মোবাইল অ্যাপস দিয়ে ভোটার সিরিয়াল নম্বর বের করার নিয়ম

 মোবাইল অ্যাপস দিয়ে ভোটার সিরিয়াল নম্বর বের করার নিয়ম  চলে এসেছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন, নিজেদের পছন্দের সরকার প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করার জন্য দিতে হবে ভোট। ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় জানা থাকলে ভোট কার্যক্রম আরো সহজ ঝামেলা মুক্ত হয়। ভোটার নাম্বার জানা থাকলে আইডি কার্ড সাথে নিতে হবে না।

ভোটার নাম্বার এবং ভোটার সিরিয়াল নাম্বার জানা থাকলে লাইনে দাঁড়িয়ে টোকেন সংগ্রহ করার প্রয়োজন হয় না। আপনার সিরিয়াল অনুসারে ভোট কেন্দ্রে যাবেন আর ভোট দিয়ে চলে আসবেন। যারা নিজের Voter Number এবং serial Number জানে না তারাই লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টোকেন সংগ্রহ করবে এবং ভোট দিবে।

মোবাইল অ্যাপস দিয়ে ভোটার সিরিয়াল নম্বর বের করার নিয়ম


নির্বাচনী কার্যক্রম ম্যানেজমেন্ট করার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন Smart Election নামে একটি অ্যাপ্লিকেশন প্রকাশ করেছে। স্মার্ট ইলেকশন অ্যাপ এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল ভোটার তাদের ভোটার নাম্বার, ভোট কেন্দ্র, কেন্দ্রের ঠিকানা এবং ভোটার সিরিয়াল জানতে পারবে।

মোবাইল অ্যাপস দিয়ে ভোটার সিরিয়াল নম্বর বের করার নিয়ম


ভোটারদের সুবিধার্থে মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে ভোটার নম্বর ও ভোটকেন্দ্রের নাম জানার সেবা চালু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এসএমএসের মাধ্যমে ভোটার নম্বর ও ভোটকেন্দ্রের ঠিকানা জানতে ১০৫ নম্বর এসএমএস পাঠিয়ে সব তথ্য পাবেন ভোটাররা। সে জন্য প্রথমে PC লিখে একটা স্পেস দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর বা স্মার্ট আইডি কার্ড নম্বর লিখে ১০৫ নম্বরে পাঠাতে হবে। 

ফিরতি এসএমএসে জানতে পারবেন আপনার ভোটার নম্বর, ভোটকেন্দ্রের নাম ও সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে আপনার সিরিয়াল নম্বর।

এনআইডি নম্বরের ক্ষেত্রে ১৭ ডিজিট ও স্মার্ট আইডি নম্বরের ক্ষেত্রে ১০টি ডিজিট লিখতে হবে। যাদের এনআইডি ১৩ টি ডিজিট আছে, তাদের নম্বরের শুরুতে জন্ম সালটি লিখতে হবে।

এসএমএস পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে ফিরতি এসএমএস নাও আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে অপেক্ষা করুন। এ কারণে ভোট দিতে যাওয়ার একেবারে আগে আগে এসএমএস না পাঠিয়ে আজ থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে যেকোনো সময় এসএমএস পাঠালে ভোট গ্রহণ শুরুর আগেই জানতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে ভোটার সিরিয়াল নম্বর বের করার নিয়ম

 আপনাকে কোন কেন্দ্রে ভোট দিতে হবে। আর আপনার ভোটার নম্বরটাই–বা কত। তা ছাড়া ওই কেন্দ্রে আপনার সিরিয়াল নম্বরটাও এসএমএসে জানানো হবে। ফলে কেন্দ্রে ঢুকে সহজেই পেয়ে যাবেন আপনার জন্য নির্ধারিত ভোটকক্ষটি।

নির্বাচনের আগে অবশ্যই আমাদের  ভোটার তথ্য যাচাই করার প্রয়োজন পড়ে,  এবং এই ভোটার তথ্য যাচাইয়ের জন্য আমাদের অনেক ঘোরাঘুরি করতে হয় অনেকের কাছে যেতে হয়। আপনি কিভাবে নিজেই ভোটার তথ্য যাচাই করতে পারবেন সে সম্পর্কে এই লেখাটি।

ভোটার তথ্য যাচাইকরণ এর প্রয়োজন পড়ে সাধারণত নির্বাচনের আগে,  কিভাবে সহজে নিজে তথ্য যাচাই করণ করতে পারবেন  এ সকল বিষয় নিয়ে আজকের এই লেখাটি ।

যারা অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারেন না এবং অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চাচ্ছেন। আপনারা  কিভাবে নিজের মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে সহজেই ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করবেন সম্পর্কে আমাদের একটি লেখা আছে।

লেখাটির ভিতর খুব সহজভাবে ছবি সহ বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে আপনি কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনের মাধ্যমে অনলাইন কঁপি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে পারবেন।

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড। মোবাইল দিয়ে ভোটার সিরিয়াল নম্বর বের করার নিয়ম


ভোটার তথ্য যাচাই করন এর সম্পূর্ণ পদ্ধতি জানার আগে আরো কিছু জরুরী বিষয় জেনে নেয়া যাক যা আমাদের সচরাচর প্রয়োজন হয়।

ভোটার আইডি কি?


আমরা সকলেই ভোটার আইডি কার্ড চিনি, কিন্তু এই ভোটার আইডি কার্ড টা কি এবং আইডি কার্ড টি কেন জনগণদের দেওয়া হয়? ভোটার আইডি কার্ড হল একজন নাগরিকের নাগরিকত্বের পরিচয় পত্র আপনি কোন দেশের নাগরিক এবং আপনার স্থায়ী ঠিকানা কোথায় তা প্রমাণ করে ভোটার আইডি কার্ড।

বাংলাদেশ –  ভারত ( আপনি যে দেশের নাগরিক ) এদেশের নির্বাচন কমিশন থেকে ভোটার আইডি কার্ড প্রদান করা হয়। ভোটার আইডি কার্ড হল একজন নাগরিকের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করার চাবিকাঠি বলা যায়।

 প্রাপ্তবয়স্ক হলে আপনি যে দেশের নাগরিক এদেশের নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে আপনাকে ভোটার আইডি তথ্য  এনআইডি কার্ড প্রদান করা হবে।

ভোটার আইডি কার্ড এর সুবিধা


আমাদের যদি ভোটার আইডি কার্ড না থাকে তাহলে আমরা দেশের নাগরিকত্বের অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হব। এবং বর্তমানে ভোটার  আইডি কার্ড ছাড়া কোন কাজ ভালো ভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। নাগরিকত্বের পরিচয় বহন করে ভোটার আইডি কার্ড।

ভোটার তথ্য যাচাইকরণ


আপনি যদি নির্বাচনে ভোট দিতে চান তাহলে ভোটার আইডি কার্ড এর প্রয়োজন হবে। ভোটার আইডি কার্ড না থাকলে আপনি এই দেশের নাগরিক হিসেবে গণ্য হবেন না । এছাড়াও বিভিন্ন পার্সোনাল কাজে ভোটার আইডি কার্ড এর প্রয়োজন হয়।

ভোটার তথ্য যাচাইকরণ পদ্ধতি


নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য আপনাকে ভোটার সিরিয়াল নাম্বার জানার প্রয়োজন হবে, কিভাবে ভোটার তথ্য যাচাই করবেন বা ভোটার সিরিয়াল নাম্বার জানবেন সে পদ্ধতি নিচে বর্ণনা করা হলো।

মোবাইল অ্যাপস দিয়ে ভোটার সিরিয়াল নম্বর বের করার নিয়ম

ভোটার তথ্য জানতে বা ভোটার সিরিয়াল নাম্বার- জানতে https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন
ওয়েব সাইটটিতে প্রবেশ করার পরে উপরে চারটি মেনু দেখতে পাবেন, এখান  থেকে “ভোটার তথ্য” এই মেনুটিকে সিলেক্ট করে ক্লিক করুন।


এরপরে প্রথমে আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর অথবা আপনার স্লিপে থাকা নাম্বারটি বসিয়ে দিন।


 এরপর নিচের ফর্মে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য অনুযায়ী আপনার জন্ম নিবন্ধন তারিখ সঠিক ভাবে বসিয়ে দিন।
 পরবর্তীতে আবছা অপশন এ যে লেখা আছে এই  লিখাটি পরবর্তী ফরমে এ বসান, এবং “ভোটার তথ্য দেখুন” এখানে ক্লিক করুন।


এর পরে আপনি পরবর্তী মেনুতে আপনার আইডি নাম্বার এবং ভোটার নং,  সিরিয়াল নাম্বার  ও ভোটার এলাকা সব কিছু দেখতে পাবেন।
আশা করছি কিভাবে ভোটার তথ্য দেখবেন তা বুঝতে পেরেছেন ।

ভোটার তথ্য যাচাই কেন করবেন


অনেক সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের ভোটার তথ্য গুলো যাচাই  এর প্রয়োজন হয়, বিশেষ করে নির্বাচনের সময় ভোট দিতে গেলে,  দায়িত্বপ্রাপ্ত  কর্মকর্তা ভোটার সিরিয়াল নং জিজ্ঞেস করে তখন আমাদের ভোটার সিরিয়াল নং এর প্রয়োজন হয়।

সিরিয়াল নং অনুযায়ী আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য যাচাই করণ হলে তখন আপনাকে ভোট দিতে অনুমতি প্রদান করা হবে। তাই আমাদের অবশ্যই ভোটার তথ্য গুলো যাচাই করে রাখতে হবে পরবর্তীতে যেন কোন ঝামেলা না হয়।

ভোটার নাম্বার, সিরিয়াল নাম্বার বের করার নিয়ম


ভোটার নাম্বার ও সিরিয়াল নাম্বার বের করার জন্য প্লে-স্টোর থেকে Smart Election অ্যাপটি ইন্সটল করে আপনার NID Card এর নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দিয়ে নিবন্ধন করুন। 

অ্যাপটির হোম পেজে আপনার ভোটার নাম্বার, সিরিয়াল নাম্বার, ভোটার এলাকা এবং ভোট কেন্দ্রের ঠিকানা দেখতে পাবেন।

Smart Election অ্যাপ থেকে যা যা জানতে পাবেন-

  • ভোটার নাম্বার
  • ভোটিং সিরিয়াল
  • ভোট কেন্দ্রের নাম
  • কেন্দ্রের ঠিকানা
  • প্রার্থীর তালিকা
  • নির্বাচনী ফলাফল


উপরোক্ত উল্লেখযোগ্য তথ্য ছাড়া আরো বেশ কিছু ইনফরমাশন রয়েছে, যেমন নির্বাচন প্রার্থীদের হলফনামা, ইনকাম টেক্স রিটার্নের প্রমাণ ইত্যাদি।

ভোটার নাম্বার জনার উপায়


প্রথমেই আপনার ফোনের Play Store ওপেন করুন, তারপর Smart Election অ্যাপটি ইন্সটল করুন। অ্যাপটি ওপেন করে আইডি নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দিয়ে ভেরিফাই করুন। এখন আপনি আপনার ভোটার নাম্বার, সিরিয়াল নাম্বার, কেন্দ্রের নাম এবং ঠিকানা দেখতে পাবেন।

মোবাইল দিয়ে ভোটার সিরিয়াল নম্বর বের করার নিয়ম

তাছাড়া মেনু থেকে সার্চ আইকনে ক্লিক করে যে কারো আইডি নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দিয়ে তার ভোট কেন্দ্র, ভোটার নাম্বার এবং সিরিয়াল নাম্বার জানা যাবে। তাই টোকেন নেওয়ার জন্য আর ঝামেলা পোহাতে হবে না।

তবে যারা নতুন আইডি কার্ড করেছেন অর্থাৎ যাদের জন্ম 01-01-2005 এর পর তারা এবার নির্বাচনে ভোট দিতে পারবে না। তার মানে NID  থাকলে শুধু ভোট দিতে পারবে না  কিছু নাগরিক। 

smart election অ্যাপে তাদের কোন তথ্য দেখাবে না। কারণ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের যাদের জন্ম ২০০৫ এর আগে তাদের ভোটার তালিকার অন্তরভুক্ত করা হয়েছে। আর যাদের তথ্য ভোটার তালিকায় আছে তদের তথ্যই এখানে দেখা যাবে।

ভোট কেন্দ্রে আইডি কার্ড নিয়ে যেতে হবে?


ভোট দিতে হলে আইডি কার্ডের প্রয়োজন হয় না তবে আপনি যদি আপনার ভোটার সিরিয়াল নাম্বার না জানেন তাহলে আইডি কার্ড নিয়ে গেলে NID Card নাম্বার দেখে, সহজেই ভোটার নাম্বার এবং সিরিয়াল নাম্বার বের করে, ব্যক্তি সনাক্ত করতে সহজ হয়। 

নির্বাচনের দিন অথবা আগেই প্রার্থীগন ভোটারদের একটি টোকেন বিতরণ করে থাকে, যার মধ্যে ভোটার নাম্বার ও সিরিয়াল উল্লেখ থাকে।

কি কারণে ভোট বাতিল হয়?


সিল স্পষ্ট না হলে সে ভোট বাতিল বলে গণ্য হয়, দুই প্রতিকের মাঝামাঝি সিল থাকলে সেটি কোন প্রতিকের নিশ্চিত না হওয়া গেলে ভোট বাতিল হয়ে যাবে।

Next Post Previous Post