সিজারের সেলাই কতদিন পর কাটতে হয়

সিজারে সেলাই কতদিন পর কাটতে হয় এই বিষয় আজকে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব। বর্তমানে আমাদের দেশে নরমাল ডেলিভারি থেকে সিজার এর ডেলিভারি ও বাচ্চা জন্ম বেশি নিচ্ছেন। তবে এটা আমরা অনেকেই জানিনা যে সিজারের পর সেলাই কত দিন পর কাটতে হয়। 

তাই আজকে আপনাদের সাথে সিজারে সেলাই কতদিন পর কাটতে হয়, সিজারের সেলাই শুকাতে কতদিন লাগে, সিজারের কতদিন পর সহবাস করা যায় এইসব বিষয় বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনি গুরুত্ব সহকারে পড়েন আশা করি অনেক কিছুই জানতে পারবেন। 



সিজারের সেলাই কতদিন পর কাটতে হয়।

 সিজারের সেলাই কতদিন পর কাটতে হয় এই বিষয়ে সুন্দরভাবে চলুন জেনে নিন-

বর্তমানে সিজার দুটি পদ্ধতি আছে, একটি হচ্ছে সেলাইয়ের মাধ্যমে সিজার করা হয়, অন্যটি হচ্ছে কসমেটিক সার্জারি যাকে বলি আমরা, তবে আমি যেটা আলোচনা করব সেটা হচ্ছে সাধারণত সিজার যেটা সুতো দিয়ে ও সেলাই দিয়ে করা হয়। সাধারণত সিজারের পর দুই সপ্তাহ অথবা তিন সপ্তাহে সেলাই কাটা ফেলা যায়। 

তবে এই সিজারের সেলাই কাটার বিষয় কিছু কথা আছে। অনেক সিজারিয়ান রোগী আছেন যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত , আবার অনেক আছেন যারা অনেক স্বাস্থ্যবান এক কথায় মোটা, এই সব ধরনের সিজারিয়ান রোগীর ক্ষেত্রে নিশ্চিত করে বলা যাবে না যে এক্সাক্টলি কতদিনের মাথায় সিজারে সেলাই কাটা যাবে। এটা একমাত্র একজন চিকিৎসকেই বলতে পারবেন।

 কারণ ডায়াবেটিসের রোগীদের সেলাই সহজে শুকায় না অথবা ইনফেকশন হয়ে থাকে অনেক সময়। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসক কি সিদ্ধান্ত নিতে পারবে যে তার সেলাই কবে খুলবে ও কাঁদবে। আবার অনেকের শরীর এমন আছে যে শুকাতে দেরি লাগে এটা বিশেষ করে যাদের চর্বি ও ফ্যাট আছে।

তাদের ও সিজারের সময় সেলাই সহজে শুকায় না। তবে সাধারণত নরমাল যেই সিজারিয়ান রোগী তাদের সিজারের সেলাই এক সপ্তাতেও কাটা যায় এটা তার শারীরিক কন্ডিশন এর উপর ডিপেন্ড করবে। তবে সাধারণত সিজারের সেলাই কাটতে দূর থেকে তিন সপ্তাহ লাগে। 

সিজারের সেলাই শুকাতে কতদিন লাগে। 


সিজারের সেলাই শুকাতে সাধারণত দুই থেকে তিন সপ্তাহের মতো লেগে থাকে। যাদের ডায়াবেটিস অথবা থাইরয়েড ও চর্বি জনিত রোগ আছে তাদের ক্ষেত্রে অনেক সময় এক মাসও লাগতে পারে। আবার সিজারের সেলাই শুকাতে অনেক সময় অনেকের দেরি লাগার কারণ হলো যারা সিজারের পরে যে অ্যান্টিভিটিকের একটা কোর্স দেয় সেটা যদি কমপ্লিট না করে।

আর যদি নিয়মিত ড্রেসিং না করে সে ক্ষেত্রেও সিজারের সেলাই শুকাতে অনেক সময় লাগে ও এমনকি ইনফেকশন হতে পারে। তাই একজন সিজারিয়ান রোগীর অবশ্যই তার ঔষধের কোর্স কমপ্লিট করতে হবে এবং নিয়মিত ড্রেসিং করতে হবে এমন কোন খাবার খাওয়া যাবে না যাতে আপনার সেলাই তে সমস্যা হয় ও পেকে যায়। 

সিজারে কসমেটিক সেলাই ভালো নাকি নরমাল সেলাই। 

সিজারে কসমেটিক সেলাই ভালো নাকি নরমাল সেলাই এই বিষয়ে আমরা অনেকেই জানতে চেয়ে থাকি চলুন সিজারে কসমেটিক সার্জারি সেলাই ভালো নাকি নরমাল সেলাই ভালো সে বিষয়ে ভালোভাবে জেনে নিন। 

কসমেটি সেলাই হচ্ছে চামড়ার সাথে সুতা  ও সেলাইটা মিশে থাকে আলাদাভাবে কাটতে হয় না সিজারের পর। আর সিল সেলাই সিজারের পর সেলাই শুকানোর পরে সুতা টা কাটতে হয় যে  সুতাটা কসমেটিক সেলাইয়ে কাটতে হয় না। তবে একজন রোগীর উপর ডিপেন্ড করবে তার জন্য কোন সেলাইটা ভালো হবে। 

এই ক্ষেত্রে চিকিৎসা কি একমাত্র বলতে পারবে কোন রোগের জন্য কোন সেলাই ভালো। কারণ ডায়াবেটিস রোগী ও অতিরিক্ত চর্বি যাদের সে সমস্ত মায়েদের জন্য ও রোগীর জন্য সাধারণ সেলাই প্রয়োজন হয়। তাই সিজারের কসমেটিক সেলাই ভালো নাকি নরমাল সেলাই ভালো এ বিষয়ে একমাত্র চিকিৎসা কি বলতে পারবে। তবে সাধারণ রোগীদের ক্ষেত্রে বলতে যাই তাহলে কসমেটি সেলাই বেস্ট। 

প্রিয় পাঠক আশা করি আমাদের আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন সিজারের সেলাই কতদিন পর কাটতে হয়, সিজারের সেলাই শুকাতে কতদিন লাগে, সিজারে  কসমেটিক সেলাই ভালো নাকি নরমাল সেলাই ভালো এ বিষয়ে আশা করি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আমার আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি কিছুটা হলেও ভালোভাবে জানতে পারবেন। ধন্যবাদ-
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post