লিভার নষ্টের লক্ষণ ও গ্যাস্ট্রোলিভার রোগের লক্ষণ।

 লিভার নষ্টের লক্ষণ ও গ্যাস্ট্রোলিভার রোগের লক্ষণ। লিভার হচ্ছে মানুষের শরীরে এমন একটা যন্ত্র যে পুরা মানবদেহে কে মানব দেহকে লিবারিক কন্ট্রোল করে। লিভার হচ্ছে আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই নির্ভরজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। অনেকেই লিভার জনিত সমস্যায় মৃত্যুবরণ করেন। তাই আজকে আমি লিভার জনিত  যে সকল সমস্যা ও বিষয় আছে সেইসব আলোচ্য বিষয়গুলো আমার এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে তুলে ধরব।
  


আজকের আলোচ্য বিষয় বস্তু- 

  •  গ্রেস্টোলিভার মানে কি?

  • লিভার ইনফেকশনের লক্ষণ।

  • লিভার নষ্ট হলে করনীয়। 

  • লিভারের চর্বি  জমার কারণ। 

লিভার নষ্টের লক্ষণ ও গ্যাস্ট্রোলিভার রোগের লক্ষণ।

লিভার নষ্টের লক্ষণ: যেসব উপসর্গ আপনার শরীরে দেখা দিলে বুঝবেন যে আপনি হয়তো লিভার জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন সে সমস্ত বিষয়গুলি নিম্নে উল্লেখ করা হলো-


  • লিভার হল মানবদেহের পারহাউজ এর মত কাজ করে। তাই লিভার যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে মানবদেহের শরীরে এনার্জি আস্তে আস্তে কমে যায়। রোগী দুর্বল ও অল্পতেই হাঁপিয়ে যায়। 


  • রোগী আগে স্বাভাবিকভাবে যেভাবে কাজ করতো সে আগের তুলনায় সেরকমভাবে কাজ করতে পারেনা এবং সব সময় শরীরে একটি দুর্বলতা কাজ করে। 

  • ক্ষুধা মন্দা দেখা ওজন কমে যাওয়া। 

  • যখন লিভার মারাত্মক পর্যায়ে যায় তখন জন্ডি স দেখা দেয় , চোখে গা হাত পায়ে হলুদের মতো দেখা যায়। 

  • হাত পা ফুলে যাওয়া ও পায়ে পানি আসা। 

  • খাবার মুখে তিতা  লাগা, খাবার থেকে বাজে গন্ধ পাওয়া ও খাবার দেখলেই বমি বমি ভাব আসা। 

  • পেট ফুলে যাওয়া এবং পেট ফাঁপা দেওয়া ও অতিরিক্ত শক্ত অনুভব হওয়া।

 এ সমস্ত উপসর্গ যদি আপনি আপনার মাঝে দেখতে পান তারও দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন। কারণ লিভারের সমস্যা দ্রুত ও প্রাথমিক পর্যায়ে যদি চিকিৎসা হয় তাহলে ঝুঁকি সমস্যা খুবই কম থাকে। 

গ্যাস্ট্রোলিভার মানে কি?


লিভার মানব দেহের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ।   লিভার মানব শরীরের ৫০০টি কাজ করে থাকে। তাই একজন মানুষের শরীরে এবার সব থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। বিভিন্ন কারণে মানুষ এই লিভারে সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে , তাই লিভার বিভিন্নভাবে বিভিন্ন কারণে লিভার আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই এক কথায় যে কোন বিষয় লিভার আক্রান্ত হওয়াকেই  বলা হয় গাস্ট্রিওলিভার। আমাদের দেশে প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষই এই গ্যাসটি লিভার রোগে আক্রান্ত। 

লিভারের আক্রান্ত রোগটি বেড়ে চলছে। লিভারের ছোট ও প্রাথমিক সমস্যা থেকেই একসময় এবার খারাপ পর্যায়ে চলে যায়। কারণ আমরা অনেকেই লিভারের প্রাথমিকভাবে যদি কোন সমস্যা দেখা দেয় সেটাকে আমরা তেমনভাবে গুরুত্ব দেই না।

 কিছুদিন ঔষুধ খাওয়ার পর যখন কমে যায় তখন আবার গুরুত্ব দেওয়া হয় না। যে কারণে এক পর্যায়ে লিভার আক্রান্ত হয়ে মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তাই লিভার জনিত কোন সমস্যা যদি আপনার থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে ওষুধ সেবন করবেন এবং নিয়ম কানুন মেনে চলবেন, চিকিৎসক আপনাকে কবার তার কাছে যেতে বলবে অবশ্যই ততবার চিকিৎসকের কাছে যাবেন। 


লিভার ইনফেকশনের লক্ষণ। 

লিভার জনিত সমস্যা অনেক ধরনের হতে পারে। কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় যে লিভারের চর্বি বেড়ে যায়, লিভারে ইনফেকশন হয়জন্ডিস আক্রান্ত হয়েও লিভার নষ্ট হয়, হেপাটাইটিস বি ভাইরাস হলে সর্বপ্রথম লিভার এফেক্ট করে, আরো বিভিন্ন কারণেই লিভারে রোগে একজন ব্যক্তি আক্রান্ত হতে পারে।


নিম্নে লিভার ইনফেকশনের যে সকল লক্ষণ সমূহ আছে সেগুলো উল্লেখ করা হলো -

  • অনেক সময় দেখা যায় যে অতিরিক্ত গ্যাস জনিত কারণে খাদ্যনালীতে হালকা ক্ষত হয় , সেই ক্ষত থেকে ইনফেকশন পর্যায়ে চলে যায়। খাদ্যনালীর তে ইনফেকশন হলে ওই ইনফেকশন অনেক সময় লিভারের ছড়িয়ে যায়। 


  •  যখন লিভারে ইনফেকশন অল্প পরিমাণে ছড়িয়ে যায়। তখন রোগীর খাবারের প্রতি রুচি কম থাকে, পেটে প্রচুর ক্ষুধা থাকে কিন্তু সে চাইলে খেতে পারেনা, শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল হয়ে যায়, অনেক সময় তো ফুলে যায়


  • যখন লিভারে ইনফেকশন বেশি পরিমাণে বেড়ে যায় তখন খাদ্য খাবার সবকিছু মুখে তিতা লাগে, খাদ্যনালীতে প্রচুর জ্বালাপোড়া করে , অনেকের খালি পেটে থাকলেও পেট ভরা ভরা লাগে, কোন খাবারেরই স্বাদ থাকে না। 


  • যখন লিভার ইনফেকশন  হয়  মারাত্মক পর্যায়ে হয়।  তখন রোগীর চোখ হাত পা সবকিছু হলদে বর্ণ হয়ে যায়। অনবরত বমি করতে থাকে। শরীরের মধ্যে খুবই অসুস্থ অসহ্য অনুভব হয়। পেটে ব্যাথা হয় এছাড়াও আরো বিভিন্ন জটিল জটিল মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়।

লিভার নষ্ট হলে করনীয়। 


লিভার যদি নষ্ট হয় তাহলে চিকিৎসক আপনাকে যেভাবে চলতে বলবে ও ওষুধ খেতে বলবে ঠিক সেই ভাবেই নিয়ম অনুসারে সবকিছু করতে হবে। আর লিভারের রোগীর জন্য পানির কোন বিকল্প নেই প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। আর তরো জনিত খাবার খেতে হবে, ঝাল মসলা অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে, সাথে ও স্বচ্ছ খাবার খেতে হবে। 


আশা করি আমার এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমি আজকে আপনাদের লিভার সংক্রান্ত যে সব রোগ গুলো আছে সেগুলো হয়তো কিছু হলেও আপনাদেরকে জানাতে পেরেছি। তাই যদি কেউ আপনি মনে করেন যে আপনি নিবার জন্য কোন সমস্যা আক্রান্ত হয়েছেন তাহলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের স্বনাপন্ন হবেন এবং চিকিৎসা গ্রহণ করবেন ইনশাল্লাহ আপনি রোগ মুক্ত হবেন ধন্যবাদ-

Next Post Previous Post