পিরিয়ডের কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয় 😀মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়

 পিরিয়ডের কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয় 😀মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়   মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়


আজ আমরা জানবো মাসিক বন্ধ হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্সির ভাব বোঝা যায়। যারা প্রথম বারের মতো মা হতে যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে এই প্রশ্ন টি বেশি ঘুরপাক খায়। এছাড়া আরো কিছু কমোন প্রশ্ন আপনাদের মনের মধ্যে উকি মারে। এ সব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের আরটিকেলটি। যারা নতুন বা প্রথম বারের মতো মা হতে যাচ্ছেন তাদের খুব উপকারে আসবে। পুরো সময় ধরে আমাদের সাথে থাকুন এবং  জেনে নিন বিস্তারিত তথ্য। বিষয়টি নতুনদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে।

পিরিয়ডের কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়


জেনে নিন মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়? যিনি প্রথম মা হতে  চাচ্ছেন তার ক্ষেত্রে  এই প্রশ্নটা বেশি দেখা যায়। এছাড়াও আরো কিছু প্রশ্ন মনে আসে, শারীরিক মিলনের কত দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়? পিরিয়ডের কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়? গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কত দিন পর বোঝা যায়? 

প্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা এরকমই কিছু  প্রেগনেন্সি রিলেটেড প্রশ্নের উত্তর নিয়ে এসেছি।  আশা করি, যারা নতুন মা হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের উপকারে আসবে।


মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়?


মাসিক বন্ধ হলেই কি আপনি গর্ভবতী? না এমনটি নয়। মাসিক বন্ধ হওয়া মানেই আপনি গর্ভবতী নও। কারণ মাসিক নানান কারণে বন্ধ হতে পারে। তার মধ্যে উল্খেযোগ্য কারন হচ্ছে:


  • অতিরিক্ত মানসিক চাপ
  • শারীরিক অসুস্থতা
  • জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল সেবন।
  • এবং অনিয়মিত ৠতুস্রাব।


তবে আপনার জানা দরকার মহিলাদের মাসিক বা পিরিয়ড একটি চক্রাকারে চলতে থাকে। যেমন: দেখবেন কিছু মহিলার ক্ষেত্রে মাসের একটা নির্দিষ্ট সময় পর মাসিক শুরু হয় এবং নির্দিষ্ট সময় পর বন্ধ হয়ে থাকে। আবার কিছু কিছু মহিলার ক্ষেত্রে এই চক্রের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে না। 

তখন তাকে অনিয়মিত ঋতুস্রাব বলে। আপনি যদি এই বিষয়ে নতুন হয়ে থাকেন আর আপনি যদি না জেনে থাকেন যে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের ভয়াবহতা কেমন হতে পারে, তাহলে এখনই জেনে নিন। না হলে পরবর্তীতে পস্তাতে হতে পারে। প্রথম মাসিকের পরের দিন থেকে পরবর্তী মাসিক শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত সময়কে ঋতুচক্র বা মাসিক চক্র বলে। 

যাঁদের ঋতুচক্র সঠিক সময়ে ধরে চলে তারা স্বাভাবিক জীবনের আধিকারি। যাদের ঋতুচক্র ২৪ থেকে ৩৮ দিনের ব্যবধানে হয়, তাদের সাধারনত অনিয়মীত মাসিক বলে। 

আপনার যদি অনিয়মিত মাসিক হয় অব্যশই যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার জন্য বলা হলো। কারন আমরা জানি অনিয়মিত মাসিকের কারণে একজন নারির মা হওয়ার সম্ভবনা নাই বল্লেই চলে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটা খুব গুরুত্বপুৃর্ন। 


মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়

যাদের নিয়মিত মাসিক হয় তদের ক্ষেত্রে, মাসিক বন্ধ হওয়ার ২ সপ্তাহের মধ্যে শতকারা ৯০% মহিলার গর্ভধারনের লক্ষন প্রকাশ পায়। অনেকের আবার ২ সপ্তাহের আগেই বোঝা যায়। তবে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে সম্পুর্ন ভাবে বোঝা যায় যে সে গর্ভবতি না গর্ভবতি না। তবে মাসিক বন্ধ ছাড়াও অন্য কিছু লক্ষনের মাধ্যমে ও বোঝা যায় যে সে গর্ভবতি। তার মধ্যে গুরুত্বপুর্ন লক্ষন হলো মর্নিং উইকনেছ। তবে এটাযে শুধু সকালে হয় তাই নয়। এটা রাতেও দেখা দিতে পারে। তবে মর্নিং উইকনেস গর্ভধারনের ১ মাসের পর দেখা দেয়। এ সময় প্রচন্ড দুরবলতা অনুভুতি হয়, মাথা ঘুরায়।


মাসিক বন্ধ হওয়ার মানেই কি গর্ভবতী হওয়া ?


ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার কত দিন পর গর্ভবতী হওয়া যাবে? এই প্রশ্নের উত্তর আসলে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে পরিবর্তিত হয় কারো পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে কেউ কোনো লক্ষণ ছাড়াই দুই মাস চলে যায়।

যৌন মিলনের কত দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হবে?


  • সহবাসের পর গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করার সঠিক সময় নেই

  • যদি সময়মত পিরিয়ড না হয় বা পিরিয়ড মিস হয়ে যায়, তাহলে তার অন্তত দশ দিন পর গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করা উচিত।

  • প্রথম নেতিবাচক পরীক্ষার পরেও যদি আপনি আপনার পিরিয়ড না পান, তাহলে 5 দিন পর আবার পরীক্ষা করুন।

গর্ভবতী হওয়ার কত দিন পর মাসিক বন্ধ হয়?


সাধারণত, গর্ভধারণের পরের মাসে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। আপনার পিরিয়ড যদি নিয়মিত হয়, কোনো মাসে হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় তাহলে বুঝতে পারবেন আপনি গর্ভবতী এছাড়াও আরও অনেক গর্ভাবস্থার লক্ষণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মর্নিং সিকনেস, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, স্তন নরম হয়ে যাওয়া, স্তন ভারী বা স্তনে হালকা ব্যথা অনুভব করা, শরীরের তাপমাত্রা অনেক ক্ষেত্রে বেড়ে যায়।


পিরিয়ড মিস হওয়ার ১০ দিন পর গর্ভবতী কিভাবে বুঝবেন?


কিছু উপসর্গ মাসিক মিস হওয়ার 10 দিন পর গর্ভধারণের ইঙ্গিত দেয়। মাসিক বা পিরিয়ড মিস হওয়ার এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপনার শরীরে কিছু লক্ষণ দেখা যায়। প্রতি 10 জনের মধ্যে 7 মহিলার অনুরূপ লক্ষণ রয়েছে।

  • মিস পিরিয়ড
  • খেতে অনীহা

  • মেজাজ পরিবর্তন.

  • হরমোনের পরিবর্তনের কারণে ফোলাভাব

  • ঘন মূত্রত্যাগ

  • অলসতা বা হালকা ক্লান্তি।

  • স্তনের পরিবর্তন (স্তনের কোমলতা, স্তনের কোমলতা বা হালকা স্তনে ব্যথা)

  • বমি বমি ভাব

  • দাগ এবং সাদা স্রাব

  • শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ইত্যাদি।


গর্ভধারণের লক্ষণ কত দিন পর বোঝা যায ?


পিরিয়ড মিস হওয়ার কত দিন পর গর্ভবতী তা বোঝা যায়

গর্ভধারণের লক্ষণগুলি গর্ভধারণের 7 থেকে 15 দিনের মধ্যে শুরু হয় এবং সময়ের সাথে সাথে লক্ষণগুলি পরিবর্তিত হয়।

গর্ভাবস্থার 7 থেকে 15 দিনের মধ্যে, অনেক মহিলাই স্তনের কোমলতা, স্তনের কোমলতা বা হালকা স্তনে ব্যথা অনুভব করতে শুরু করে।

গর্ভধারণের 30 দিনের মধ্যে যে লক্ষণটি দেখা দেয় তা হল বমি বমি ভাব। সকালে বা দিনের যেকোনো সময় বমি বমি ভাব হয়। গর্ভাবস্থার পরে, শরীরের ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি পায়। যে কারণে এই বমি বমি ভাব বা বমি হয়।

  • খাবারের স্বাদের পরিবর্তন।

  • জ্বর ও পেট ব্যাথা।

  • কোষ্ঠকাঠিন্য

  • যোনি স্রাব।

মাসিক না হলে কত দিনে গর্ভবতী হবেন?

পিরিয়ডের কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়


যদি আপনার নিয়মিত মাসিক হয়, তাহলে আপনি গর্ভবতী হন যদি আপনি সহবাসের পর মাসিক মিস করেন। নিশ্চিত হওয়ার জন্য, পিরিয়ড মিস হওয়ার দশ দিন পরে একটি গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করুন। যদি এটি নেগেটিভ ফিরে আসে, তাহলে পাঁচ দিন অপেক্ষা করুন এবং আবার পরীক্ষা করুন। তারপরও যদি পজিটিভ না আসে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

গর্ভাবস্থা পরীক্ষার ঘরোয়া পদ্ধতি কি?


উপরের আলোচনা থেকে আপনার অবশ্যই ধারণা থাকবে কখন প্রেগন্যান্সি টেস্ট করাবেন। এখন আমি ঘরে বসে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার কিছু পদ্ধতির কথা বলব।
প্রেগন্যান্সি স্ট্রিপস: বাড়িতে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করার সবচেয়ে নিরাপদ এবং সহজ উপায় হল একটি গর্ভাবস্থা কিট। তবে অবশ্যই ভালো মানের টেস্টিং কিট হতে হবে।

একটি প্রস্রাবের নমুনার সাথে, পরীক্ষার কিটে অন্তর্ভুক্ত রাসায়নিক স্ট্রিপগুলির সাহায্যে পরীক্ষা করা যেতে পারে।

প্রথম সকালের প্রস্রাব সংগ্রহ করে একটি গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করা উচিত। কারণ, সকালের প্রথম প্রস্রাবে HCG হরমোনের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকে। অতএব, বাজার থেকে কেনা গর্ভাবস্থা পরীক্ষার কিটগুলিতে সঠিক ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ড্রপার বরাবর একটি ফালা আছে.

   আপনার সংগৃহীত প্রস্রাবের দুই ফোঁটা স্থানটিতে রাখুন বা দাগটি প্রস্রাবে ডুবিয়ে দিন। তারপর 1 থেকে 5 মিনিট অপেক্ষা করুন (সময় কম বা বেশি হতে পারে)। কত মিনিট অপেক্ষা করতে হবে তা প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকবে।

ইতিবাচক হলে দুটি লাল দাগ, নেতিবাচক হলে একটি লাল দাগ থাকতে হবে। এটি নষ্ট থাকলে কোন দাগ দৃশ্যমান হবে না।

যদি ফলাফল নেতিবাচক হয়। এর পরেও পিরিয়ড না হলে ৫ দিন পর আবার পরীক্ষা করুন।

গর্ভাবস্থার ফালা ফলাফল সাধারণত 99% সঠিক হয়।

বাজারে বিভিন্ন টেস্টিং কিট পাওয়া যায় কিন্তু সবসময় হাতে থাকে না। আপনি বাড়িতে 4টি উপায়ে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করতে পারেন:

1. চিনির সাথে: প্রথম সকালের প্রস্রাব সংগ্রহ করুন, এতে এক চামচ চিনি যোগ করুন, যদি গলদ হয়ে যায় তবে আপনি সম্ভবত গর্ভবতী।

2. টুথপেস্টের সাথে: একই পদ্ধতিতে, সকালে সংগৃহীত প্রস্রাবে কিছু টুথপেস্ট মিশিয়ে নিন। যদি কিছুক্ষণ পরে এটি বুদবুদ হতে শুরু করে এবং মিশ্রণের রঙ নীল হয়ে যায় তবে আপনি মা হতে চলেছেন।


3. বেকিং সোডার সাথে: সকালে এক কাপ প্রস্রাবের মধ্যে 2 টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। যদি মিশ্রণটি ছানার মতো ভেঙে যায়, তাহলে আপনি সম্ভবত গর্ভবতী।

4. ভিনেগারের সাহায্যে: সকালে সংগৃহীত প্রস্রাবে সাদা ভিনেগার মিশিয়ে যদি দেখেন যে রং পরিবর্তন হতে শুরু করেছে, তাহলে আপনি গর্ভবতী হতে পারেন।


সর্বশেষ,

আশা করি, আপনার প্রশ্নটি ছিল, যৌন মিলনের কত দিন পর আপনার গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করা উচিত? পিরিয়ড মিস হওয়ার ১০ দিন পর গর্ভাবস্থা কিভাবে বুঝবেন? গর্ভধারণের লক্ষণ, গর্ভাবস্থা পরীক্ষার ঘরোয়া পদ্ধতি এবং গর্ভাবস্থা সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর পান।
ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার কত দিন পর গর্ভবতী হওয়া যাবে তা বোঝা যাবে, এ বিষয়ে আরও কিছু জানার থাকলে বা কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানাবেন। ধন্যবাদ
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url