মাইগ্রেন ব্যথার লক্ষন ও মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর উপায়।

 মাইগ্রেন ব্যথার লক্ষন  ও মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর উপায়। মাইগ্রেনে এমন একটি সমস্যা যা ছোট বড় বৃদ্ধ বয়স্ক অল্পবয়স্ক যে কারণে সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর মাইগ্রেনের সমস্যা এমন  একটা  সমস্যা যেটা যার এই মাইগ্রেনের সমস্যায় সেই একমাত্র বুঝতে পারে। বিশেষ করে এই মাইগ্রেনের প্রধান সমস্যা হল মাথাব্যথা, এই মাথা ব্যথা এমন তীব্র আকার ধারণ করে যার রোগীকে খুব অসুস্থ করে ফেলে। তাই আমি আজকে মাইগ্রেন সংক্রান্ত যে সমস্ত সমস্যা ও বিষয়গুলো আছে সেসব বিষয় আলোচনা করার চেষ্টা করব। 

আজকের আলোচ্য বিষয়গুলো হলো-Migraine

  • মাইগ্রেন ব্যথার লক্ষন  ও মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর উপায়।
  • টেনশন হেডেক এর লক্ষণন। 
  • মাথা দপ দপ করার কারণ। 
  • জ্বর মাথা ব্যাথার ঔষধের নাম। 
  • সাইনোসাইটিস কি?

মাইগ্রেন ব্যথার লক্ষন  ও মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর উপায়।


মাইগ্রেন ব্যথার লক্ষন  ও মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর উপায়।


মাইগ্রেনের সমস্যায় বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ এই ভুক্তভোগী। কিন্তু অনেকেই বুঝতে পারে না যে একজন ব্যক্তি মাইগ্রেন সমস্যায় ও রোগে আক্রান্ত। মাইক্রোনে আক্রান্ত রোগীদের অনেক ধরনের সমস্যাই দেখা দিয়ে থাকে। তাই চলুন জেনে নেই কিভাবে আপনি বুঝবেন যে আপনি মাইগ্রেনের সমস্যায় আক্রান্ত। 


মাইগ্রেনের ব্যথার লক্ষণ-

১  ঘার সহ মাথা ব্যথা হওয়া

  তীব্র মাথাব্যথা হওয়া অনেক সময় মাথার এক পাশ থেকেও ধরে বেথা হয় এমনকি সম্পূর্ণ মাথা নিয়েও ব্যথা হয়। 

  তীব্র মাথাব্যথা হয়ে চোখও ব্যথা হয়ে যাওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা।

  রৌদ্রে ও চুলার আগুন এর কাছে গেলে মাথা ব্যথা হওয়া

  অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যারা হিজাব পরে অনেকক্ষণ মাথা হিজাব দিয়ে বেঁধে রাখলে মাথা ব্যথা দেখা দেয়। 

  বমি বমি ভাব হওয়া তার সাথে মাথা ব্যথা হওয়া। 

   কোন রকমের টেনশন অথবা দুশ্চিন্তা করলে সাথে সাথে মাথায় ব্যথা হওয়া এবং কানের তালিক আটকে যাওয়া। 

  জোরে কোন শব্দ ও অনেক মানুষের সংস্পর্শে না থাকতে পারা। 

  ঘর থেকে বের হয়ে যদি হঠাৎ রোদে বের হয় তাহলে যদি সাথে সাথে মাথা ব্যথা ও চোখে ব্যথা অনুভব হয় তাহলে এটাও মাইগ্রেনের সমস্যা। 

১০  জোরে কথা বলা ও কান্না করলে মাথা ধরে যাওয়া ও কানে পু ,পু .... করে শব্দ হওয়া। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে একজন মাইগ্রেন আক্রান্ত রোগীর। 

মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর উপায়: আপনি যদি অনুভব করতে পারেন বা উপলব্ধি করতে পারেন যে আপনি মাইগ্রেনের সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন তাহলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে ওষুধ অথবা তাদের নিয়ম কানুন মেনে চলবেন। মাইগ্রেন সমস্যা ও মাইগানের ব্যথা কমানোর উপায় হচ্ছে নিয়ম মেনে চলা।  

যেমন-এমাইগ্রেনের রোগী রোদে, ও আগুন চুলার কাছে ইসব উত্তপ্ত কোন কিছু সংস্পর্শে দেওয়া যাবে না। সবসময় শব্দ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে, নিয়মিত গোসল করতে হবে, সব সময় চেষ্টা করতে হবে টেনশন অথবা দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখা, জোরে কথা না বলা, বেশি করে পানি খাওয়া, অতিরিক্ত মানুষের সমাগম থেকে ধরে থাকা, পারিপার্শ্বিক কোনো বিষয় চাপ না নেওয়া ও উত্তেজিত না হওয়া। বেশিক্ষণ ল্যাপটপ মোবাইল ও টিভি  সামনে না বসা, রাত না জাগা সঠিক সময় ঘুমানো, আর ডাক্তার যদি কোন মেডিসিন দেয় বা ওষুধ খেতে দেয় সেগুলো নিয়মিত সেবন করা। 

টেনশন হেডেক এর লক্ষণ ।

টেনশন হেডেক হল একটি রোগ, এই রোগের প্রধান নমুনা হচ্ছে তীব্র মাথাব্যথা। টেনশন হেডেক বলতে বোঝা যায় যে কোন বিষয় নিয়ে চিন্তিত অথবা উত্তেজিত কোন বিষয় চাপ নিলে যখন মাথাব্যথা হয় তাকে সাধারণত টেনশন হেটে বলা হয়ে থাকে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে যে কিভাবে বুঝব যে আমি টেনশন  হেডেক  আক্রান্ত কিনা। 

 টেনশন হেডেক এর লক্ষণ সমূহ-

  • ঘাড়  সহ প্রচন্ড মাথা ব্যথা হওয়া

  • একটানা একভাবে 15 দিন 24 দিনের মতো মাথাব্যথা থাকা

  • সারাদিনের কাজকর্ম শেষ করে যখন ক্লান্ত হয়ে বিক্রমের জন্য নিজেকে গুছিয়ে নেয় ঠিক তখন অতিরিক্ত ভাবে মাথাব্যথা করা এবং অসহ্য বিরক্ত অনুভব হওয়া। 

  • মাসের মধ্যে প্রায় ১০-১২ দিন মাথাব্যথা হওয়া

  • কোন বিষয়ে চিন্তা করা মাত্রই সাথে সাথে মাথা ধরে যাওয়া ভার হওয়া ও ব্যথা হওয়া

  • মাথার সামনে দুই পাশের রগ লাফানো

  • রাতে ঠিকমত ঘুম না হওয়া এবং ঘুমের মধ্যে সারাদিন যে কাজ কর্ম করা হয় সেগুলো স্বপ্নে দেখা। 

  • ঘুমন্ত অবস্থায় আপনার মনে হচ্ছে আপনি হেঁটে হোঁচট খেয়ে পড়ে গেছেন কিন্তু পড়ে দেখেন আপনি এটা স্বপ্ন দেখেছেন প্রায় সময়ই এটা যদি নিজের সাথে হয় তাহলে বোঝবেন আপনি টেনশন হেডেক আক্রান্ত। 

মাথা দপ দপ করার কারণ।

মাথা ধপ ধপ করা এটি একটি মাইগ্রেনের সমস্যার লক্ষণ। কারণ মাইগ্রেনের রোগের যেসব ব্যক্তি আক্রান্ত তাদের ক্ষেত্রে এই মাথা ধপ ধপ করা সমস্যাটা বেশি দেখা দেয়। অনেক সময় দেখা যায় যে উচ্চস্বরে কথা বললে অথবা কোন বিকট শব্দ হঠাৎ করে শুনলে সাথে সাথে মাথায় ধক ধক অনুভব হয়। তখন মাথা খুব ভার হয়ে যায় এবং অসহ্য বিরক্ত অনুভূতি হয় মাথার মধ্যে। 

জ্বর মাথা ব্যাথার ঔষধের নাম। 

জ্বর মাথাব্যথা এগুলো একটি কমন রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে যে কোন বয়সে মানুষ এবং যেকোনো সময়ই জ্বর ও মাথা ব্যথায় আক্রান্ত হতে পারে। আমরা অনেকেই জ্বর আর মাথাব্যথা দেখাতে নেই হুট করে অনেক ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকি। , কিন্তু এটা আমরা ভুল করি, কারণ অনেক সিরিয়াস রোগের স্বর্গ হচ্ছে জ্বর আর মাথা ব্যথা। এখনো ব্যক্তি যদি একজন আপনার জ্বর আর মাথাব্যথা খুব তীব্র আকার ধারণ করেছে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ। তাহলে আপনি একটি শুধু নাপা ট্যাবলেট খেতে পারেন তবে তাও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া না খাওয়াই ভালো। 

please wait... follow
Next Post Previous Post