্রাবে ইনফেকশন দূর করার ঘরোয়া উপায়,প্রস্রাবের ইনফেকশন দূর করার উপায়,প্রসাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হবে,প্রসাবের রাস্তায় ইনফেকশন,প্রসাব ইনফেকশন,ঔষধ ছাড়াই প্রস্রাবে ইনফেকশন দূর করার উপায়,প্রস্রাবে ইনফেকশন কেন হয়,শিশুর প্রস্রাবে ইনফেকশন,প্রসাবের ইনফেকশন,প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ,প্রস্রাবে ইনফেকশন চিকিৎসা


বিশেষ করে অতিরিক্ত রোদে ও গরমে এই সমস্যাটা অনেকের বেশি দেখা দিয়ে থাকে। এই প্রস্রাবে ইনফেকশনের কারণে অনেকের প্রস্রাবের রাস্তায় ড়াজ্বালাপো সহ আরো বিভিন্ন সমস্যার দেখা যায়। 


অনেকের প্রস্রাব কন্টিনিউ হয় না কিলিয়ার হয় না, প্রস্রাব করার সময় প্রসাবে রাস্তায় প্রচুর জ্বালাপোড়া করে, অনেকের প্রসাবের রাস্তা থেকেও ব্লাড নামে। তাই এর সব কিছু বিষয় কেন, বা কি কারণে, বা এর করণীয় কি এসব বিষয় কে বিস্তারিত আলোচনা করব। 

প্রসাবে ইনফেকশন দূর করার উপায়। 


প্রস্রাবে ইনফেকশন রদূ করার উপায় কি কি হতে পারে। কারণ আমরা প্রসাবে ইনফেকশনে অনেক মানুষই আক্রান্ত হই। তবে নারীদের থেকে প্রসাবে ইনফেকশনের হার পুরুষদের বেশি দেখা দেয়। মূত্রনালী তে সংক্রমণ বা ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন আহসানকার একজন মানুষের শরীরে হানা দেয়। আর এই হানা দেওয়াটাকে আমরা অনেকেই স্বাভাবিক মনে করে থাকি। 


কারণ কিছুদিন প্রস্রাবে ইনফেকশন জ্বালাপোড়া দেখা দেওয়ার পর। কমে যায় পরে আবার অনেকদিন পর দেখা দেয়।  তাই আমরা এই সমস্যাটাকে অনেকেই গুরুত্ব দেই না। তবে একজন প্রস্তাবে ইনফেকশন আক্রান্ত ব্যক্তি সে নিজেও জানে না তার এই প্রসাবে সমস্যা দেখা দেওয়াটা গুরুত্ব সহকারে না দেখাটা তার জন্য কতটা ক্ষতি। 


অনেকে আছে প্রসাবে জ্বালাপোড়া বা ইউরিন ইনফেকশন দেখা দিলে বাজারে কিছু  ডাক্তারের অপরিকল্পিত চিকিৎসা নিয়ে ওষুধ খেয়ে থাকি। এই ওষুধ খাওয়ার কারণে কিছুদিন আপনার মূত্রনালীতে হওয়ার সমস্যা চেপে থাকে। 


তবে এই মূত্রনালী ও প্রসাবের ইনফেকশনের সমস্যা যথাযথ চিকিৎসা না হলে। এটি একপর্যায়ে কিডনির সমস্যার কাছাকাছি পৌঁছে যায়। মূত্রনালীতে ক্যান্সারও বিভর্স ক্ষত হয়ে যায়। তখন একজন ব্যক্তি জীবন ও মরণের খুবই কাছাকাছি পর্যায়ে চলে আসে। 


তাই জেনে নিন প্রসাবে ইনফেকশন দূর করার উপায় গুলো কি কি-


>  প্রসাবে জ্বালাপোড়া বা কোন সমস্যা দেখলেই অবশ্যই আপনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন। চিকিৎসক আপনাকে যেভাবে চিকিৎসা দেবে ও ওষুধ দেবে সেগুলো আপনি কন্টিনিউ সেবন করবেন। 

>   যদি কারো দেখেন দিনে প্রসাব আপনার খুবই কম হচ্ছে তুলনামূলকের থেকে। তাহলে অবশ্যই আপনার খুবই বেশি পরিমাণ পানি খেতে হবে। মিনি মাম দুই থেকে সাড়ে তিন লিটারের ও বেশি পানি পান করতে হবে। ও প্রচুর  লিকুইড জাতীয় খাবার খেতে হবে যাতে আপনার শরীরের পানির ঘাটতি পূর্ণ হয়। 

> কখনোই আপনি আপনার প্রসাব বেশিক্ষণ চেপে রাখবেন না। কারণ আপনি যদি দীর্ঘদিন এভাবে আপনার প্রসাব চেপে রাখেন। তাহল এর থেকে আপনার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। 


>  একজন প্রসাবে ইনফেকশন আক্রান্ত রোগী অবশ্যই ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাবেন। কারণ এই ভিটামিন সি জাতীয় খাবার আপনার প্রসাবের জ্বালাপোড়া বিভিন্ন সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে। 


>  আপনি যদি নিয়মিত আনারসের জুস করে খান তাহলে এটি আপনার প্রসাবের জ্বালাপড়া কমাতে প্রচুর সাহায্য করবে। 


>  স্বাস্থ্য গবেষণায় দেখা গেছে যে বেকিং সোডা দ্রুত মূত্রনালী ও প্রসাবে ইনফেকশন সারিয়ে তুলতে দ্রুত সাহায্য করে। তাই এক চামচ বেকিং সোডা এক গ্লাস পানিতে মিক্স করে খাবেন। 


>  ইসুবগুলের ভুষি, ডাবের পানি, এলোভেরা, ওলট কম্বল পাতা রস এগুলো যদি আপনি ঘুরে ফিরে প্রতিদিন নিয়মিত কয়েক মাস ওষুধের পাশাপাশি খেতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার প্রস্তাবে ইনফেকশন জ্বালাপোড়া প্রসাব আটকে থাকা সহ বিভিন্ন সমস্যা কমে যাবে। 


উপরে ইনফেকশন দূর করার উপায় সম্বন্ধে যে বিষয় উল্লেখ করা হলো সেগুলো যদি আপনি নিয়মিত মেনে চলেন। তাহলে অবশ্যই আপনি প্রস্তাবে ইনফেকশনের ঝুঁকি থেকে বেঁচে যাবে ইনশাল্লাহ। 
 

ইউরিন ইনফেকশন হলে কি সমস্যা হয় ?


ইউরিন ইনফেকশন হলে কি সমস্যা হয় তা নিম্নে সুন্দর করে উল্লেখ করা হলো-

আমরা সারাদিন যে পানি খেয়ে থাকি সেগুলো কিনির মাধ্যমে থেকে মূত্রনালী দিয়ে মূত্র হয়ে বেরিয়ে যায়। মানুষের শরীরে দুটি কিডনি থাকে একটি ইউরিনারি ব্লাডার যাকে বলা হয় মূত্রথলি অন্যদিকে বলা হয়  ইউরেথ্রা অথবা মূত্রথলি নিয়ে রেচনতন্ত্র গঠিত। ইউরিন ইনফেকশন এর উপসর্গ গুলো। 

  • প্রসাবে দুর্গন্ধ। 

  • প্রস্তাবের রং গারো হলুদ বা লালচে হওয়া। 

  •  এক প্রস্রাব করার সময় খুব জ্বালাপোড়া বা ব্যথা অনুভব করা। 

  • একটু পর পর প্রস্রাবের বেগ অনুভব করলেও ঠিকমতো প্রসাব না হওয়া। 

  • সারাক্ষণ জ্বর জ্বর ভাব এবং কাঁপুনি দিয়ে ঘন ঘন শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া। 

  • নিচের দিক থেকে পিঠের দিকে মারাত্মক ব্যথা হওয়া আর অসহ্য লাগা। 

  • বমি বমি ভাব হওয়া বা বমি হওয়া। 

  • মহিলাদের যোনি মুখে চুলকানি হওয়া। এবং পুরুষদের  পুরুষঙ্গে ভিতরে চুলকানি হওয়া।,ও  অসহ্য অনুভব হওয়া। 

আশা করি উপরিক্ত লেখার মাধ্যমে আপনার হয়তো জানতে পেরেছেন প্রসাবে ইনফেকশন হলে লক্ষণ গুলো কি কি দেখা দেয়। আশা করি লক্ষণগুলো দেখামাত্রই আপনি বুঝবেন যে আপনি প্রসাবে ইনফেকশনে ও ইউরিন ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়েছেন। 

প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হয় না। 


প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হয় না জেনে নি। 

আসলে ইনফেকশন হলে সেরকম কোনো খাবার খাওয়ার নিষেধাজ্ঞা মেডিকেল মতে নেই। তবে কিছু খাবার প্রসাব ইনফেকশন চলাকালীন অবস্থায় না খাওয়াই ভালো। যেমন-গরম চা, কফি, শুকনো ভাজা পুরা খাবার এগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো।

কারণ একজন ব্যক্তি যখন প্রস্তাবে ইনফেকশনে আক্রান্ত হয় তখন তার অনেক সময় কিডনিতে পানির পরিমাণ খুবই কম থাকে। এর জন্য উচিত ইনফেকশন আক্রান্ত রোগীর বেশি বেশি তরল জাতীয় খাবার।ও ভিটামিন সি যুক্ত খাবার, আর যে খাবার গুলো খেলে পানির ঘাটতি পূরণ হয়। যেমন তোর মুখ, ভাঙ্গি, কমলা, সহ এই ধরনের পানীয় জাতি ও খাবার খাওয়া দরকার। 


প্রিয় পাঠক আশা করি আজকে আপনাদের প্রস্রাবে ইনফেকশন দূর করার উপায় সহ ইউরিন ইনফেকশন হলে কি সমস্যা হয়।  এগুলো সহ আরো বিভিন্ন বিষয় যে আলোচনা বিস্তারিতভাবে করেছি।আশা করি সেগুলো অবশ্যই আপনারা বুঝতে পেরেছেন। আপনারা যদি আমার আলোচনা মাধ্যমে একটু উপকারিতো হয়ে থাকেন। সেটাই আমার জন্য সাফল্যের বিষয়। ধন্যবাদ 
Next Post Previous Post