এলার্জি কাশি সারানোর উপায়

এলার্জি কাশি সারানোর উপায় কি এই বিষয়টা নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত থাকি। এলার্জি শব্দ টা যদিও আজ আর কারো কাছে নতুন কিছু নয়। তবে এখনো অধিকাংশ মানুষ আছে আমরা যারা এখনো এলার্জি বিষয় এখনো সম্পূর্ণ পুরোপুরি ধারণা নেই। 

এলার্জিজনিত কারণে আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি এলার্জিজনিত কারণে যেসব সমস্যার সম্মুখীন আমরা হয়ে থাকি সেই সব বিষয়ে।

এলার্জির কারণে আমাদের কাশি হয়ে থাকে, শুকনো কাশি, এলার্জি সমস্যা আমাদের নাকে ও  দেখা দেয় কেন এবং এগুলো দূর করার উপায় কি।এসব বিষয় আজকে আমরা বিস্তারিত আপনাদের সাথে আলোচনা করব।তাই আশা করি সম্পূর্ণই পড়বেন। এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা এলার্জি বিষয় অনেক কিছুই ধারণা নিতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। 


কাশি দূর করার উপায়,এলার্জি দূর করার উপায়,শুকনো কাশি দূর করার উপায়,নাকের এলার্জি দূর করার উপায়,কাশি,শিশুর সর্দি কাশি দূর করার উপায়,বাচ্চাদের সর্দি কাশি দূর করার উপায়,allergies এলার্জি থেকে মুক্তির উপায়,খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায়,ঠান্ডা এলার্জি দূর করার উপায়,সর্দি কাশি,শুকনো কাশি কমানোর উপায়,সর্দি কাশি দূর করার উপায়,কাশি সারানোর উপায়,খুসখুসে কাশি,এলার্জি কাশি দূর করার উপায়,ঠান্ডা কাশি দূর করার উপায়,কাশি ও কফ দূর করার উপায়


এলার্জি কাশি সরানোর উপায়। 

মানুষের শরীরে এলার্জি যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। সে বিষয়ে বৈজ্ঞানিকরা ব্যাখ্যা দিতে যেয়ে অনেক কিছুই উল্লেখ করেছে। এলার্জি অনেক ধরনের হতে পারে যেমন- বংশগত, জন্মগত, বাবা মা থেকে আক্রান্ত হতে পারে এলার্জিতে, এছাড়া আরো বিভিন্ন কারণেই একজন মানুষের শরীরে এলার্জি বাসা বাঁধতে পারে। 

#অ্যালার্জি কাশি সরানোর উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। 

এলার্জির কারণে অধিকাংশ মানুষেরই  এলার্জি কাশি মস্যা দেখা দেয়। এই এলার্জি কাশি একজন মানুষের শরীরে দীর্ঘদিন ধরেই হতে থাকে। অনেক ওষুধ খেলেও এই এলার্জি কাশির সমাধান পাওয়া যায় না। আপনি যদি দেখেন আপনার কাশি দীর্ঘদিন হয়ে গেছে। 


সব ধরনের চিকিৎসা নিয়েছেন ওষুধ খেয়েছেন তারপরও কমছে না।তাহলে আপনি চিকিৎসকের কাছে যেয়ে সিওর হবেন যে আপনার কাশি কোন ধরনের। 

চিকিৎসক যদি আপনাকে বলে যে আপনার এই   এলার্জি জনিত কাশি তাহলে আপনি তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। আর চিকিৎসকের পরামর্শের পাশাপাশি আপনি যদি এলার্জি কাশি থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে আপনার ও অনেক কিছু করণীয় আছে। 

 #এলার্জি কাশি দূর করার জন্য আপনার করণীয়-

  •  প্রথমত আপনি এলার্জি কাশি সরানোর জন্য নিয়মিত ওষুধ খাবেন। 

  • এলার্জি জাতীয় খাবার থেকে অবশ্যই দূরে থাকবেন। 

  • ধুলোবালি ও ময়লা থেকে নিজেকে রক্ষা রাখবেন। 

  • যে বিষয়টা কারণে আপনার এলার্জির কাছে বেড়ে যায় সেই কাজ থেকে অবশ্যই দূরে থাকবেন। 

  • এলার্জি রোগীর অনেক সময় বৃষ্টির পানি লাগালেও বা পান করলেও অ্যালার্জির কাশি দেখা দেয়। এর জন্য এলার্জি কাশির রোগীর উচিত অবশ্যই বৃষ্টির পানি থেকে দূরে থাকা। 

  • অবশ্যই বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করবেন। কারণ মাক্স ব্যবহার করার কারণে আপনার নাকে ধুলাবালি প্রবেশ করবে না। আর আপনি এলার্জির কাশি থেকে সুরক্ষিত থাকবেন। 

  • সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাপড়চোপড় ব্যবহার করবেন। 

  • প্রয়োজন হলে আপনার কাপড়-চোপড় স্যাভলন দিয়ে ধুবেন

#আশা করি উপরোক্ত যে বিষয়গুলো এলার্জি কাশির সরানোর উপায়  বলা হয়েছে সেগুলো যদি আপনি মেনে চলেন তাহলে অবশ্যই আপনি এলার্জি কাশি থেকে সুরক্ষিত থাকবেন। 

ঘরোয়া উপায়ে এলার্জি কাশি ও খুসখুসে কাশি সরানোর উপায়। 

# ঘরোয়া উপায় অ্যালার্জির কাশি ও খুসখুসে কাশি সারানোর উপায় গুলো আপনাদের সাথে আলোচনা করব। 

এলার্জি এমন একটি রোগ যেটি সাধারণত চিকিৎসা নিলেও এটি সারেনা। তাই আমাদের উচিত যাতে এলার্জি আপনার কন্ট্রোলে থাকে। তার জন্য আপনাকে অবশ্যই অনেক নিয়ম কানুন ও খাদ্য অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। 

#আর এলার্জি কাশি ও খুশখুসে কাশি আপনি ঘরোয়া কিছু উপায় সরাতে পারেন যেমন-

  • এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে দুই চামচ মধু মিক্স করে নিন। তার সাথে একটা লেবুর অর্ধেক লেবুর রস ও আদার রস মিক্স করে প্রতিদিন এক থেকে দুবার খাবেন। 

  • তুলসী পাতা রস করে তার সাথে মধু মিক্স করে সকালে যদি খালি পেটে ও বিকেলে একবার খেতে পারেন। যদি দিনে দুবার তুলসী পাতা ও মধুর রস একসাথে মিক্স করে খান তাহলে আপনার এলার্জি কাশি ও ফুসফুসে কাশি কমবে। 

  • বাসক পাতা পানিতে ভালোভাবে সেদ্ধ করে সেই পাতা ভালোভাবে থেকে নিবেন। যখন গরম হয়ে যাবে। তখন আপনি সেই পানিটি পান করবেন।দেখবেন আপনার এলার্জির কাশি শুষ্ক কাশি ও ফুসফুসে কাশি কমে যাবে। 

  • আদা তার সঙ্গে সামান্য পরিমাণ লবণ মিশিয়ে কিছুক্ষণ পর পর খেতে পারেন। 

  • গরম দুধের সাথে সামান্য হলুদ মিশিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন। তাতেও আপনার কাশি কমে যাবে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এই দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে খাবেন। 

  • লবঙ্গ থেতলে গরম পানিতে জ্বালিয়ে পান করলে কাশি দূর হয়। 

  • নিম পাতা ভালোভাবে পানির সাথে সেদ্ধ করে।  সেই গরম অবস্থায় নিম পাতার গরম পানি একটি টাওয়ার অথবা গামছা মুড়ি দিয়ে ভাফ  নিবেন। নিম পাতার গরম পানির  বাফের  কারণে আপনার নাকে  নিম পাতার নির্যাসটা চলে যাবে। তখন এলার্জি জীবাণু ধ্বংস হয়ে যাবে আর আপনি এলার্জি কাশি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। 
 

শুকনো কাশি দূর করার উপায়। 

শুকনো কাশি দূর করতে চাইলে আপনি প্রতিদিন সকালে বিকালে ২ চামচ করে মধু খাবেন। আর আপনি যদি ১০ থেকে১৫ দিনের মত তুলসীপাতার রসের সাথে মধু মিক্স করে খালি পেটে খেতে পারেন।  তাহলে আপনার শুষ্ক কাশি কমবে। কালোজিরা খালি পেটে খেলে ও আপনার শুষ্ক কাশি দূর হবে। 

ঠান্ডা এলার্জি দূর করার উপায়। 

  • প্রথমত আপনি সব ধরনের ঠান্ডা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন। যাদের বৃষ্টির পানিতে এলার্জি ঠান্ডা লেগে এলার্জির সমস্যা দেখা দেয় তারা অবশ্যই বৃষ্টির পানি থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন। 

  • অনেকের ফ্রিজের পানি খেলে, ও ফ্রিজের ঠান্ডাযুক্ত খাবার খাওয়ার সাথে সাথেই এলার্জি সমস্যা দেখা দেয় , কারণ ফ্রিজের পানিতে এলার্জি আছে, গলা বসে যায় আর শুষ্ক কাশি শুরু হয়ে যায়। এর জন্য অবশ্যই আপনি ফ্রিজের পানি ও খাবার থেকে দূরে থাকবেন। ফ্রিজের খাবার সব সময় গরম করে খাবেন। 

  •  অনেক রোগী আছেন যারা নদীর পাড় অথবা সমুদ্র সৈকত, ও মোটরসাইকেলে বাসে জার্নি করার সময় অনেক বাতাস প্রবাহিত হয়। সেই বাতাস যদি অনেকের নাকে ঢোকে। তাহলে তাদেরও ঠান্ডা লেগে যায় এবং এলার্জি সমস্যা দেখা দেয়। এর জন্য এইসব ঠান্ডা অতিরিক্ত বাতাস থেকে নিজেকে একটু সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করবেন। 

>আশা করি এইসব বিষয় যদি আপনি মেনে চলেন তাহলে এলার্জির ঠান্ডা জনিত সমস্যা থেকে আপনি নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। 

নাকের এলার্জি দূর করার। 

এলার্জি এমন একটা রোগ যেটা আপনার শরীরের যে কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেই এফেক্ট করতে পারে।অনেকের এলার্জি নাকে দেখা দেয়। এই নাকের এলার্জির প্রধান ওষুধ হল  এন্টি হিস্টামিন। 

 নাকের এলার্জির জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নাকের এলার্জির স্প্রে ব্যবহার করবেন। এবং এলার্জিযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকবেন। নাকের এলার্জিতে যারা ভুগছেন তারা অবশ্যই ধুলোবালি ও ঘ্রাণ যুক্ত প্রসাদনি থেকে দূরে থাকবেন। 

শিশুর সর্দি কাশি দূর করার উপায়। 

শিশুদের সর্দি কাশি এটা আমাদের শিশুদের জন্য একটি কমন বিষয় বললেই চলে। একটু ঠান্ডা লাগলে অথবা সিজন পরিবর্তন ও ঋতু পরিবর্তন এর কারণ সহ বিভিন্ন কারণেই শিশুদের সর্দি কাশি হয়ে থাকে। 

আপনি যদি দেখেন আপনার শিশুর সর্দি কাশিতে  ভুগছে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।আর শিশুকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে ওষুধ খাওয়াবেন। আর আপনি আপনার শিশুকে ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়া থেকে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করবেন। 

যদি দেখেন আপনার বাচ্চার সর্দি কাশি বেশি তাহলে তাকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে নাকের  ড্রপ ব্যবহার করবেন। কারণ শিশুর সর্দি  ও ষুধের থেকে দ্রুত নাকের ড্রপে সারে। 

শিশুর সর্দি কাশি দূর করার জন্য মধু ও তুলসী পাতাও বাচ্চাকে খাওয়াবেন এটা ওষুধের থেকেও শিশুর জন্য খুবই দ্রুত কাজ করে। 

 ##আশা করি আজকে আমার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে এলার্জি কাশি সরানোর উপায় সহ আরো বিভিন্ন বিষয় এলার্জিজনিত রোগ সম্বন্ধে জানতে পেরেছেন। আর আমি হয়তো এলার্জিজনিত বিষয় সম্পর্কে আপনাদেরকে মোটামুটি বিস্তারিতভাবে জানাতে পেরেছি ধন্যবাদ-
Next Post Previous Post