১০ হাজার টাকায় 10 টি ব্যবসার আইডিয়া ঃ নতুন কিছু ব্যবসার আইডিয়া ২০২৪
অনেকেই অনলাইনে কিছু একটা করতে আগ্রহী, কিন্তু কী করবে সেটা সিলেক্ট করতে পারেনা, অনলাইনে এত এত কাজের মধ্যে কোন কাজটি নিজের জন্য সবচেয়ে বেশী সুবিধাজনক এবং প্রফিটেবল হবে তা অনেকেই বুঝে উঠতে পারেনা.
অনলাইন দুনিয়ায় সফল হতে হলে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য সেট করতে হবে। লক্ষ্য ছাড়া আপনি বড় কোন Achievement পাবেননা. পেলেও ধরে রাখতে পারবেন না, But কিভাবে লক্ষ্যকে সুনির্দিষ্ট করা যেতে পারে? কিভাবে নিজের জন্য স্পেসিফিক ক্যাটাগরির কাজ সিলেক্ট করা যেতে পারে? কিভাবে একটা গোল সেট করে নিজেকে সফলতার দিকে এগিয়ে নেওয়া যেতে পারে! চলুন এই ব্যাপারটা নিয়ে একটু কথা বলা যাক:
*নিজের জন্য সঠিক কাজটি খুজে বের করুন: গ্রামের বাজারে ব্যবসার আইডিয়া
পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ আলাদা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী. আপনার কাজিন অথবা পরিচিত কাছের কোন ব্যক্তি অনলাইনের নির্দিষ্ট কোন সেক্টরে সফল বলে আপনি যে সফল হবেন, এমনটা না ও হতে পারে। তার মানে এই না যে, আপনি ঐ নির্দিষ্ট কাজটি সম্পর্কে জানবেন না. ভালো লাগলে আপনি অবশ্যই কাজটি সম্পর্কে করবেন. আপনি যথা সম্ভব অধিক কাজ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন.
আমরা যদি কোন ছোট বাচ্চাকে জিজ্ঞেস করি যে, তুমি জীবনে কী হতে চাও? তখন সে উত্তরে হয়তো বলে: ডক্টর. ইন্জনিয়ার. পাইলট অথবা অন্যকিছু. অধিকাংশ বাচ্চা এগুলো বলবে, কারণ পৃথিবীতে যে আরো লক্ষাধিক পেশা আছে, তা বাচ্চাটির জানা নেই. তাই তাকে লিমিটেড অপশনগুলোর মধ্য থেকেই চুজ করতে হচ্ছে.
আপনার কাছে কোন কোন কাজ সবচেয়ে বেশী ভালো লাগে তার একটি তালিকা তৈরী করুন. তালিকা তৈরীর আগে যত বেশী সম্ভব কাজ সম্পর্কে জেনে নিন, অনলাইনে কি কী কাজ করা যেতে পারে, সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা অর্জন করুন.
(জানার জন্য সময় নিন, নিজেকে রিল্যাক্স রাখুন, কারণ আপনার সিলেকশনই আপনি আগামীতে কত উপরে উঠবেন তা ঠিক করে দিবে)
মনে করুন: আপনি ৩ টি কাজ খুজে পেলেন, যেগুলো আপনার সবচেয়ে ভালো লাগে, এরপর ৩ টি কাজের প্রতিটা কাজকে আরেকটু ভালো করে পর্যবেক্ষণ করুন. প্রয়োজনে প্রতিটি কাজকে ১ থেকে ১০ এর মধ্যে মার্ক দিন.
মার্ক দেওয়ার ক্ষেত্রে ৩ টা বিষয় মাথায় রাখবেন:
- এক. কাজটি কতটা ভালো লাগে.
- দুই. মিনিমাম ১০ বছর পরে এই কাজটি করা সম্ভব হবে কিনা বা এর মার্কেট ভ্যালু কেমন থাকবে.
- তিন. কাজটি করার জন্য আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ Essentials বা জরুরী জিনিস গুলো আছে কিনা.
যখন আপনি সর্বাধিক মার্কপ্রাপ্ত কাজটি খুজে পাবেন, তখন আপনাকে স্বাগত জানানোই যায়, কারণ আপনি আপনার প্রথম সিঁড়ি অতিক্রম করেছেন, যেখানে অধিকাংশ মানুষ সব সময় আটকে থাকে. আপনি যে কাজটি সিলেক্ট করেছেন, এই মুহূর্তে উক্ত কাজের শীর্ষে যারা আছেন, তাদেরকে যথাসম্ভব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করুন.
*এখন আপনাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কাজটি করতে হবে:
আপনি খাতায় লিখে ফেলুন: প্রজেক্টটি থেকে আপনি আগামী দশ বছর পর মাসে কতটা টাকা আয় করতে চান. প্রজেক্ট এর কতগুলো শাখা-প্রশাখা তৈরী করতে চান এবং উক্ত সেক্টরে আপনি কী পরিমাণ সফলতা চান. (যথাসম্ভব স্বপ্নটি বড় করে লিখুন, আপনার চিন্তার সর্বোচ্চ ড্রিমটি লিখুন)
আপনার যদি কোন ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করার চিন্তা থাকে, তাহলে লিখুন: আগামী দশ বছর পর আপনার ওয়েবসাইটটি কতটা সফল হিসেবে দেখতে চান. এবং উক্ত ওয়েবসাইটের অধিনে সর্বমোট কতগুলো ওয়েবসাইট, App, ইউটিউব চ্যানেল থাকবে, বা কী কী সার্ভিস বা প্রডাক্ট থাকবে, বিস্তারিত গভীরভাবে চিন্তা করুন. এর পর লেখা শুরু করুন:
প্রায় প্রতিদিনই আমরা কোন না কোনও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে থাকি। কারণ সবাই ব্যবসা করে সফল হতে পারেন না। এর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে সঠিক ও লাভজন বিজনেস আইডিয়া বেছে নিতে ভুল করা, সঠিক বিনিয়োগ এবং অন্যান্য দিক-নির্দেশনার অভাব।
লাভজনক বিজনেস আইডিয়াঃবাড়িতে বসে ছোট ব্যবসার আইডিয়া
হঠাৎ করে কোন ব্যবসায় বিনিয়োগের পূর্বে আগে তার মার্কেট ভ্যালু সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে। এমন অনেক ব্যবসা আছে, যা নির্দিষ্ট একটি সময়ের জন্য। আাবার এমন ব্যবসাও রয়েছে, যার চাহিদা কখনো শেষ হবে না। আজ তেমনই কিছু লাভজনক বিজনেস আইডিয়া বর্ণনা করবো, যা সম্পর্কে আপনি নিজেও জানেন কিন্তু করার কথা ভাবেন না। তাহলে চলুন, শুরু করি।
১. খাদ্যদ্রব্যের ব্যবসা
খাদ্য মানুষের মৌলিক চাহিদা। জীবনের শুরু থেকে শেষ দিনটি প্রয়োজন মানুষের বেঁচে থাকতে হলে খাদ্য গ্রহণ করতেই হবে। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট বয়সের কোন মানুষের জন্য নয়, শিশু থেকে বড় সবারই খাদ্য প্রয়োজন। মানুষ যতকাল বাঁচবে, ততকালই খাদ্য খাবে।
সুতরাং খাদ্যের চাহিদা মানুষের কোনদিনই শেষ হবে না। আর এ কারণেই খাদ্যদ্রব্যের ব্যবসায় ব্যবসায়ীরা সাধারণত ক্ষতিগ্রস্থ হয় না। তাই আপনি যদি এখনো ভাবেন কি নিয়ে ব্যবসা শুরু করবেন, তাহলে খাদ্যদ্রব্যের ব্যবসা হতে পারে আপনার জন্য দারুণ একটি আইডিয়া।
আপনি যদি ইতোমধ্যেই এ ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে থাকেন, তবে মনোযোগ বাড়িয়ে দিন। আর যদি নতুন করে ব্যবসা করার কথা ভেবে থাকেন, তবে অন্য চিন্তা বাদ দিয়ে ফুড বিজনেসে নেমে পড়ার এখনই সময়। অল্প পুঁজিতে করার মতো বেশকিছু ফুড বিজনেস আইডিয়া রয়েছে, যা অনুসরণ করে আপনি এই ব্যবসায় সফল হতে পারেন।
২. ফার্মাসিউটিক্যালস ব্যবসা
জীবনে অসুস্থ্য হয়নি এমন মানুষ একটিও খুঁজে পাওয়া যাবে না। মানুষ মাত্রই অসুস্থ্য হয় এবং সুস্থ্য হওয়ার জন্যে ঔষধ খায়। আর মানুষ যত দিন বাঁচবে, ততদিনই জীবনের কোন না কোনও অসুস্থ্যতায় ঔষধ খাবে। তাই ফার্মাসিউটিক্যালস্ বিজসেন এমন একটি আইডিয়া, যেখানে ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। যারা ঔষধ উৎপাদন করেন এবং বিপনন বা ব্যবসা করেন, তারা খুব সফলতার সাথেই ব্যবসাটি পরিচালনা করছেন।
আপনার যদি বেশ ভালো পুঁজি থাকে, তবে এমন একটি ফার্মাসিউটিক্যালস্ কোম্পানী খুলতে পারেন যেখানে সব রোগের ঔষধ উৎপাদন হবে। আর যদি আপনার পুঁজির পরিমাণ কম হয়ে থাকে , তবে নিজ এলাকায় ঔষধের দোকানও দিতে পারেন।
তবে ফার্মেসি ব্যবসা বেশ লাভজনক একটি ব্যবসা। এক্ষেত্রে আপনার ব্যবসায়ের লাভ সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার পুঁজির উপর। আপনার পুঁজি যত বেশি হবে লাভ তত বেশি হবে। সাধারণত ওষুধ বিক্রি করতে পারলে ১২-১৫% পর্যন্ত লাভ থাকে। অনেক ঔষধে ৫০% পর্যন্ত লাভ হয়ে থাকে।
৩. হেলথ কেয়ার ব্যবসা
আপনার নিশ্চয়ই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে কিংবা নিজে ভর্তি না হলেও আত্মীয়-স্বজনকে ভর্তি করিয়েছেন। মানুষ যখন গুরুতরভাবে অসুস্থ্য হয়, তখন হাসপাতালে না গিয়ে উপায় থাকে না। আর কিছুটা হলেও টের পেয়েছেন যে হাসপাতালগুলো কি পরিমাণ ব্যবসা করছে।
যদিও স্বাস্থ্য সেবা কোন ব্যবসা না, কিন্তু স্বাস্থ্যকে কেন্দ্র করে পরিচালিত ব্যবসায় আপনি সফল হতে পারেন। খাদ্য এবং ঔষধের মতই হেলথ্ কেয়ারও নন-ফ্লপিং বিজনেস। আর লাভের দিক থেকে ঔষধ কোম্পানীর পরেই এর অবস্থান।
হেলথ্ কেয়ার আর হাসপাতাল প্রায় কাছাকাছি শব্দ। তবে, হেলথ্ কেয়ার বললে ছোট পরিসর আর হাসপাতাল বলতে বড় পরিসর বোঝায়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫৫৩৪ টি নিবন্ধনকৃত হাসপাতাল রয়েছে। যা প্রতিদিন প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ ব্যবহার করে। তাই অল্প সময়ে সফল হতে চাইলে বড় পুঁজি নিয়ে এই ব্যবসায় নেমে পড়ুন। একা না পারলে প্রয়োজনে কয়েকজন মিলে শুরু করুন।
৪. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ব্যবসা
একটা সময় তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিরক্ষরতার পরিমাণ তীব্র থাকলেও এখন তা কমেছে। এর কারণ, মানুষ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করছে। এখন মানুষের মধ্যে স্বাক্ষরতা বৃদ্ধির প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মানুষের মৌলিক চাহিদা হিসেবে শিক্ষা অনেক আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত। প্রতিটি বাবা-মা’ই তাদের সন্তানকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে চান। আর সে লক্ষেই ছেলে-বেলা থেকেই ভাল স্কুলে ভর্তি করার তৎপরতায় থাকেন। সুতরাং অন্যগুলোর মধ্যে শিক্ষাও একটি লাভজনক বিজনেস আইডিয়া যাতে কখনো ফ্লপ খাওয়ার ভয় নেই।
আপনার পুঁজি যদি অনেক বেশি হয়, তবে স্কুল, কলেজ কিংবা ইউনিভার্সিটির মত প্রতিষ্ঠানের প্রতি গুরুত্ব দিন। আর পুঁজি হলেও সমস্যা নেই। কিন্ডার গার্টেন বা ছোট-খাট কোচিং সেন্টার খুলে আপনি বেশ ভালো পরিমাণে উপার্জন করতে পারবেন।
তবে শুধু একাডেমিক শিক্ষাই না, অন্যান্য কারিগরী শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা রাখাও হবে বুদ্ধিমানের কাজ। শুধুমাত্র কারিগরী শিক্ষার জন্যই আপনি আলাদা কোন ট্রেনিং সেন্টার গড়ে তুলতে পারেন। বর্তমানে এর আকাশচুম্বী চাহিদা রয়েছে।
৫. ইন্টেরিয়র ডিজাইনার
আমাদের দেশে, বিত্তশালীরা বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য তাদের বাড়ি বা বিল্ডিং সাজানোর কথা ভাবেন। আপনার যদি একটু দক্ষতা এবং মেধা থাকে তবে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
এই ব্যবসা শুরু করতে খুব বেশি টাকা লাগে না। কিন্তু আপনি যদি এই ব্যবসায় সফল হতে চান তাহলে আপনাকে ঘর সাজাতে খুব ভালো হতে হবে।
৬. পোশাকের ব্যবসা
মানুষ সারা বছর জুড়েই পোশাক কিনে থাকে। আর বিভিন্ন উপলক্ষ বা উৎসবে পোশাক কেনার পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। কাজেই পোশাকের ব্যবসা এমন একটি আইডিয়া যাতে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। কারণ মানুষকে চিরকাল জামা-কাপড় পরতে হবে। আর জামা-কাপড় কিনতে ব্যবসায়ীর কাছে আসতে হবে।
তবে মানুষ শুধু এখন পোশাকের প্রতিই মনযোগি না, তার ফ্যাশনের প্রতিও বেশ আগ্রহী। তাই আপনি যদি কোন পোশাক তৈরির ব্যবসা করতে চান, তাহলে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নিত্য নতুন পোশাক বাজারে আনতে হবে। মানুষ কোন ধরনের পোশাক পরতে চায়, তা জানতে হবে।
মৌসুম অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন পোশাকের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। যেমন শীতকালে যে পোশাকের চাহিদা থাকে, গরমের সময় তা থাকে না। তাই ক্রেতার চাহিদা ও ঋতু বুঝে পোশাক সংগ্রহ করতে হবে। আর তাহলেই কেবল সফল পোশাক ব্যবসায়ী হতে পারবেন।
যদিও জামা-কাপড়ের ব্যবসা তুমুল প্রতিযোগীতাপূর্ণ, কিন্তু আপনার যদি এ বিষয়ে ভাল ধারণা থাকে, তবে আপনি গার্মেন্টস্ খুলতে পারেন, পাইকারি কিংবা খুচরা বিক্রির দোকান দিতে পারেন।
বিভিন্ন প্রকার পোশাকের ব্যবসার মধ্যে নিচেরগুলো বেশ জনপ্রিয়:
- গজ কাপড়ের ব্যবসা
- ভাড়া পোশাকের ব্যবসা
- পোশাকে এমব্রয়ডারির ব্যবসা
- ব্লক ও বাটিকের ব্যবসা
- বুটিক হাউস
৭. ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট
এখনকার সময়ে জনপ্রিয় ও লাভজনক বিজনেস আইডিয়া গুলোর মধ্যে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট অন্যতম। সারাবিশ্ব জুড়ে অনেক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম রয়েছে এবং প্রতিনিয়তই কাজের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাওয়ায় এর সংখ্যাও বাড়ছে।
নতুনত্ব, সৃজনশীলতা, সচেতনভাবে গ্রাহকের চাহিদা ও বাজেটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্মগুলো কাজ করে থাকে। আপনি গ্র্যাজুয়েশনে অধ্যয়নরত অবস্থায় এরকমই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পার্টটাইম জব করতে পারেন। অথবা চাইলে নিজেও গড়ে তুলতে পারেন একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান।
যদিও বর্তমানে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা বেশ প্রতিযোগিতাপূর্ণ। তবে ক্যারিয়ার লাইফ উপভোগ করারও যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে এখানে। শুরুতে যেকোন ব্যবসাই চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। যা পরবর্তীতে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার আলোকে আয়ত্বে আনা সম্ভব।
তবে শুরুর আগে সরাসরি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ব্যবসায় না নেমে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের অধীনে কিছুদিন জব করে নিতে পারেন। তবেই প্রকৃত অর্থে নিজেকে চিনতে পারবেন। নিজেকে চিনতে পারার মাধ্যমেই নিজের অবস্থান আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
প্রথমাবস্থায় অফিস না নিয়ে ঘরে বসেই অল্প পুঁজিতে আপনি শুরু করতে পারেন। শুরুতে বড় ইভেন্ট না ধরে ছোট ছোট ইভেন্ট দিয়ে শুরু করতে হবে। এতে চাপ থাকবে কম এবং বেশি বিনিয়োগও করতে হবে না। তবে অফিস নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে স্থানভেদে আপনার বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
৮. ই-কমার্স ব্যবসা
আপনি কি জানেন বর্তমানে অনলাইন থেকে আয় করার সবচেয়ে উপযুক্ত মাধ্যম কোনটি? অবশ্যই ই-কমার্স। বিশ্বব্যাপী মানুষ ই-কমার্স করে আয় করে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। সারাবিশ্বে এত সংখ্যক মানুষ ই-কমার্স বেছে নেয়ার একটাই কারণ, এই ব্যবসা খুবই অল্প পুঁজিতে শুরু করা যায়।
ই-কমার্স ব্যবসার জন্য আপনার কোন দোকান ভাড়া করতে হবে না। এমনকি কোন অফিসও নিতে হবে না। আপনি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ঘরে বসেই আপনার প্রোডাক্টগুলো বিক্রি করতে পারেন। আর এখন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় শপ ফিচার সহজলভ্য থাকায় ওয়েবসাইটেরও প্রয়োজন হয় না।
তবে এ ব্যবসা শুরুর জন্য আপনাকে বহুল চাহিদাসম্পন্ন পণ্য বেছে নিতে হবে। এমন সব পণ্য নিয়ে হাজির হতে পারেন যা গ্রাহককে আকৃষ্ট করতে পারে। পাশাপাশি ই-কমার্স ব্যবসাকে আরো বেশি সাফল্য এনে দিতে পণ্যের নতুনত্বের সাথে গুণগত মানের কোন কম্প্রোমাইজ চলবে না। ক্রেতা একবার মানসম্মত পণ্য হাতে পেলে বার বার আপনার কাছ থেকেই কেনার কথা ভাববে।
ই-কমার্সের জন্য বেশ জনপ্রিয় পণ্যসমূহ:
- বই
- পোশাক
- হাতে তৈরি শোপিস
- ঘরোয়া খাবার
- মোবাইল অ্যাক্সেসোরিজ
- ব্যবহৃত আসাবাপত্র
- বাচ্চাদের খেলনা ইত্যাদি।
৯. উপহারের দোকান
আপনি কি আপনার প্রিয় মানুষদের কখনো উপহার দিয়েছেন? যদি দিয় থাকেন তাহলে অবশ্যই দেখে থাকবেন উপহারের দাম কতটা উপরে। বিভিন্ন উপলক্ষে আমরা আমাদের আত্মীয়-স্বজন, প্রিয় মানুষ বা সহকর্মীদের উপহার দিয়ে থাকি। সারাবিশ্ব জুড়েই উপহারের আদান প্রদান চোখে পড়ার মত।
ভালোবাসা বিনিময়ের এই প্রথাকে কেন্দ্র করে আপনি খুব চমৎকার একটি ব্যবসা সাজাতে পারেন। আর তা হল উপহারের দোকান। একটি উপহারের দোকান দেয়ার জন্য জনবহুল কোন জায়গা খুঁজে নিন। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ বা শপিং মলের আশেপাশে শুরু করতে পারলে কয়েক মাসের মধ্যেই এটি আপনাকে সফলতা এনে দিতে পারে।
হাতে বাজেট খুব অল্প থাকলে তুলনামূলক কম দামী সব উপহার দোকানে তুলতে পারেন। তবে আপনাকে অবশ্যই উপহারের বিচিত্র্যতা আনতে হবে। মনে রাখবেন, বাচ্চাদের জন্য যে উপহার কেনা হয়, বড়দের জন্য কিন্তু তা কেনা হয় না। একইভাবে বিয়ে কিংবা পার্টির উপহারেও রয়েছে ভিন্নতা।
তাই বয়স ও উপলক্ষ অনুযায়ী বিভিন্ন দামের উপহারের স্টক করতে হবে। পাশাপাশি কিছু ইউনিক কালেকশন সংগ্রহ করে দোকানকে এমনভাবে সুসজ্জিত করে তুলতে হবে যাতে কোনো মানুষ দোকানে এসেই তার কাঙ্খিত উপহার পছন্দ করতে পারে।
১০. আসবাবপত্রের ব্যবসা
ঘর সাজাতে আমাদের বিভিন্ন আসবাবপত্রের প্রয়োজন হয়। বিশেষ কর নতুন করে কেউ বাড়ি তৈরি করলে অনেক আসবাবপত্রের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। আর তখন আমাদেরকে অনেক টাকা খরচ করে ঘরের জন্য সুন্দর এবং মানানসই আসবাবপত্র কিনতে হয়।
শুধু ঘরের জন্যই না, কর্পোরেট অফিস থেকে শুরু করে দোকান বা শপিং মল সব জায়গাতেই আসবাবপত্রের দারুণ চাহিদা রয়েছে। এখনকার সময়ে অফিসের পাশাপাশি বিভিন্ন আউটলেট এবং সংস্থায়ও আসবাবপত্রের প্রয়োজন হয়।