সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ ও সিজারের পর ব্যথা কতদিন থাকে

 সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ ও সিজারের পর ব্যথা কতদিন থাকে  ,আমরা আজ কথা বলবো সিজারিয়ান ডেলিভারি নিয়ে। সিজারিয়ান ডেলিভারি এখন যেন কমন ব্যাপার হয়ে গেছে। আগেরকার সময় সিজার কি তা খুব কম লোকে জানতো। অনেক সময় ভয়ে সিজার করার কথা কেউ বাবতো না। 


কিন্তু সেখানে এখোন সিজার একটা সাধারন ব্যাপার হয়েগেছে। এখন ৯৯% বাচ্ছা সিজারের মাধ্যমে হয়ে থাকে। যেখানে ভয়ের জন্য সিজার করতো না সেখানে মানুষ নরমালে বাচ্ছা হওয়াকে বেশি ভয় পায়। 


নরমাল ডেলিভারি সময় ও কষ্ঠ সাদ্ধ হওয়ায়, বেশির ভাগ মহিলারা সিজারকে বেছে নেয়। কারন সিজার খুব কম সময় ও কষ্টহীন ভাবে করানো সম্ভব হয়। কিন্তু সিজার যেমন সহজ তেমনি এর ফল কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভয়ানক হতে পারে। 


সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ ও সিজারের পর ব্যথা কতদিন থাকে



তাই আজ আমরা জানানোর চেষ্টা করবো সিজারের পর বিশেষ করে ইনফেকশন হওয়ার কারণ ও কত দিন এর ব্যথা তাকে সে সম্পর্কে। পুরো সময় ধরে আমাদের সাথে থাকুন এবং জেনে নিন এর সম্পর্কে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। 


সিজারকে যদিও আমরা খুব সহজ মনে করি, কিন্তু সিজার মোটেও সহজ অপারেশন নয়। তাই সিজারের পরবর্তি সময় আমাদের বেশ কেয়ারফুল বা সতর্কতা অলম্বন করতে হয়। নতুবা ইনফেকমন হতে পারে। আমাদের দেশের ২০-৩০% মহিলার সিজারের পর কাটা স্থানে ইনফেকশন হয়। 


তাই অবহেলা না করে এই বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে এবং এর লক্ষন সম্পর্কে জানা অতি জরুরি। তাই আমাদের সাথেই থাকুন, আমরা এই পোষ্টে আপনাদের এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করবো। বিষয় গুলি যেমন: 


  • সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষন।

  • ইফেকশন হলে কি করণীয়।

  • ব্যথা কত দিন পযর্ন্ত থাকে।

  • সেলাইয়ের যত্ন কি ভাবে নিতে হবে।

  • এ সময় কিকি খাবার খেতে হবে। ইত্যদি সম্পর্কে।


এই বিষয় সম্পর্কে যদি জানা না থাকে তাহলে আমি আপনাকে বলবো পুরো লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করি আর কোন দিন এই সম্যসার জন্য অন্য কার সাহায্যের দরকার পড়বেনা।


সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষন


যেহেতু সিজার একটি জটিল অপারেশন তাই এই অপারেশনের পর বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে যতদিন পযর্ন্ত সেলাইর ঘা না শুকায়। সিজারের পর অকে কারনে ইনফেকশন হতে পারে যথা- 


  • ক্ষত স্থান যথা সময়ে পরিষ্কার না করলে। 
  • জোরে সেলাইতে টান লাগলে।
  • টক জাতয খাবার খেলে

এছাড়াও অনেক  কারণ রয়েছে যার জন্য আপনার কাটা স্থানে ইনফেকশন হতে পারে।

তাই আপাকে জাতে হবে যে আপনার কোন লক্ষন দেখা দিয়েছে। যদি আপনার মনে হয় আপনার কাটা জায়গায় অসাভাবিক কোন কিছু তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরার্মশ্য নিতে হবে। আর যদি আপনার জানা না থাকে এর লক্ষন গুলো কি? তাহলে নিচে বর্ণীত বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে নিন।


  • যদি সিজারের কাটা স্থান ফুলে যায় বা লালচে দাগ হয়।

  • সজারের স্থানে খুব বেশি ব্যথা অনুভুত হয়।

  • গায়ে জ্বর আসা

  • সিজারের কাটা স্থান থেকে পুজ বা পাণি বের হওয়া।

  • পা ফুলে যাওয়া

  • প্রসাবে অসুবিধা হওয়া

  • জনি পথে দু:র্গন্ধযুক্ত তরল ও জমাট রক্ত বের হওয়া।


সিজারের পর ইনফেকশন হলে কি করণীয়:

সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ ও সিজারের পর ব্যথা কতদিন থাকে


সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ ও সিজারের পর ব্যথা কতদিন থাকে  বর্তমানে বেশীরভাগ সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রেই সিজারের সাহায্য নিতে হয়। কিন্তু সিজারের পর কী হয়, তার ব্যাপারে অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই। 

সিজার করে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর চার দিনের মতো হাসপাতালে থাকতে হতে পারে। অনেক মা জানেনই না যে সিজার করানোর পরে যৌনাঙ্গ থেকে রক্তপাত হয়। 

তবে এই রক্তপাতের পরিমাণ হবে সীমিত। খুব বেশি রক্তপাত, অতিরিক্ত দুর্গন্ধ এবং গাড় রঙের রক্ত যাচ্ছে কী না সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে, কারণ এগুলো ইনফেকশনের লক্ষণ।


সিজার করানোর পর মা-কে ভিটামিন এ খাওয়ানো হয়। তা খাওয়ানো হচ্ছে কিনা এ ব্যাপারে মা এবং তার পরিবারকে সতর্ক থাকতে হবে।
সিজার করানোর পরে আরেকটি সমস্যায় মেয়েদের ভুগতে দেখা যায় তা হলো পরের দিন পা ফুলে যাওয়া। এক্ষেত্রে ঘুমানোর সময়ে বা শুয়ে থাকার সময়ে পায়ের নিচে বালিশ দিয়ে পা একটু উঁচু করে রাখতে হবে। তাহলে পা ফোলা কমে যাবে।

সিজার করানোর পর অনেক মা-ই সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ায় না। সিজার করানোর পর তিন দিনের মাঝে বুকের দুধ না খাওয়ালে এ সময়ে স্তনে চাকা চাকা অনুভূত হয় এবং ব্যাথা হতে পারে। সমস্যার সমাধানে তোয়ালে গরম করে সেঁক দেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও দুধ বাচ্চাকে না দিলেও বের করে ফেলে দিতে হবে বা রেখে দিতে হবে।


 অনেক মা-ই জানেন না, বুকের দুধ ফিডারে রেখে খাওয়ানো যায়। মায়ের দুধ ফিডারে করে ফ্রিজে রেখে দিলে তা বাচ্চাকে দেওয়া যাবে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত। ঠাণ্ডা দুধ তো অবশ্যই বাচ্চাকে দেওয়া যাবে না। কিন্তু এটা চুলায় ফুটিয়ে বা ওভেনে গরম করেও দেওয়া যাবে না। গরম পানিতে ফিডার রেখে এই দুধ গরম করে দিতে হবে। এ ছাড়াও সিজার করার পর আরও বেশ কিছু ব্যাপারে জেনে রাখা ভালো-

ক্যাথেটার : সিজার করানোর পর একটি ক্যাথেটার ব্যবহার করা হতে পারে তার শরীরে। এটা শুধু প্রথম দিনেই রাখা হয়। পরের দিন খুলে ফেলা হয়।

সেলাইয়ের দাগ : সেলাইয়ের দাগটা থেকে যায় অনেকদিন, অনেক বছর পর্যন্ত। তবে সময়ের সাথে তা অনেক হালকা হয়ে যায়, আগের মতো উঁচুও হয়ে থাকে না।

 অপারেশনের পর এই কাটা দাগ শুকাতে দিতে হবে কমপক্ষে ছয় সপ্তাহ। পুরো শুকিয়ে গেলে তারপরেই কেবল দাগ দূর করার জন্য তেল মালিশ বা দাগ দূর করার ক্রিম লাগানো যেতে পারে।

অপারেশনের পর টয়লেটের কাজ সারা : এটা বেশ বড়সড় একটা অপারেশন সুতরাং অনেকেই এই অপারেশনের পর টয়লেটের কাজ সারতে ভয় পান। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। প্রয়োজন হলে ডাক্তার কিছু ওষুধ দেবেন যা সহজে টয়লেটের কাজ সারতে সাহায্য করবে।

হাঁটাচলা : সিজারের পর রক্ত জমাট বাঁধার ভয় যেন না থাকে তার জন্য পরের দিন হালকা হাঁটাচলা করাটা ভালো।

শরীরে কাঁপুনি : শরীর থেকে অ্যানেসথেসিয়ার প্রভাব কেটে যাবার সময়ে অনেকের কাঁপুনি দেখা যায়। শরীরের নিম্নাদেশে বিশেষ করে পায়ে অসাড়তা অনুভব হতে পারে। কয়েক ঘন্টার মাঝে এই অনুভুতি কেটে যাবার কথা।

রক্তপাত : প্রাকৃতিকভাবে সন্তান জন্ম না দিলেও রক্তপাত হবেই। একে বলা হয় পোস্টপারটাম ব্লিডিং। এটা খুব বেশি হলে ছয় সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে।

ভারী কাজ নিষেধ : বাচ্চার চাইতে ভারী কিছু আপনি তুলতে পারবেন না প্রথম ২-৩ সপ্তাহ। ৪-৬ সপ্তাহ ব্যায়াম বন্ধ। আর শারীরিক সম্পর্ক বন্ধ রাখতে হবে প্রথম ছয় সপ্তাহ।

হাঁচি-কাশিতে ব্যাথা হতে পারে : সার্জারির পর হাঁচি-কাশি দিতে গেলে পেটে ব্যাথা লাগতে পারে। এ সময়ে পেটের ওপর বালিশ চেপে ধরে রাখলে ব্যাথা কম হবে। অনেকেই এ সময়ে বেল্ট পরে থাকেন। এই বেল্টও ব্যাথা কমাতে সহায়ক। প্রথম সপ্তাহে এই সমস্যা বেশি হবে। পরে কমে যাবে।

সিজারের দাগও অনেকাংশেই মিলিয়ে যাওয়া সম্ভব। জেনে নিন কীভাবে!

লিসার ফেসবুক প্রোফাইলে এতদিন দু’জনের ছবি ছিল। ওর আর প্রসূনের। গত দু’দিন আগে সেখানে জায়গা করে নিয়েছে ওদের দুজনের প্রথম সন্তান। অসংখ্য অভিনন্দন আর শুভেচ্ছায় ওর ওয়াল ভেসে যাচ্ছে। প্রথম মা হওয়ার অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে দারুণ। স্বাভাবিকভাবে ওর মনে ও আনন্দের জোয়ার। তবে মা হতে যে কি পরিমাণ কষ্ট, তা ও হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। (Home Remedies For C-Section Scars)


সিজারের কাটা শুকানোর উপায়


ছোট্ট পিকুর সিজারিয়ান ডেলিভারি হয়েছে। চিকিৎসক বলেই দিয়েছেন সিজারের ব্যথা অন্তত দু’মাস থাকবে। লিসা নিজেও সিজারিয়ান শিশু ছিল।

 লিসার মাও ওকে এই সময় রোদে বেরোতে নিষেধ করেছেন। বেশি চলাফেরা বারণ। ওর মনে যদি অন্য প্রশ্ন। সিজারের ব্যথা কমে গেলে সিজারের দাগ কত দিনে কমবে? (Natural C-section Recovery Tips ) পরের বার চিকিৎসকের কাছে চেকআপ করাতে গিয়ে ও এই প্রশ্নটাই তুললো।

 তখন চিকিৎসকই বিস্তারিত বুঝিয়ে দিলে দাগ মিলিয়ে ফেলতে কি কী করা উচিত।

ডেলিভারির পর সিজারের দাগ দূর করতে বিশেষজ্ঞরা নানা চিকিৎসার কথা বলে থাকেন। এর মধ্যে একমাত্র মাসাজ বাড়িতে করা যায়। (How to Treat Your C-Section Scars At Home) তবে ম্যাসাজ এর আগে মাথায় রাখতে হবে চিকিৎসকের বেশ কিছু পরামর্শ। কখন করবেন ও কীভাবে করবেন তা এক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ।

সিজারের ক্ষত শুকানোর পর: সিজারের ক্ষত শুকানোর আগে দাগ দূর করার কথা মাথায় আনা উচিত নয়। ক্ষত না-শুকালে মেসেজ বা অন্য যে কোনো চিকিৎসা ক্ষতিকারক হতে পারে মায়ের জন্য। (C-Section Scar Treatment) একমাত্র চিকিৎসক যদি বলেন ক্ষত সম্পূর্ণ শুকিয়ে গিয়েছে, তখনই দাগ দূর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করুন।

এভাবে করুন: মেসেজ সব সময় ক্লকওয়াইজ বা অ্যান্টি ক্লকওয়াইজ করতে হয়। তবে হ্যাঁ, যে কোনও একদিকেই সবসময় করা উচিত। একই সঙ্গে দু’দিকেই মাসাজ করা উচিত নয়। মাসাজ যখন করবেন, তখন শুয়ে থাকাই শ্রেয়। (Home Remedies for C-Section Recovery) বসে মাসাজ করলে সিজারের পুরো অংশে আঙুলের চাপ সমানভাবে পড়ে না। মাসাজের প্রভাব সিজার হওয়া অংশের সর্বত্র সমান ভাবে পৌঁছানো চাই।

ব্যথা হলে মাসাজ বন্ধ: সিজার হওয়া অংশের বাইরের ঘা শুকিয়ে গেলেও ভিতরের অংশ শুকোতে কিছুদিন সময় নেয়। তাই ম্যাসাজের সময় ব্যথা অনুভূত হতে পারে। ব্যথা অনুভব করলে মাসাজ করা বন্ধ রাখুন। কিছুদিন পর আবার মাসাজ করুন। দেখে নিন ব্যথা কমেছে কি না।

জেনে রাখুন: সিজারের দাগ দূর করতে অনেক রকম উপায় আবিষ্কৃত হলেও সিজারের দাগ সম্পূর্ণভাবে দূর করা অসম্ভব। সিজারের দাগ চিরকালের মতো অল্প হলেও থাকবেই। তবে এই দাগ যতটা সম্ভব কমানো যায়। (How to Get Rid of C-Section Scar Naturally)

সিজারিয়ান ডেলিভারির পর কয়েকমাস মায়ের অত্যন্ত যত্নে থাকা জরুরি। তাই মাসাজের যে সব উপরকণ বাজারে মেলে তার সব ক’টি মায়ের জন্য ঠিক নাও করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট উপকরণের কথা বলেন। (C-Section Scar Removal Home Remedies)

#1. অ্যালো ভেরা জেল: মাসাজ করার জন্য অ্যালো ভেরা জেল (Aloe Vera Gel) সবচেয়ে ভালো উপকরণ। পোড়া ক্ষত হোক বা অপারেশনের দাগ— অ্যালোভেরার শাঁস সবেতেই সমান উপকারী। বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রাকৃতিক অ্যালোভেরা সদ্য হওয়া মায়ের ত্বকের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ। (Natural ways to Get Rid Of C-Section Scars) একান্তই দোকান থেকে কিনতে হলে দেখে নিন উৎপাদনকারী সংস্থার পক্ষ থেকে প্রোডাক্ট কে অর্গানিক সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে কি না। তবে সবচেয়ে ভালো উপায় হল বাড়িতে অ্যালোভেরার চারা লাগিয়ে নেওয়া।

#2. ভিটামিন-ই তেল: ত্বকের নীচে কোলাজেন প্রোটিন বিভাজন ঘটে। এই বিভাজনে সাহায্য করে ভিটামিন-ই (Vitamin-E Oil)। তবে এই নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন ভিটামিন-ই তেল মাসাজ করলে দেরিতে হলেও কোলাজেনের উপর একটি প্রভাব পড়ে। যার ফলে কোলাজেনের বিভাজন শুরু হয়। কোলাজেনের বিভাজন ত্বকের নিচে নতুন স্তর তৈরি করতে সাহায্য করে। যার ফলে সিজারের দাগ ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায়।

#3. লেবুর রস:দাগ মিলিয়ে যেতে লেবুর ভূমিকা (Lemon Juice) বাকিদের থেকে আলাদা। অর্থাৎ এটি কোলাজেন ভাঙতে সাহায্য করে না। বরং এটির কাজ অনেকটা প্রাকৃতিক ব্লিচ-এর মতো। নিয়মিত লেবুর রস প্রয়োগ করলে সিজারের দাগ ব্লিচের জন্য হালকা হয়ে আসে। (Natural Remedies for C-Section Recovery) তুলোয় করে রোজ লেবুর রস নিয়ে দাগের অংশে বোলান। ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর তা ধুয়ে ফেলুন । বিশেষজ্ঞরা বলেন, সবসময় প্রাকৃতিক লেবুই ব্যবহার করা উচিত।

#4. আলুর রস: আলুর রস (Potato Juice) লেবুর রসের মতোই কাজ করে। ব্রণ হলে অনেকেই আলু কেটে ব্রণের উপর তা বারবার বোলান। এতে আলুর রস সেখানে ছড়িয়ে পড়ে‌। আলুর রস ও একটি প্রাকৃতিক ব্লিচ। যা দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। সিজারের দাগের ক্ষেত্রে নিয়মিত আলুর টুকরো কেটে বোলান। বোলানোর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

#5. টিব্যাগ: চা-এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সিজারের দাগ হালকা করতে খুব উপকারী। গ্রিন টি-এর ব্যাগ (Tea Bag) গরম জলে ডুবিয়ে সরাসরি সিজার হওয়া অংশে রাখুন। (C-Section Scar Treatment) প্রতিদিন তিন থেকে চারবার ১০-১৫ মিনিট সময় ধরে এটি করলে সিজারের দাগ ধীরে ধীরে হালকা হতে থাকে।

#6. কোকোয়া বাটার: সিজারের দাগ দূর করতে আরেকটি উপকারী উপাদান হল কোকোয়া বাটার (Cocoa butter)। কোকোয়া বাটারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সিজারের দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে কোকায়া বাটার ত্বককে আর্দ্র ও নমনীয় রাখতেও সাহায্য করে।

#7. মধু: সর্দি-কাশি, ব্রণ বা পোকার কামড় সবেতেই মধু অত্যন্ত কার্যকরী। এসবের পাশাপাশি সিজারের দাগ দূর করতেও এর ভূমিকা কম নয়। মধু (Honey) সিজার হওয়া অংশের গাঢ় দাগ দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়া এটি অ্যান্টিসেপটিক প্রকৃতির উপাদান হওয়ায় এর থেকে সিজারের অংশে কোন সংক্রমণের আশঙ্কা নেই। (C-Section Wound Care) মধুর চটচটে ভাব অস্বস্তি না-হলে সারাদিন ওই অংশে মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন।

#8. সিলিকোন (Silicone):সিলিকন ব্যবহারের মাধ্যমে সহজেই দূর করা সম্ভব সিজারের দাগ। বিজ্ঞানীমহল ইতিমধ্যেই এর ব্যবহারে সম্মতি দিয়েছেন। এটির কাজ ত্বক আর্দ্র রাখা আর ত্বকের ক্ষত তাড়াতাড়ি শুকাতে সাহায্য করা। এটি ব্যবহার করলে সিজারের দাগ বেশি গাঢ় হয় না। (C-Section Scar Removal Home Remedies) তবে এটি ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

সিজারের দাগ দূর করতে মাসাজ ছাড়াও বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত আরও বেশ কিছু উপায় আছে। তবে এগুলো ঘরোয়া সমাধান নয়। এর প্রতিটিই অপারেশন থিয়েটারে করা হয়ে থাকে। (C-Section Scar Care Basics)

রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি: বর্তমানে ম্যাসাজ এর বদলে যেই পদ্ধতিতে বহুল প্রচলিত, তা হল রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির (Radio frequency) মাধ্যমে দাগ দূর করা। এই পদ্ধতিতে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি প্রয়োগ করে ত্বকের নিচে থাকা ডার্মাল কোলাজেন কে উদ্দীপ্ত করা হয়। এতে কোলাজেন বিভাজন তাড়াতাড়ি হয়। যার ফলে ত্বকের নিচে নতুন চামড়া তৈরি হতে থাকে। নতুন চামড়া তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মিলিয়ে যেতে থাকে সিজারের দাগ।


Next Post Previous Post