হঠাৎ বুকে ব্যথা হলে করণীয়

 হঠাৎ বুকে ব্যথা হলে করণীয় এমন কোন মানুষ নেই যে, একবারের জন্য হলেও বুকে ব্যথা অনুভব করে নাই। তা যতোই সামান্য হক না কেন। তবে আমারা অনেক সময় বুকের ব্যথাকে খুব সামান্য সমস্যা মনে করে এড়িয়ে যাই, যার ফল কখোনোই ভালো হয় না। আমরা বুকের ব্যথাকে অনেক সময় শুধু এসিডিটির ব্যথা মনে করে গ্যাসের ঔষুধ খেয়ে থাকি। আর নিশ্চিত হই এই ভেবে যে ব্যথা কমে যাবে। কিন্তু এই অনুমানের উপর ভিত্তি করে সহজ সমাধান নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। আমাদের হঠাৎ বুবে ব্যথার সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় হার্ট অ্যাটাকের মত ভয়াবহ রোগের সিকার হই।


Chest pain does not mean heart disease

হঠাৎ বুকে ব্যথা হলে করণীয়



তাই বুকে ব্যথা হলে আগে এর সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে হবে। তার পরে চিকিৎসা নিতে হবে। কারণ বুকে ব্যথা যেমন বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে তেমনই এর চিকিৎসার ও বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক ধারনা না থাকায় দিনে দিনে শারীরিক জটিলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে হার্ট অ্যাটাকের মত জটিল রোগ ভয়াবহ রুপ ধারন করছে। তাই নিজে নিজের চিকিৎসক না হয়ে, বুকের ব্যথাকে গ্যাসের ব্যথা মনে করে গ্যাসের ঔষুধ না খেয়ে ডাক্তারের পরার্শ নিয়ে ঔষুধ খান। গ্যাসের কারণে বুকে প্রদাহ জনিত সমস্যা হয় তাই অনেক সময় বুকের ব্যথাকে গ্যাসের ব্যথা ভাবাটা ভুল নয়। তবে মনে রাখবেন বুকে যদ কখনো চিন চিন করে ব্যথা করে তাহলে অবহেলা না করে গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে।

Chest Pain: Do you have chest pain? Do not despise, knowing


যদিও বুকে ব্যথার অনেক কারণ রয়েছে কিন্তু এর ফলাফল হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি বাড়িয়ে দেয় অনেকাংশে। বিশ্ব হৃৎপিণ্ড দিবসে বলা হয়েছে, আমাদের দেশের জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে হৃদরোগের ঝুকি বেড়েই চলেছে। আবাহাওয়া পরিবর্তনের ফলে আমাদের মনে ব্যপক পরিমানে স্ট্রেস বৃদ্ধি করে যার ফলে আমাদের রক্ত চলাচলে বাধা প্রদান করে, শরীরে অক্সিজেনের প্রবাহ হ্রাস পায় এবং ইত্যাদি জটিলতা সৃষ্টি করে। যার ফলে হৃদরোগের ঝুকি বাড়ে। বুকের এই ব্যথাকে গুরুত্ব না দেওয়ার ফলে হার্ট অ্যাটাকে মুত্যুর ঝুকি বৃদ্ধি পায়। অতচ সঠিক সময়ে চিকিৎসার করালে এই ঝুকি কমানো সম্ভব। বুকের ব্যথা অসাবাভিক মনে হলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। হাসপাতালে ভর্তির ১২ ঘন্টার মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসা ডাক্তাররা দিয়ে থাকেন। হাসপাতালে ভর্তি না হলে বা যদি আপনি অবহেলা করেন তা হলে আপনাকেই ফল ভুগতে হবে।

বুকে ব্যথার কারণ


বুকের কিছু কিছু ব্যথা আছে যে গুলো সরাসরি হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি নির্দশ করে। চলুন জেনে নেই সে সকল কারন গুলি কি?

মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন: এই সমস্যা হলে হার্টে রক্ত চলাচলে বাধা প্রদান করে।
মায়োকার্ডাইটিস: হৃদযন্ত্রের পেশিতে জ্বালা পোড়া  হয়।
পেরিকার্ডাইটিস: হার্টের থলিতে প্রদাহজনিত তীব্র ব্যথা হয়। 
করোনারি আর্টারি ডিজিজ: একে এনজাইনাও বলা হয়ে থাকে। হৃদপিণ্ডে রক্তনালীর ব্লাকের কারণে এমন হয়।
মাইট্রাল ভালভ প্রল্যাপস: হৃদপিণ্ডে অবস্থিত মাইট্রাল ভালভ সঠিকভাবে বন্ধ না হওয়ার কারনে হয়।

এওর্টিক বিচ্ছেদ: এই লোকটি সচরাচর মানুষের হয় না। এটি একটি বিরল রোগ। মূলত হৃদপিন্ডের এওর্টা ছিড়ে গেলে এরপরে হয়ে থাকে।

ব্রঙ্কোস্পাজম: এই রোগের লক্ষণ হাঁপানি ও ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) এর কারণে রোগীদের মধ্যে দেখা দেয়।

অ্যাসিড রিফ্লাক্স: এই রোগটি আমরা সাধারণ ভাষায় বলি অম্বল বা গ্যাস। এ রোগের সাধারণত ঝাল ঢেকুর গলা পর্যন্ত উঠে আসে এবং বুকে জ্বালাপোড়া করে।

পালমোনারি এমবোলিজম: এই রোগ সাধারণত ফুসফুসে দেখা দেয়। ফুসফুসে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে এই রোগের সৃষ্টি হয়।
একথাও মিথ্যা নয় যে, বুকে ব্যথা সব সময় হৃদরোগের লক্ষণ নয়। অন্যসব কারণেও বুকে ব্যথা হতে পারে। তাই প্রাথমিকভাবে বুকে ব্যথা দেখা দিলে তার সিমটম বা সমস্যার ধরন চিহ্নিত করে অনুমান করতে হবে যে এটা কি ধরনের ব্যথা। তারপর চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এবং সবকিছু সুন্দর ভাবে তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে। তবেই সঠিক কারণ খুঁজে পাওয়া যাবে।

আসুন জেনে নেই হৃদরোগ ছাড়া যে সমস্ত কারণে বুকে ব্যথা হতে পারে:


অ্যাসিডিটি হলে: গ্যাসের ব্যথার কারণে অনেক সময় আমাদের বুকে ব্যথা দেখা দিতে পারে। প্রচুর পরিমাণে তেল জাতীয় ও মসলা জাতীয় খাবার খাওয়ার পর সাধারণত আমাদের বুকে জ্বালাপোড়া করে এবং ঢেকূর উঠে এরকম লক্ষণ দেখা দিলে আমরা এসিডিটির ওষুধ খেতে পারি।

খাদ্যনালীর সমস্যা: অনেক সময় দেখা যায় আমাদের খাদ্যনালীতে যদি কোন রকমের অসুবিধা থাকে তাহলে খাবার খেতে গেলে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া অনুভব হয়। এ ধরনের সমস্যায় নাইট্রোগ্লিসারিন জাতীয় ওষুধ খেলে সুস্থ হওয়া যায়।

হঠাৎ বুকে ব্যথা হলে করণীয়



এফর্ট এনজাইনা (Effort angina):  এনজাইমা মূলত স্ট্রেস নিয়ে কাজ করার ফলে হয়ে থাকে। সাধারণত এ সময় মৃদু বুকে ব্যথা অনুভব করে। এ সময় অনেক আতঙ্কিত হয়ে পড়ে হার্ট অ্যাটাক হবে কিনা এ ভয়ে। কিন্তু এ ব্যথা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়, এ সময় সামান্য বিশ্রাম নিলে ঠিক হয়ে যায়।


বুকের অন্যান্য সমস্যা: অন্যান্য কারণেও অনেক সময় বুকে ব্যথা অনুভব হতে পারে। যেমন: ফুসফুসের সংক্রমণে বুকে ব্যথা হতে পারে। গ্যাসের জন্য বুকে ব্যথা হতে পারে। বুকের মাংসপেশিতে ব্যাথা হলে, বুকের পাজরের হাড়ে কোন সমস্যা থাকলে, বুকে কোন প্রকার আঘাত পেলে এবং ব্যথার ওষুধ সেবন করলে বুকে ব্যথা হতে পারে।


ভয় বা দুশ্চিন্তার ফলে : বুক ধড়ফড় ও বুকে ব্যথার জন্য প্যানিক ডিজর্ডার (Panic Disorder) অনেকাংশে দায়ী। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ব্যক্তি গত জীবনে হতাশায় বা দুশ্চিন্তায় থাকেন তারাই এ সমস্যায় বেশি ভোগেন। এর ফলে অনেক সময় মনের উপর ও প্রভাব পড়ে।


বুকে ব্যথার লক্ষণগুলো: বুকে ব্যথা নিয়ে অনেক আলোচনা করা হলো। এখানে হৃদ রোগ সহ অন্যান্য যেসব কারণে বুকে ব্যথা হয়, সে সব বিষয়ে আলোচনা করা হলো। কিন্তু কথা একটা থেকেই যায়, কিভাবে বুঝব যে বুকের এই ব্যথাটি সাধারণ ব্যথা না হার্ট এটাকের ব্যথা। আলোচনায় অনেকের দুশ্চিন্তা কিছুটা কম হলেও পুরোপুরি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলা যাচ্ছে না। তাই আমরা পরবর্তীতে হৃদরোগের জন্য দায়ী এমন  বুকের  ব্যথার লক্ষণগুলো নিয়ে আলোচনা করব।

এবার তাহলে বুকে ব্যথার লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জানা যাক:


আপনি কি বুকে আচঙ্কার টান বা ভয়াবহ চাপ অনুভব করছেন। ব্যথা আপনাকে প্রায় করে ফেলছে। বুকের ব্যথার ধরনটা আগেই আপনাকে বুঝতে হবে। অনেক সময় বুকে জ্বালানি হচ্ছে, ব্যথা হচ্ছে, প্রচণ্ড ব্যথা, চিন চিনে ব্যথা, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে এরকম যদি মনে হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
চাপা ব্যথা বা চেনা ব্যথা অনেক সময় ব্রেস্ট বোন এলাকায় অনুভূত হয়। কিন্তু হাত বাড়ালে মনে হয় যেন ব্যথাটা এখানেই নয় অন্য কোথাও। ব্যথা অনেক সময় হাত পায়ে চোয়াল এবং অবশেষে পিঠে  ছড়িয়ে পড়ে।

$ অনেক সময় বুকে ব্যথার সাথে সাথে মাথা ঘুরাতে শুরু করে।
$ শরীর খুব দুর্বল লাগছে শুরু করে।
$ হার্টের রক্তচাপ কমতে শুরু করে।
$ মুখের টক শাক চলে আসে।
$ জোরে শ্বাস নেওয়া বা কাশির সময় ব্যাথাটা পিঠে চাপ দেয়।
$ শরীরে প্রচন্ড দুর্বলতার লক্ষণ দেখা যায়।
$ মনে হয় যেন হাঁটার ক্ষমতাটুকু হারিয়ে গেছে।


এর কোন একটি লক্ষণ দেখা দিলেই বুঝবেন যে আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি রয়েছে অনেক সময় আপনি নিজে বুঝতে পারবেন না আশেপাশের কারো হেল্প নিতে পারেন। এ সময় অবহেলা না করে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।


হঠাৎ বুকে ব্যথা হলে কি করবেন?

sudden-chest-pain



হঠাৎ করে বুকে ব্যথা শুরু হলে এবং উপরে বর্ণিত কোন লক্ষণের সাথে যদি আপনার ব্যথার ধরন মিলে যায় তাহলে সর্বপ্রথম সঠিক মেডিসিন খুঁজে নিতে হবে কিন্তু এখানে একটা প্রশ্ন থেকেই যায় বুকে ব্যাথা শুরু হলে প্রাথমিক অবস্থায় একজন মানুষ কি কি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারে কারণ বুকে ব্যথার কারণ হিসেবে অনেক সময় এটাকে ঝুঁকি থাকতে পারে তাই আমরা চাই সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। যাতে করে আপনি প্রথম থেকেই সতর্কতাঅবলম্বন করতে পারবেন।

হঠাৎ বুকে ব্যথা হলে হাসপাতালে পৌছার আগে একজন মানুষ প্রাথমিক ভাবে কি কি করনীয় রয়েছে: ----

ডিসপিরিন জাতীয় ওষুধ:


যদি বুকে আপনার সিন সিন ব্যাথা অনুভূত হয়। আর এই ব্যথা যদি অতিথি তীব্র না হয়। অর্থাৎ আপনাকে যদি কাবু করতে না পারে তাহলে আপনি কিছুটা স্বস্তিতে থাকতে পারেন। যে এটা আপনার হার্টের ব্যথা নয়। আবার এমনটি যদি হয় যে ব্যথাটি হার্টের আপনি নিশ্চিত। তাহলে 300 মিলিগ্রাম এস পিরিন বা ডিসপ্রিন জাতীয় ওষুধ খাওয়া যেতে পারেন।


নাইট্রোগ্লিসারিন স্প্রে:


বুকের ব্যথা সব সময় হার্টের রোগীদের হয় এমনটি নয়। অনেক সময় বেশি স্টেজ হওয়ার কারণে আমাদের শরীরে যে স্ট্রেস হরমোনের নির্গত হয়। তার ফলে বুকে ব্যথা হতে পারে। তবে যদি হার্টের কারণে ঘন ঘন বুকে ব্যথা হয় তাহলে নাইট্রো গ্লিসারিন স্প্রের সাথে রাখতে পারেন। এটা বসা অবস্থায় মুখের ভেতরে স্প্রে করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।



কোল্ড প্যাক:


কখনো কখনো বুকের ব্যথায় আইস প্যাক ব্যাবহার করা যায়। অর্থাৎ বুকে যদি বেশি পরিমাণে একটা অনুভূত হয় এবং মারাত্মক ব্যথা অনুভূত হয় সে ক্ষেত্রে আইস প্যাক ব্যবহার করলে ব্যথা কমে যায়।


শুয়ে থাকুন:


শুয়ে থাকাটা সাধারণ বুকে ব্যথার জন্য মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে। দেখা যায় অনেক সময় বুকে প্রচণ্ড পরিমাণ ব্যথা করে এবং শরীরে ক্লান্তি অনুভূতি হয়। এ সময় নড়াচড়া না করে মাথা মাথাটা সামান্য উঁচু করে শুয়ে থাকুন।  এ সময় মাথার নিচে একটু সুপারিশ দিয়ে দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে বেশি উঁচু হয়ে আবার ঘাড়ে ব্যথা না করে। এভাবে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকলে দেখবেন বুকের ব্যথা আস্তে আস্তে কমে গেছে।



পরীক্ষা করান:


অনেক সময় দেখা যায় ডাক্তারেরা সমস্যার কথাটা আপনার মুখ দিয়ে শোনার পর তারা পরীক্ষা পদ্ধতি বদলে ফেলে এবং সামান্য কিছু ঔষধ দিয়ে দেন। আর বলেন এতে সুস্থ হয়ে যাবেন। তবে এমনটি করা যাবে না। আপনি নিজে থেকেই ইসিজি, এক্সরে, রক্ত পরীক্ষা, এমআরআই, ইকো কার্ডিওগ্রাম পরীক্ষা ও এঞ্জিওগ্রাম এ সমস্ত পরীক্ষাগুলো করিয়ে নিতে পারেন। তাতে করে আপনি পরবর্তী সময়ের জন্য আপনি স্বস্তিতে থাকতে পারবেন।



ধূমপান পরিহার :


অনেক সময় দেখা যায় যে আমাদের দেশের যারা ধূমপান করে তাদের বুকে ব্যথাটা বেশি দেখা যায়। বুকে ব্যথা দিলে ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে অর্থাৎ দমন করাই যাবে না। সম্ভব হলে একেবারে ছেড়ে দেওয়াই ভালো।


কাউকে নিজের সম্পর্কে জানান:


অনেক সময় দেখা যায় আমরা পরিবার থেকে বাহিরে থাকি বা কাজের ক্ষেত্রে বাহিরে আছি এমন সময় বুকে ব্যাথা শুরু করছে। আপনি বুঝে উঠতে পারছেন না কি করবেন। তখন আপনার জ্ঞান থাকা অবস্থায় আপনি আপনার নিকট আত্মীয়-স্বজনরা বা বন্ধু-বান্ধবকে বিষয়টা জানান। যাতে তারা দ্রুত আপনার কাছে এসে যথার্থ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। প্রয়োজনে যদি আপনি মনে করেন আপনার বুকের ব্যথাটা আপনাকে দুর্বল করে ফেলবে এমনটি মনে হলে ফোনের মাধ্যমে আগেই তাদেরকে জানিয়ে রাখুন।

পরিশেষে

যদি পরীক্ষায় প্রমাণই হয় যে  বুকের ব্যাথাটা আপনার হাট থেকে হচ্ছে, তাহলে চিকিৎসার জন্য অবশ্যই ভালো কোন হাসপাতালে যেতে হবে এবং ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে অর্থাৎ চিকিৎসা করাতে হবে। তবে একটা জিনিস মনে রাখবেন হার্ট অ্যাটাকের  ফলে মৃত্যু ঝুঁকি যেমন আছে তেমনি আছে সারা জীবনের জন্য অচল হওয়ার ও। অনেক সময় দেখা যায় হার্ট এটাকের হাত থেকে বেঁচে গেলেও সারা জীবনের জন্য কোন না কোন অঙ্গ অচল হয়ে যায়। আর এমনটি যদি মনে হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের খাদ্যা অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখার ব্যবস্থা করতে হবে এবং অবশ্যই ধূমপান থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। কারণ আমরা বর্তমান সময় দেখছি যে অন্যসব রোগের মতই সচরাচর মানুষের হার্ট অ্যাটাক দেখা দিচ্ছে। এটা একটা কমন রোগ হয়ে গেছে। এখন তাই আগে থেকে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। আশা করি আজকের আর্টিকেলটা আপনাদের খুব ভালো লেগেছে বা আপনাদের উপকারে এসেছে। যদি এমন ঠিক হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের সঙ্গে থাকবেন। আমাদের সাইটটি ফলো করে রাখবেন। আরো কোনো বিষয় যদি আপনাদের জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টস এর মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না ।
ধন্যবাদ।

শেষে আরেকটি কথা না বললেই নয় বুকের ব্যথাকে অবহেলা না করে তা গুরুত্বের সাথে  চিকিৎসা করাতে হবে।





Next Post Previous Post