গ্যাসের ঔষধের নামের তালিকা এবং দাম

 গ্যাসের ঔষধের নামের তালিকা এবং দাম। গ্যাসট্রিক নাই এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। গ্যাস্ট্রিক কে জাতীয় রোগ ও বলা হয়। গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য গ্যাস্ট্রিক এর ঔষধ আমরা সবাই খাই।বর্তমান সময়ে গ্যাস সমস্যা মানুষের একটি সর্বজনীন সমস্যা। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিক্রিত ঔষধ গুলোর মধ্য গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ গুলো অন্যতম। আর এর অন্যতম কারণ হলো এই ওষুধটা সহজেই পাওয়া যায়। স্বাভাবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এগুলো তেমন পার্শ্ববর্তী ক্রিয়া নাই থাকলেও দীর্ঘদিন শরীরের উপর কোন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না।

গ্যাসের ঔষধের নামের তালিকা এবং দাম।

গ্যাসের ঔষধের নামের তালিকা এবং দাম।  

তাই অনেকেই নাম জানেনা বা মনে না থাকার কারনে অনলাইনে অনেক মানুষই গ্যাসট্রিক এর ট্যাবলেটের বা ঔষধৈ্র নাম খোঁজ করে থাকে।তাই তাদের জন্য আজকের এই আর্টিক্যাল কেননা আমরা আলোচনা করবো গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ, দাম, নাম সম্পর্কে।


তাই বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিক্যালটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এবং আমাদের সাথে থাকুন। 


গ্যাস্ট্রিক হওয়ার কারণ কি?


গ্যাস্ট্রিক হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে হজম ঠিক মত না হওয়া। আর হজম হওয়ার জন্য একমাত্র কাজ করে আমাদের পরিপাকতন্ত্র( পাকস্থলি )। পরিপাকতন্ত্রের মধ্যে যেসব রোগ দেখা দেয় তার মধ্যে গ্যাস্ট্রিক অন্যতম।আর পরিপাকতন্ত্রের মূল কাজ হচ্ছে আমরা দৈনন্দিন যেসব খাবার খাই তা ভেঙে ঠিক মত হজম করানো।


আর হজম বলতে বুঝায় জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খাবার ভেঙে ছোট ছোট অংশ হিসেবে পরিপাকতন্ত্র থেকে রক্তে প্রবেশ করানো।

আমরা যখন খাবার খাই আমাদের পরিপাকতন্ত্র সেই খাবার সঠিক সময়ের মধ্যে ঠিকভাবে হজম করতে না পারে তখনই আমাদের পেটে গ্যাসট্রিকের সমস্যা তৈরি হয়।


গ্যাস্ট্রিক হওয়ার পেছনে কিছু বদঅভ্যাস রয়েছে:


1.সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা এবং নাস্তা না করা।

2.অতিরিক্ত ভাজা-পোড়া বা তেলজাতীয় খাবার খাওয়া।

3.মশলাদার খাবার খাওয়া

4.খুব বেশি অ্যালকোহল পান করা

5.দীর্ঘ মানসিক চাপ


প্রাইভেট সুবিধার্থে কিছু পরিচিত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো :


গ্যাস্ট্রিকের ঔষধের নামের তালিকা

গ্যাসের ঔষধের নামের তালিকা এবং দাম।



ঔষধের নাম = প্রতি পিসের দাম


রেনিটিডিন = ২ টাকা

এক্সিলক ২০ = ৫ টাকা

ইসোটিড ২০ = ৫ টাকা

ওপি ২০ = ৫ টাকা

লোসেকটিল = ৫ টাকা

রেবিপ্রাজল = ৫ টাকা

সেকলো ২০ = ৬ টাকা

সারজেল ২০ = ৭ টাকা

মাক্সপ্রো ২০ = ৭ টাকা

ফিনিক্স ২০ = ৭ টাকা

বিঃ দ্রঃ (সময়ের সাথে দাম পরিবর্তনশীল)


ওমিপ্রাজল ব্রান্ড


1. সেকলো ( Seclo )- স্কয়ার ফার্মা

2. লোসেকটিল ( Losectil )- এস কে এফ ফার্মা

3. ওমেনিক্স ( Omenix )- ইনসেপ্টা ফার্মা

4. প্রোসেপটিন ( Proceptin )- বেক্সিমকো ফার্মা

5. জেলড্রিন ( Xeldrin)- এসিআই ফার্মা



ইসোমিপ্রাজল ব্রান্ড


1. সারজেল ( Sergel ) - হেলথ কেয়ার ফার্মা

2. ম্যাক্সপ্রো ( Maxpro ) - রেনাটা ফার্মা

3. নেক্সাম ( Nexium ) - স্কয়ার ফার্মা

4. এক্সিয়াম ( Exium ) - রেডিয়েন্ট ফার্মা

5. ইসোরাল ( Isoral) - এসকেএফ ফার্মা



রেবিপ্রাজল ব্র্যাড


1. ফিনিক্স ( Finix ) - অপসোনিন

2. এসিফিক্স ( Acifix ) - বেক্সিমকো ফার্মা

3. প্যারিসেল ( Paricel ) - এসিআই ফার্মা

4. রেব ( রেব ) - এরিস্টো ফার্মা

5. বেবি ম্যাক্স ( Babemax ) জেনারেল ফার্মা



প্যানটোপ্রাজল ব্রান্ড


1. পেন্টোনিক্স ( Pantonix ) - ইনসেপ্টা ফার্মা

2. পেন্টোবেক্স ( Pantobex ) - বেক্সিমকো ফার্মা

3. ট্রুপান ( Trupan ) - স্কয়ার ফার্মা


গ্যাসের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম


গ্যাস্ট্রিক ঔষধ খাওয়ার সাধারণত নিয়ম হচ্ছে প্রতিদিন ২ বেলা খেতে হবে। সকাল ও রাতে খাওয়ার ২০ মিনিট আগে। তাহলে ঔষধ ভাল কাজ করবে।

গ্যাসের ঔষধের নামের তালিকা এবং দাম।



ওষুধকে পরিহার করে জীবন যাপন করাই উত্তম। ওদের লাইফস্টাইল ঠিক করে ওষুধ গ্রহণের মাত্রা কমিয়ে ফেলতে পারি। আমাদের লাইফস্টাইল পরিবর্তন করলেই ৭০ থেকে ৯০% গ্যাস্ট্রিক আলসারের চিকিৎসা লাগে না। সাধারণত খাবারের অনিয়ম আমাদের পাকস্থলীর ভারসাম্য নষ্ট করে আর এই ভারসাম্য নাগালের বাহিরে গেলে তখন যত সমস্যা সৃষ্টি হয়।


ব্যাপার আমরা শরীরের ব্যথা কমানোর জন্য ব্যথার ওষুধ খাই যেটা খেয়ে গ্যাস্ট্রিক আলসারের ব্যথা বাড়ে। তাই যতদূর সম্ভব ব্যথার ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকবো।

Next Post Previous Post