কাঁঠালের এঁচোড় রান্নার পদ্ধতি ও স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপযোগী এ বিষয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। কাঁঠাল আমরা সবাই কম বেশি পছন্দ করি। কাঁঠাল এমন একটা ফল যাক কাঁচা অবস্থা খাওয়া যায় পাকাও খাওয়া যায় এবং তার বিচিও খাওয়া যায়। কাঁচা কাঁঠালকে বলা হয় কাঁঠালের এঁচোড়। এই কাঁঠাল আমরা অনেকেই খেতে পছন্দ করি। কিন্তু কাঁঠালের এঁচোড় রান্নার সঠিক পদ্ধতি হয়তো অনেকেই জানিনা আজকে আপনাদের জানাবো কিভাবে খুব সহজেই কাঁঠালের চোর রান্না করা যায়। কাঁঠালের চোর বিভিন্ন পদ্ধতিতে রান্না করা যায় কেউ কেউ মাংস দিয়ে রান্না করে কেউ শুটকি দিয়ে রান্না করে খুব চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করতে পারে যার যেমন পছন্দ তেমন কেমন ভাবে রান্না করা যায়। আজকে সকালে জানাবো কিভাবে চিংড়ি মাছ দিয়ে কাঁঠাল রান্না করা যায়। তাহলে চলুন জানা যাক কিভাবে কাঁঠালের চুল রান্না করব আর কি কি প্রয়োজন।
কাঁঠালের এঁচোড় রান্নার পদ্ধতি ও স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপযোগী।
কাঁঠালের এঁচোড় রান্নার পদ্ধতি: চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁঠালের চোর রান্না করতে কি কি উপকরণ প্রয়োজন তা নিম্নে সুন্দরভাবে দেওয়া হলো।
উপকরণ প্রণালী-
১ মনে করেন আমি এখানে এক কেজি পরিমাণে কাঁচা কাঁঠাল খোসা ছাড়িয়ে নিয়ম অনুসারে কেটে নিলাম।
২ হাফ কাপ পরিমাণে সরিষার তেল নিবা
৩ চিংড়ি মাছ পরিমাণ মত
৪ পেঁয়াজ কুচি হাফ কাপ
৫ একটা চামচ রসুন বাটা
৬ একটা চামচ আদা বাটা
৭ চার-পাঁচটা কাঁচামরিচ
৮ হাফ চামচ হলুদ গুঁড়া
৯ হাফ চামচ মরিচ গুঁড়া
১০ স্বাদমতো লবণ
১১ তেজপাতা দুইটা
১২ হাফ চামচ গরম মসলা
এবার কাঁঠাল রান্নার জন্য প্রথমে কাঁঠালটা সুন্দরভাবে কেটে নিতে হবে। এরপর কাঁঠালের চোট্টা লবণ হলুদ দিয়ে ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এবার চুলায় একটা করাই নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো তেল দিতে হবে। তেলটা ভালোভাবে গরম হলে দুইটা তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি ছেঁড়া কাঁচামরিচ ও চিংড়ি মাছ দিয়ে চিকন ভেজে নেয়ার পর ।
একে একে রসুন বাটা, আদা বাটা, লবণ হলুদের গুঁড়া মরিচের গুঁড়া দিয়ে মসলাটা ভালোভাবে নাড়াচাড়া করতে হবে। এখানে আপনারা চাইলে সামান্য পানি দিতে পারেন। এবার মসলাটা ভালোভাবে কষানো হলে তার ভিতর সিদ্ধ করে রাখা কাঁঠালের এঁচোড় দিয়ে সুন্দরভাবে নাড়াচাড়া করতে হবে খেয়াল রাখতে হবে পুড়ে না যায়।
কিছুক্ষণ কাঁঠালের ভেতরটা কষানোর পর দুই কাপ পরিমাণে গরম পানি দিতে হবে।
এবার ঢাকনা দিয়ে ১০ মিনিট রাখার পর ঢাকনা খুলে একবার নাড়াচাড়া করে নিতে হবে পানিটা শুকিয়ে আসলে গরম মসলাটা দিয়ে দিয়ে আরো কিছুক্ষণ ঢাকনা দিয়ে রাখতে হবে। এবার চুলাটা বন্ধ করে নামিয়ে নিলে হয়ে যাবে মজাদার কাঁঠালে রেঁচোর রান্না। আমার আজকের লেখা আপনারা বুকে রান্না করেন তাহলে খুব সহজেই ও সঠিক পদ্ধতিতে মজাদার কাঁঠালের এঁচোড় রান্না করতে পারবেন।