ঠান্ডা জনিত কারনে কানের সমস্যা || কানের সমস্যা দূর করার উপায়

ঠান্ডা জনিত কারনে কানের সমস্যা || কানের সমস্যা দূর করার উপায়  শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছোট ছোট নানা সমস্যা দেখা দেয়। স্বাভাবিকভাবেই আবহাওয়া পরিবর্তনে শারীরিক কিছু জটিলতা দেখা দিয়ে থাকে।শীতকালে অনেকেই ঠাণ্ডাজনিত কারণে কান বন্ধ বা তালা লেগে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলোতে ও ভোগেন। এক্ষেত্রে কানে ব্যথা হওয়া, ভোঁ ভোঁ শব্দ করা এমনকি কম শোনার সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত হাঁচি-কাশি, সর্দি, গলাব্যথা, ঠাণ্ডা থেকেই কানে তালা লাগার সমস্যা দেখা দেয়।


ঠান্ডা জনিত কারনে কানের সমস্যা || কানের সমস্যা দূর করার উপায়


কিছু ক্ষেত্রে, ব্যাপারটি গুরুত্ব সহকারে না নিলে তা থেকে মারাত্মক বিপত্তি ঘটতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, কান বন্ধ হয়ে গেলে এতে করে কানের ভেতরের পর্দায় প্রদাহ বা ইনফেকশন হতে পারে। 

কানে ইনফেকশন হলে তা বিভিন্নভাবে বোঝা যায়, যেমন- কান থেকে তরল পদার্থ বের হওয়া, পুঁজ হওয়া ইত্যাদি। এমন কিছু দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।


কেন কান বন্ধ হয়ে যেতে পারে?

- সর্দি-কাশি-নাক বন্ধ হলে

- অ্যালার্জি জনিত সমস্যার কারণে

- ক্রনিক টনসিল ইনফেকশনের কারণে 

- সাইনোসাইটিসের সমস্যায়

- ভাইরাল ইনফেকশন হলে

কান বন্ধ হয়ে গেলে যেসব সমস্যা দেখা দেয়:

- হঠাৎ কানে ব্যথা বোধ হয়।

- কানের মধ্যে ভোঁ ভোঁ শব্দ হয়।

- কানে কম শোনা যায়।

- ইনফেকশনের ফলে কান থেকে রক্ত বা পুঁজ পড়তে পারে।

এ সমস্যাগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। এছাড়াও পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া উপায়েও কান বন্ধ হওয়ার সমস্যা দূর করা যেতে পারে। 

আসুন জেনে নিই সেগুলো কী কী :

- লবণ পানিতে গার্গল করলে কানের ব্যথা ও কান বন্ধ হওয়ার সমস্যা কমে যেতে পারে।

- হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করলেও এ সমস্যার সমাধান পাওয়া যেতে পারে। 

- বিভিন্ন খনিজ ও প্রাকৃতিক তেলের ব্যবহার যেমন- চা গাছের তেল, ইউক্যালিপটাস তেল বা পেপারমিন্ট তেল।

- বারবার চুইংগাম চিবালেও কান দ্রুত খুলে যায়। 

ঠান্ডা জনিত কারনে কানের সমস্যা || কানের সমস্যা দূর করার উপায় 

ঠান্ডার সমস্যা ছাড়াও বিভিন্ন কারনে কানে ব্যাথা হতে পারে।

ঠান্ডা জনিত কারনে কানের সমস্যা || কানের সমস্যা দূর করার উপায়



যেমন...... কারনঃ 

#দাঁতের ক্ষয় জনিত কারনে বা মাড়ির রোগের কারনে।

 #পালক বা কাঠি দিয়ে কান চুলকানর সময় আঘাত পেলে।

 #কানের মধ্যে পানি যেয়ে, দীর্ঘ দিন আটকে থাকলে কান পাকে বা পুজ হয়। 

#কানের মধ্যে ফোড়া বা পুজ হলে। 

#কানে আঘাত পেলে।

 #কোন কারনে কানের মধ্যে জীবানু সংক্রমিত হলে।

কানের ব্যথা প্রতিরোধ কানের সংক্রমণের কারণে কানের ব্যথা সবসময় প্রতিরোধযোগ্য নাও হতে পারে, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে, তবে সতর্কতা অবলম্বন করা সর্বদাই বাঞ্ছনীয়।কানের আঘাত রোধ করতে, ধারালো জিনিস দিয়ে কান খোঁচা থেকে বিরত থাকা গুরুত্বপূর্ণ।সাঁতার বা গোসলের পর কান সবসময় শুকনো রাখা নিশ্চিত করে কানের সংক্রমণ এড়ানো যায়।

ধূমপান এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে শিশুদের আশেপাশে, কারণ এটি সেকেন্ডহ্যান্ড ধূমপানের কারণে কানের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।ঝরনা বা সাঁতার কাটার সময় শাওয়ার ক্যাপ বা ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করা কান থেকে পানি দূরে রাখতে সাহায্য করে।

কানে অতিরিক্ত ব্যথা ও এসব সমস্যায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসক অনেক সময় অবস্থা বুঝে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে থাকেন।


Next Post Previous Post