এলার্জির ওষুধ বেশি খেলে কি হয়?

 এলার্জির ওষুধ বেশি খেলে কি হয়?


এলার্জির ওষুধ বেশি খেলে কি হয়। এটা একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ এলার্জির ওষুধ বেশিদিন ও দীর্ঘমেয়াদি খেলে এর সুবিধা ও অসুবিধা কি সেটা আমাদের অবশ্যই জানা উচিত। এলার্জির ওষুধ বেশি খেলে কতটা ক্ষতি হয় শরীরে আজকে আমরা সেই বিষয়ে জানব। 

তাই আজকে আমরা অ্যালার্জির ওষুধ বেশি খেলে কি হয়, কি খেলে অ্যালার্জি কমে, এলার্জি থেকে মুক্তির উপায় সহ আরো বিভিন্ন বিষয় আমরা আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আশা করি আজকে আমার এই বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে এলার্জি বিষয়ে অনেক কিছুই আপনারা অবশ্যই জানতে  পারবেন। 

এলার্জি যদি গড় হিসাব করি তাহলে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই এই এলার্জিতে আক্রান্ত। আর এক একজনের এলার্জি এক এক ধরনের। এলার্জির বিভিন্ন প্রকারভেদ আছে। খাদ্যবস্ত থেকে শুরু করে প্রসাধনী ও ব্যবহারের জিনিসপত্র পর্যন্ত অ্যালার্জি আছে। তাই একজন রোগীর আগে বুঝতে হবে যে তার এলার্জি কোন ধরনের। 

এলার্জি,এলার্জির ঔষধ বেশি খেলে কি হয়?,এলার্জির ওষুধ,কি খেলে এলার্জি ভালো হয়,এলার্জির ঔষধ কি,এলার্জির চিকিৎসা,কি খেলে এলার্জি কমে,এলার্জি থেকে মুক্তির উপায় কি,কোন খাবার খেলে এলার্জি হয়,কি কারনে এলার্জি হয়,কোন খাবার খেলে এলার্জি হয় দেখুন,এলার্জি কি কেন হয়? ও দূর করার উপায়,এলার্জি কি কেন হয় ?,এলার্জি থেকে মুক্তির উপায়,এলার্জি হলে করণীয়,এলার্জি কি এবং কেন হয়,চোখের এলার্জির চিকিৎসা,এলার্জির ঔষধ,চোখের এলার্জির ড্রপ,এলার্জি দূর করার উপায়


এলার্জির ওষুধ বেশি খেলে কি হয়?

আমাদের চারপাশে অনেক এলার্জি অর্থাৎ হাইপারসেন সিটিবিটি বা অতিসংবেদশীলতার রোগী রয়েছে।আমাদের শরীরে এলার্জি বিভিন্ন ধরনের রয়েছে। কোন বস্ত বা খাদ্য সংস্পর্শে গেলে রোগীর শরীরে অনেক ধরনের এলার্জির উপসর্গ দেখা দিয়ে থাকে। খাবার থেকে শুরু করে ফুলের রেনু পর্যন্ত এবং অনেক ঘেরানেও এলার্জি থেকে থাকে। 

তাই একজন রোগীর প্রথমেই নির্ধারিত করতে হবে এই যে কোন জিনিসের এলার্জি দেখা দেয় বেশি।একজন ব্যক্তি যখন দেখবে তার শরীর চুলকাচ্ছে, হাঁচি কাশি, ও গায়ে বিভিন্ন বিচি ও হ্রাসের মতো দেখা দিচ্ছে। তাহলে অবশ্যই সে চিকিৎসকের কাছে যাবে। প্রথমত দেখতে হবে তার এলার্জি কোন ধরনের। রোগীর খেয়াল করতে হবে যে কিসে তার এলার্জিটা বেশি হয়। 

এলার্জির বিষয় বিস্তারিত চিকিৎসকের কাছে বলতে হবে যে আমি কোন কিছু সংস্পর্শে গেলে আমার চুলকানি হাসিখুশি হয়। বা নির্ধারিত কিছু খাবার খেলে হাঁচি কাশি হয় চুলকানি হয় , এরকম অনেক কিছুতেই অনেকের এলার্জি হয়। তাই রোগীর আগে ভালোভাবে খেয়াল করতে হবে যে তার শরীরে এলার্জিতে বেশি কখন দেখা দেয়। সেই অনুযায়ী এলার্জির ইতিহাস সম্পূর্ণ ডাক্তারকে বলতে হবে। 

তারপর ডাক্তার যে চিকিৎসা ও ওষুধ আপনাকে দিবে সেগুলো অবশ্যই আপনি সেবন করবেন। আর চিকিৎসক আপনাকে যে নিয়ম অ্যালার্জির থেকে দূরে থাকার জন্য যে নিয়ম কানুন বলবে সেগুলো অবশ্যই মেনে চলবেন। কারণ এলার্জি আমরা অনেকে যতটা হালকা সামান্য মনে করি ততটা সামান্য বিষয় নয়। এই এলার্জি আপনার জীবনে মৃত্যুর কারণ হতে পারে। 

আমরা অনেকেই আছি যে যদি দেখি শরীরে একটু চুলকানি বা হাচি কাশি তাহলে আমরা নিজেরা নিজেদের মতো মন গড়া কিছু এলার্জির ওষুধ খেয়ে থাকি। যেগুলো চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই আমরা খাই। 

এলার্জির ওষুধ বেশি খেলে যা হয়-

এলার্জির চিকিৎসায় মূলত দুই ধরনের ঔষধ দেওয়া হয়ে থাকে। কিছু ওষুধ রয়েছে যেগুলো আপনার শরীরের এলার্জিকে দূর করে। এগুলো দীর্ঘমেয়াদি সেবনের পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে এই এলার্জির ওষুধগুলোতে তেমন   পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে না। এটা চাইলে আপনি এক থেকে দু মাস খেতে পারেন। তবে সেটা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারী খেতে হবে। 

আর কিছু এলার্জির ওষুধ রয়েছে সেগুলো এলার্জির উপসর্গকে প্রমোশন করে, যাকে বলা হয় এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ। এগুলো আবার দীর্ঘ মেয়াদে সেবন করা উচিত নয়। এই ওষুধগুলো এক কথায় পাওয়ারই এলার্জির ওষুধ বললেই চলে। একজন অ্যালার্জির রোগী খেয়াল করে দেখবেন যে, কিছু ওষুধ আছে যেগুলো খাওয়া মাত্রই আপনার এলার্জি সমস্যা নিমিষেই কমে যায়। 

তাই একজন অ্যালার্জির রোগী এই ধরনের ওষুধ যদি দীর্ঘদিন সেবন করেন তাহলে আপনি জেনে নিন যে এটা আপনার জন্য মারাত্মক ক্ষতি। আর এই পাওয়ারই এলার্জির ওষুধ দীর্ঘদিন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যদি আপনি সেবন করেন তাহলে আপনার যেসব ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকবে। সেগুলো হল-

আপনার ওজন তুলনামূলক অনেক বেড়ে যাবে, মুখের শুষ্কতা হতে পারে, এ ওষুধের কারণে শরীরের রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, আপনার রক্তের ক্যালকুলেশন ও কমে যেতে পারে, অধিক তরে চর্বি বৃদ্ধি পেতে পারে, এমনকি আপনার কিডনিতেও সমস্যা দেখা দিতেও পারে। 

সব থেকে জটিল বিষয় হচ্ছে যে আপনি যখন এই এলার্জির ওষুধ খাওয়া বন্ধ করবেন তখন আপনি স্বস্তি পাবেন না, আপনার নিজের কাছে নিজেকে খুব অসহ্য বিরক্তকর মনে হবে। একপর্যায়ে আপনার শারীরিক অবস্থা এতটা খারাপ হবে যে আপনি এলার্জির ওষুধ না খেলে আপনার ঘুম হবে না ও মানসিক প্রশান্তিও পাবেন না। তাই অবশ্যই এইসব এলার্জির ওষুধ দীর্ঘদিন  খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন। তা নাহলে আপনি নিজের ক্ষতি নিজেই করবেন। 

এলার্জির ওষুধ বেশি খেলে কি ক্ষতি  হয় এই বিষয়ে হয়তো আপনাদেরকে আমি কিছুটা হলেও জানাতে পেরেছি। তাই আপনি যদি নিজেকে সুস্থ রাখতে চান তাহলে অবশ্যই দীর্ঘদিন এলার্জির ওষুধ খাওয়া থেকে বিরক্ত থাকুন। বরং যে কাজ করলে বাজে খাবার খেলে আপনার অ্যালার্জি হয় সেইসব বিষয় থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন। 

কি খেলে এলার্জি কমে। 


কি খেলে আমাদের শরীরে এলার্জি কমে এই বিষয়ে জানার জন্য আমরা অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করি। কারণ এলার্জি এমন একটা রোগ যেটা মানুষের শরীরে অসহ্যতা বৃদ্ধি করে। যে ব্যক্তি এলার্জিতে আক্রান্ত একমাত্র সেই বোঝে যে এলার্জি একজন মানুষের শরীরে কতটা ক্ষতিকর। 

তাই আজকে আমরা জানব কি খেলে এলার্জি কমে চলুন জেনে নেই -

  • প্রথমত আপনার খেয়াল রাখতে হবে যে কি ধরনের খাবার খেলে আপনার শরীরে এলার্জির সমস্যা বাড়ে। অবশ্যই যে খাবার খেলে আপনার শরীরে এলার্জি বাড়ে সেগুলো আপনার খাবার থেকে বাদ দিবেন। সর্বদাই সেইসব খাবার এড়িয়ে চলবেন। 

  • সাধারণত যেসব খাবারে খুব বেশি পরিমাণে এলার্জি সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। সে খাবারগুলো হল কচু ও কচু জাতীয় কোন তরকারি, বেগুন, ঢেঁড়স, পুঁইশাক, চিংড়ি মাছ, ইলিশ মাছ ,হাঁসের ডিম, গরুর মাংস, হাঁসের মাংস সহ এই সব ধরনের খাবারে এলার্জির পরিমাণ খুব বেশি থাকে। তাই এই খাবারগুলো খাবেন না। 

  • আবার অনেকের এমন কিছু   খাবারে এলার্জি থাকে সেগুলো হল আলু, মুসুর ডাল, কাঁচকলা, গরুর দুধ, মিষ্টি কুমড়া, পাকা কলা, পাকা পেঁপে। তাই যারা দেখবেন এইসব খাবারে আপনার শরীরে এলার্জি দেখা দেয় অবশ্যই এসব খাবার একটু কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন। 

  • এলার্জির থেকে সুরক্ষিত থাকতে চাইলে আপনি নিম পাতার বড়ি খেয়ে দেখতে পারেন। কারণ নিম পাতার বড়ি যদি সকালে খালি পেটে খাওয়া যায়। তাহলে তাতে আপনার এলার্জি কমে। 

এলার্জি থেকে মুক্তির উপায়। 

এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় বিষয়ে উল্লেখ করা হলো-

  প্রথমত  প্রথমেই বলব যে যে ব্যক্তির যে বিষয়ে এলার্জি সেই বিষয় থেকে নিজেকে অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে।এটা হল একজন এলার্জির রুগীর প্রধান ও প্রথম কাজ। কারণ অনেকের ঘ্রাণ যুক্ত কিছু প্রসাদনই ব্যবহার করলে আপনার এলার্জি সমস্যা দেখা দেয় যেমন-পারফিউম, ক্রিম, পাউডার, নেলপালিশ ফুলের ঘেরান সহ এরকম বিভিন্ন ধরনের ঘ্রাণেতে আপনার এলার্জিতে হাঁচি খাসি ও চুলকানি হতে পারে। 


আপনি এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে চাইলে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবেন। যাদের ধুলোবালিতে এলার্জি আছে তারা বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন। আর ধুলোবালি ঘর ঝাড়া  মোছা থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন। 

আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাবেন। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলবেন। 

আপনি আপনার ব্যবহারের জামাকাপড় সহ বিছানার চাদর পর্যন্ত ভালো করে সাবান দিয়ে ধোবেন ও সেই ধোয়ার সময় স্যাভলন ব্যবহার করবেন। 

৫ তম আপনি নিজেকে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করবেন। আর জীবনমুক্ত পানি ব্যবহার করার  করবেন। 


এলার্জি কি কেন হয়? 

এলার্জি কেন হয় এই বিষয়টা আমাদের সবার জানা উচিত। এলার্জি নেই এরকম খুব কম মানুষ আছে। কিন্তু আসলে আমরা অনেকেই জানিনা যে কেন এই এলার্জি হয়। অনেকের এলার্জি হয় বংশগত ভাবে। যদি কোন ব্যক্তির বংশে এলার্জির সমস্যা বেশি থাকে সে বংশের সূত্র অনুযায়ী অনেকের শরীরে এলার্জি দেখা দেয়। 

অনেকের এলার্জি আছে জন্মগত। অনেক শিশু এলার্জি নিয়েই জন্ম নিয়ে থাকে। আবার অনেকের এলার্জি আছে মা অথবা বাবার আছে সেই সূত্রে সেও অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয়। আবার দেখা যায় অনেকের এলার্জি হয় যদি কেউ ব্লাড নেয়। কারণ যখন একজন ডোনার একজন রোগীকে কোন সিরিয়াস কারনের জন্য ব্লাড ব্যাংক আর সেই ডোনারের ব্লাডে  এলার্জির পার্সেন্টেজ বেশি যদি থাকে সে থেকেও একজন ব্যক্তি এলার্জিতে আক্রান্ত হতে পারে। এছাড়া আরো বিভিন্ন কারণেও মানুষের শরীরে এলার্জি দেখা দিতে পারে। 

চোখের এলার্জির চিকিৎস। 

চোখের এলার্জির চিকিৎসা বিষয়ে ভালোভাবে জেনে নিন, মানুষের শরীরে এলার্জি বিভিন্ন জায়গায় দেখা দেয়। এক এক জনের এক এক ধরনের এলার্জি হয়ে থাকে। এর ভিতর অনেকের আছে যে চোখে অ্যালার্জি দেখা দেয়। যাদের চোখে এলার্জি তাদের চোখ প্রায় চুলকায়, চোখে ময়লা জমে, অনেক সময় চোখ লাল হয়ে যায়। যদি কোন ব্যক্তি তার মধ্যে সমস্যা দেখে থাকেন তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারী চোখের এলার্জির জন্য ড্রপ নিবেন আর সেগুলো নিয়মিত ব্যবহার করবেন। 

ঘরোয়া ভাবে চোখের এলার্জির চিকিৎসা হলো-

আপনি ঘরে বসেও আপনার চোখের এলার্জির চিকিৎসা করতে পারেন যেমন চোখে বেশি করে পানি দিবেন। দিনে অন্তত চার থেকে সাত বারের মত চোখ মেলে পানি দিবেন। অবশ্যই পানিটা যেন ফ্রেশ ও জীবা মুক্ত থাকে। এরকম কিছুদিন চোখে পানি দিলে দেখবেন আপনার চোখের এলার্জি আগের থেকে কমে গেছে। 

আপনি চাইলে নিম পাতা পানিতে সেদ্ধ করে তার ভাব নিতে পারেন আপনার চোখে। নিম পাতা সেদ্ধের গরম ভাফ চোখে নেওয়ার ফলে আপনার চোখে থাকা এলার্জির জীবাণু ধ্বংস হয়ে যাবে। এভাবে চোখের এলার্জি থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন। 


প্রিয় ভিউয়ার্স আমি হয়তো আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে এলার্জির ওষুধ বেশি খেলে কি হয়, চোখের এলার্জির চিকিৎসা সহ আরো এলার্জি বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে হয়তো জানাতে পেরেছি। তাই আমার এই আর্টিকেলের নিয়ম অনুসারে যদি আপনি চলতে পারেন তাহলে হয়তো আপনি এলার্জির জনিত সমস্যা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। ধন্যবাদ-

 

Next Post Previous Post