কিভাবে জাপানি মানুষ দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে

 কিভাবে জাপানি মানুষ দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে জাপানের স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গুলোর মধ্যে কয়েকটি ও কী কী, যা বাকি বিশ্বের জেনে রাখা উচিত?

জাপান স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা। জাপানের নাগরিকদের আয়ু অন্য কারো তুলনায় বেশি, সম্ভবত দেশের চমৎকার স্বাস্থ্যসেবার কারণে। সিস্টেমটি প্রতিক্রিয়াশীল যত্নের পরিবর্তে প্রতিরোধমূলক যত্নকে উচ্চ অগ্রাধিকার দেয় , যা অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা দেখা যায়।

জাপানের স্বাস্থ্য সেবার মান কেমন এবং তাদের প্রধান খাদ্য কি?


জাপানের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা সর্বজনীন কভারেজ প্রদান করে ।জাপানের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ফোকাস হচ্ছে সার্বজনীন কভারেজ প্রদান করা, অ্যাক্সেসযোগ্য তার প্রচার করা এবং প্রতিরোধমূলক যত্নের উপর জোর দেওয়া। জাপান হল প্রজুক্তিগত দিক দিয়ে অনেক উন্নত তাই স্বাস্থ্য খাতে প্রযুক্তি এর ব্যবহার স্বাস্থ্য সেবাকে অনেক উপরে নিয়ে গেছে। তাই বলা যায় জাপানের স্বাস্থ্য খাত প্রযুক্তির অনন্য শিখরে।

জাপানের স্বাস্থ্য সেবার মান কেমন?

জাপানের স্বাস্থ্য সেবার মান কেমন?

.ঐতিহ্যবাহী জাপানী ডায়েট পরিপূর্ণ হয় মাছ, সামুদ্রিক খাবার, শাক সবজি আর খুব সামান্য পরিমান প্রাণী প্রোটিন, চিনি ও ফ্যাট দ্বারা। নিউট্রিয়েন্টস পরিপূর্ণ এই খাদ্য অভ্যাস সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে পালন করে অবিশ্বাস্য ভূমিকা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও হজম শক্তি বাড়াতেও জুড়ি নেই এই ডায়েটের।তবে খাদ্য তালিকা নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে দেখলাম জাপানীরা প্রক্রিয়াজাত খাবারে খুব একটা আগ্রহ প্রকাশ করে না যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্য আর আমরা ঠিক উল্টো।

জাপানের প্রধান খাদ্য কি?

নুডুলস, স্যুপ, ভাত হচ্ছে জাপানের প্রধান খাবার। তবে নুডুলসের মধ্যে অনেক প্রকারভেদ আছে। যেমন: Udon Noodles এবং Soba Noodles । আর জাপানিরা এসব খাবারের সাথে প্রচুর আচার এবং সয়া সস মিশিয়ে খায়।

জাপানী খাবারের সিক্রেট কি ?

শুধুমাত্র খাওয়া নয় চা’য়ে আসক্ত কম মিষ্টান্ন খাওয়া ডায়েট না করা রুটির ওপরে ভাতকে গুরুত্ব দেয়া পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সংস্কার খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠা ঐক্য ও টেকসই প্রবণতা অল্প কিছুতেই আনন্দ লাভ



জাপানে খাদ্য তালিকা বৈচিত্র্যময় কিংবা অদ্ভুত বললে ভুল হবে না। কম সিদ্ধ কিংবা কাঁচা রেখে রান্না করে খাওয়া জাপানী ঐতিহ্য। আমরা হয়তো মুখেই তুলতে পারবো না জাপানীদের প্রতিদিনকার রান্না করা খাবার। তবে মানুষ অভ্যাসের দাস। অভ্যাস করলে অসম্ভবপর নয় ব্যাপারটি।


ঐতিহ্যবাহী জাপানী ডায়েট পরিপূর্ণ হয় মাছ, সামুদ্রিক খাবার, শাক সবজি আর খুব সামান্য পরিমান প্রাণী প্রোটিন, চিনি ও ফ্যাট দ্বারা। নিউট্রিয়েন্টস পরিপূর্ণ এই খাদ্য অভ্যাস সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে পালন করে অবিশ্বাস্য ভূমিকা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও হজম শক্তি বাড়াতেও জুড়ি নেই এই ডায়েটের।তবে খাদ্য তালিকা নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে দেখলাম জাপানীরা প্রক্রিয়াজাত খাবারে খুব একটা আগ্রহ প্রকাশ করে না যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্য আর আমরা ঠিক উল্টো।


জাপানী ঐতিহ্যবাহী খাদ্য তালিকাতে থাকে স্টিমড রাইস (বাষ্প দিয়ে তৈরি ভাত), নুডুলস, টাটকা ফলমূল, তফু, শাকসবজি আর সাথে সামান্য পরিমানে মাংস, দুগ্ধ জাতীয় খাবার, ডিম। তবে জাপানের নাগানো অঞ্চলের লোকজন প্রত্যেকবেলাই সূপ রাখে তাদের খাবার মেন্যুতে। পরিমিত এই খাদ্য অভ্যাস জাপানীদেরকে সুস্বাস্থ্য রক্ষার্থে দারুণ ভূমিকা রাখে। জাপানীরা গ্রিন টি পান করে নিয়মিত। আর এই গ্রিন টী হচ্ছে অন্যতম স্বাস্থ্যকর পানীয় যা পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট দ্বারা পরিপূর্ণ। গ্রিন টী ইনফ্লেমেশন কমিয়ে কোষকে দুরারোগ্য রোগের সাথে মোকাবেলা করতে সাহায্য করে।

জাপানের প্রধান খাদ্য কি?

সরকারের ঠিক করে দেয়া খাদ্যতালিকা মেনে চলে বেশিরভাগ জাপানিই। ফলে বাইরের তৈরি পিৎজ্জা, হটডগ বা ফ্রোজেন খাবারের চেয়ে বাড়ির তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবারেই তাদের আগ্রহ বেশি।

জাপানের স্বাস্থ্য সেবার মান কেমন এবং তাদের প্রধান খাদ্য কি?


তাই বলে কি তারা ফাস্টফুড খায় না? আসলেই কম খায়। খুবই কম। টানটান শিডিউলের যত ব্যস্ততাই থাক বাড়িতে খাবার তৈরি বন্ধ থাকে না। তবে যারা একান্তই পারেন না, তারা বেছে নেন ফাস্ট ফুড, যেগুলো স্বাস্থ্যকর এবং বাড়িতে রান্নার মতই। 


জাপানের প্রধান খাদ্য কি?


  • নুডুলস, স্যুপ, ভাত হচ্ছে জাপানের প্রধান খাবার।

  • তবে নুডুলসের মধ্যে অনেক প্রকারভেদ আছে। যেমন: Udon Noodles এবং Soba Noodles । 

  • আর জাপানিরা এসব খাবারের সাথে প্রচুর আচার এবং সয়া সস মিশিয়ে খায়।


এগুলো ছাড়াও জাপানের আরও কিছু জনপ্রিয় জাতীয় খাবার আছে। সেগুলো হচ্ছে:-


জাপানের মানুষের গড় আয়ু ৮৩ বছর। জাপানি মহিলাদের আরও বেশী।।কয়েকটি জিনিস এদের আয়ু বৃদ্ধি শুধু নয় সুখী হয়ে বাঁচতে শিখিয়েছে।


জাপানিরা সহজ খাদ্য,নিয়মানুবর্তিতা, এবং চাপমুক্ত ভারমুক্ত হয়ে থাকা কে জীবনের মূল মন্ত্র করে বাঁচতে ভালোবাসেন।


এরা ভাত ও মাছ দিয়ে যে সুশি খায় যা তাদের প্রধান খাবার — এবং এর গুণ অপরিসীম। এরা সামুদ্রিক , মাছ, প্রচুর পরিমাণ খায় মাংসাশী এরা নয়। তার সাথে প্রচুর সব্জি খেয়ে থাকে। কিন্তু কম ক্যালরি যুক্ত খাবার গ্রহণ করে থাকে। সাধারণত জাপানিরা অন্য দেশের তুলনায় ২৫ % ক্যালরি কম গ্রহণ করে।


এরা পরিশ্রম বিমুখ নয়, যথেষ্ট পরিশ্রমী।কম পরিমাণে খাদ্য, এবং কম ক্যালরি যুক্ত খাদ্য এদের সুস্থ রাখে।


আর গ্রীন টি। জাপানে খুব সুলভ। গ্রীন টি র গুণাগুণ এখন সকলেই অবহিত।

সবচেয়ে বড় কথা জাপানিরা বয়স্কদের খুব শ্রদ্ধা করে, এবং বয়স্ক ব্যাক্তির সামাদর করে। ফলে বয়স্করা অবহেলিত বোধ করেন না। এবং তারা পরিবারের শিশু, বালক সদস্যদের সাথে আনন্দ করে জীবন কাটান। খাওয়া পরার চিন্তা করে তাদের দিন কাটাতে হয় না।

জাপানি রা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। এবং খুব হাসিখুশি দিন যাপন করেন। এই সব কারণে জাপানিরা দীর্ঘদিন বেঁচে থাকেন।

জাপানী খাবারের কিছু সিক্রেট


জাপানিরা কি খাবে সে ব্যাপারে অনেক মনোযোগ দেয়। অনেকে মনে করেন জাপানীরা শুধু শুশি খায়। শুশি ভাত ও সীফুড দিয়ে তৈরি একটি খাবার। জাপানীরা প্রচুর পরিমানে শাক ও সবজি খায়। তাদের ঐতিহ্যবাহী খাবারে গ্রিল করা মাংস, স্যুপ এবং চা রয়েছে। তাদের কাছে মৌসুমি ফল এবং মাছ খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর তারা বাইরে খেতে খুব একটা আগ্রহী না। জাপানীরা জাংক ফুড বা উঁচু ক্যালোরিযুক্ত খাবার খায় না। তাদের নিয়মিত খাবারে সি উইড আছে যা পুষ্টিতে পূর্ণ।


জাপানিরা ভিন্নভাবে খাবার রান্না করে


সব খাবারে সবচেয়ে ভালোটা পেতে জাপানীরা সবচেয়ে কম তেল দিয়ে রান্না করে আর বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে যেমন: ধীরে রান্না করে, সিদ্ধ করে, ভাপে রান্না করে, গাঁজাইয়া রান্না করে ও হালকা ভাজি করে। এই ধরণের রান্না করার কারণ খাবারের পুষ্টি মূল্য বজায় রাখা। জাপানী খাবারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় হয় স্যুপকে এরপরে রয়েছে শাক সবজি ও ভাত।


শুধুমাত্র খাওয়া নয়


জাপানীরা অতিভোজন করে না। তারা ছোট প্লেটে খাবার খায় যাতে তারা তৃপ্ত অনুভব করে। তারা ধীরে খাবার খায়। তারা খাবারের অংশ নিয়ন্ত্রণে বিশ্বাস করে।


চা’য়ে আসক্ত


পুরো পৃথিবীর সঙ্গে তুলনা করলে জাপানীরা প্রচুর পরিমানে চা খায়। তাদের পানের সংস্কৃতি পুরোপুরি চা’য়ের সঙ্গে যুক্ত। তারা মাচা চা খায়। মাচা চা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং দেশটি জুড়ে জনপ্রিয়। বিশেষভাবে প্রক্রিয়াজাত করে গ্রিন টি থেকে মাচা চা প্রস্তুত করা হয়। এগুলো অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে পূর্ণ।


কম মিষ্টান্ন খাওয়া


মিষ্টান্ন যে কারো হাঁটু দূর্বল করে তুলতে পারে। জাপানের মিষ্টান্নগুলো খুব মজার কেউ এ্গুলোকে না বলতে পারবে না। তারপরেও, জাপানীরা মিষ্টান্ন কম খায়। তারা বেশি বেশি মসলাদার খাবার খায়। প্রাকৃতিকভাবে, এগুলো তাদের স্বাস্থ্যবান করে তোলে।


সকালের খাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ

জাপানীদের কাছে সকালের খাবার সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তারা ভালো সকালের খাবার খাওয়ার ব্যাপারে বিশ্বাসী। তারা সকালে চালের পরিজ এবং ভাপানো ভাত সাথে সিদ্ধ মাছ খেতে ভালোবাসে। দিন শুরু করার জন্য শর্করা একটি ভালো উপাদান। এসব ডিশ থেকে তারা পুরোপুরি পুষ্টি গ্রহন করে থাকে।

ডায়েট না করা

তরা এমনিতেই প্রচুর হাঁটাহাঁটি এবং ব্যায়াম করে। জাপানীরা ওজন কমানোর জন্য কখনো ডায়েট করে না্।


রুটির ওপরে ভাতকে গুরুত্ব দেয়া

যেহেতু পরিশোধিত অল পারপাস ময়দা দিয়ে রুটি তৈরি করা হয় যা আপনার বদহজম হতে পারে। জাপানীরা রুটির চেয়ে ভাত বেশি পছন্দ করে।


পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সংস্কার


জাপানীদের পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে আচ্ছন্নতা রয়েছে। তাদের কাছে পরিচ্ছন্নতা বেঁচে থাকার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। সেই সাথে তারা শৃঙ্খলাবদ্ধ। এমনকি তাদের বাচ্চারা ও স্কুলে তাদের চারপাশ পরিষ্কার করতে শেখে যা তাদের পরবর্তী জীবনে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে তোলে।


খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠা


ওকানিয়াদের জীবনে অবসর বলতে কিছু নেই তার বদলে তারা খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠে। সেখানে ১০১ বছরের জেলে আছে। আছে ১০২ বছরের কারাতে শিক্ষক। এরা সবাই কাজ করেন।


২০০৮ সালে তহোকু বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায় যারা খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন তাদের হৃদরোগ ও মরার হার কমে যায়।

ঐক্য ও টেকসই প্রবণতা

নিজের চারপাশে থাকা লোকদের সঙ্গে অনবরত সংগ্রাম চালাতে হলে আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন না। গোষ্ঠীবদ্ধতার চর্চ্চা এবং তা চালিয়ে যাওয়া জীবনের চ্যালেঞ্জিং মুহূর্তগুলোতে আপনাকে শক্তি যোগাবে। জাপানীরা এই গোষ্ঠীবদ্ধতার চর্চ্চা করে।

অল্প কিছুতেই আনন্দ লাভ

ছোট ছোট বিষয়ে আনন্দলাভ যেমন: সকালের শিশির, এক কাপ কফি বা রোদের তাপ আপনার জীবনকে অনাবিল আনন্দে পূর্ণ করতে পারে। জাপানীরা এই কাজটিই করে থাকে মানে ছোট ছোট বিষয়ে আনন্দ লাভের চেষ্টা করে।


জাপান ও জাপানিদের সফলতা শুরু হয় খাবার থেকে। যেখানে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করার পরিমাণ কিন্তু বেশিই থাকে। সবজি, মাছ, মাংস, শস্যের সাথে দুধের তৈরি খাবার এবং ফলমূল খায় অল্প পরিমাণে। বাড়তি লবণ ও চিনিযুক্ত খাবার সব সময়ই এড়িয়ে চলে তারা।


Tags Line:


কিভাবে জাপানি মানুষ দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে, জাপানিদের মত দীর্ঘজীবি হওয়ার কৌশল, জাপানিদের দীর্ঘজীবী হওয়ার রহস্য, জাপানিদের দীর্ঘজীবী হওয়ার নিয়ম,জাপান,দীর্ঘ ও সুখী জীবনের জাপানি রহস্য ও কারণ,দীর্ঘজীবী হওয়ার রহস্য,জাপান সম্পর্কে তথ্য,দীর্ঘজীবী জাতি,জাপানের মানুষ কেন ১০০ বছরের বেশিদিন বাঁচে,দীর্ঘজীবী গাছ,জাপানের ইতিহাস,জাপান দেশ,দীর্ঘজীবন,জাপানি মেয়ে,পৃথিবীর সবচেয়ে বিনয়ী মানুষের দেশ,জাপানি সেডার,পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘজীবী গাছ,মজার দেশ জাপান

Next Post Previous Post