বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে এই বিষয়ে অনেকেই ইন্টারনেট কাটাকাটি করে থাকেন বর্তমানে ২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ড যাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন এবং প্রসেস বা প্রক্রিয়া রয়েছে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সেই প্রসেস এবং প্রক্রিয়াসমূহ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। 



দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি সুন্দর দেশ হচ্ছে থাইল্যান্ড এই দেশের অত্যাধিক প্রাকৃতিক সুন্দর দৃশ্য এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতির জন্য অন্যান্য দেশের তুলনায় বিখ্যাত। সুন্দর স্থাপনা সোনালী বালুকা বেলা এবং স্বচ্ছ নীল জল এবং সবুজে ঘেরা পাহাড়ের মধ্যে অবস্থিত থাইল্যান্ড যা পর্যটকদের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিচিত। 

স্থানীয় বাজারে রঙিন কোন হল প্রাচীন ঐতিহ্যের অপরূপ সৌন্দর্যের মিল বন্ধন এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় থাইল্যান্ড বেশ জনপ্রিয় একটি দেশ। 

তাই আপনি যদি ভ্রমণ পিপাসা হয়ে থাকেন তাহলে থাইল্যান্ডকে পছন্দ করতে পারেন এবং বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে এবং বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ড যাওয়ার উভয় সমূহ আলোচনা করা হলো। 


বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে পর্যটকদের জন্য থাইল্যান্ড যেতে হলে বিমান ভাড়া ভিসা ফি, হোটেল এবং যাতায়াতের খরচ খাদ্য এবং পানীয় খরচ ,পরিবহন খরচ, বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে প্রবেশের ফি, শপিং এবং অন্যান্য খরচ হয়ে থাকে এবং সেই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা হলো। 

বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে বিমান ভাড়া

থাইল্যান্ড এ যাওয়ার জন্য প্রথম খরচ হল বিমান ভাড়া ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ব্যাংককের সুয়ার ভূমি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বা ডনম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আপনাকে যেতে হবে এই এয়ারলাইন্সের ভাড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরির হয়ে থাকে সাধারণত বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককের বিমান ভাড়া ২৫ হাজার টাকা থেকে ৪৫ হাজার টাকার মধ্যে রয়েছে। 


বর্তমানে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্স রয়েছে যেমন বিমান বাংলাদেশ থাই এয়ার ওয়েস এশিয়া এয়ার এবং ম্যান দিল এয়ার ইত্যাদি সাধারণত একটি রিটার্ন টিকিটের খরচ ২৫ হাজার টাকা থেকে 45 হাজার টাকা পর্যন্ত। 

বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ড এ ভিসা ফি কত

বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ড এ ভিসার জন্য বিভিন্ন প্রসেসিং করতে হয় এবং ভিসার ধরন এবং মেয়াদের উপরে বিভিন্ন খরচ নির্ভর করে সাধারণত টুরিস্ট ভিসার ফি চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা হয়ে থাকে। 

হোটেল ও আবাসনের খরচ

থাইল্যান্ডের বিভিন্ন ধরনের হোটেল এবং আবাসিক ব্যবস্থা রয়েছে এবং বিভিন্ন কোয়ালিটির উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের খরচ হয়ে থাকে। 

প্রতিদিনের হোটেল খরচ ১৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা। 

নিউ রেঞ্জের হোটেল খরচ ৩৫০০ থেকে ৭০০০ টাকা 

এবং লাগজারি হোটেল খরচ ১০,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা বা তার বেশিও হতে পারে।

খাদ্য এবং পানীয় খরচ

থাইল্যান্ডে খাদ্য এবং পানি হিসেবে আপনি প্রতিবেলা নরমাল খাবার খেতে পারবেন ২০০ থেকে ৫০০ টাকার ভেতরে। 

এবং থাইল্যান্ডে আপনি যদি লোকাল রেস্টুরেন্টে খেতে চান তাহলে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা খরচ হবে। 

এছাড়াও আপনি যদি ইন্টারন্যাশনাল রেস্টুরেন্টে খেতে চান তাহলে প্রতিবেলায় তিন হাজার থেকে 5000 টাকা খরচ হবে। 

থাইল্যান্ডে পরিবহন খরচ

ট্যাক্সি: প্রতি কিলোমিটারে ২৫ থেকে ৫০ টাকা।
টুকটুক: প্রতি রাইড ১০০ থেকে ৩০০ টাকা।
বাস ও ট্রেন: প্রতিদিনের জন্য ২০০ থেকে ৫০০ টাকা।


পর্যটন এবং বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে প্রবেশ ফি

পর্যটন এবং বিভিন্ন দর্শনের স্থানে আপনি যদি ভ্রমণ করেন বা করেন সেক্ষেত্রে আপনার আলাদা খরচ হবে, এক্ষেত্রে এই খরচটা নির্ভর করবে আপনার ভ্রমণ এবং বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের টিকিট খরচের উপর। 
বুদ্ধ মূর্তি এবং মন্দির: ২০০ থেকে ৫০০ টাকা।
জাতীয় উদ্যান: ৫০০ থেকে ১,০০০ টাকা।
সামুদ্রিক অ্যাক্টিভিটি: স্কুবা ডাইভিং, স্নরকেলিং প্রভৃতি খরচ ৫,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা।

বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ড যেতে কত সময় লাগে

বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডের সরাসরি ফ্লাইট সাধারণত ২ ঘন্টা ২৫ মিনিটের হয়ে থাকে। এছাড়াও তিন ঘন্টার মত মাঝেমধ্যে সময় লাগে। 

আপনি যদি ননস্টপ ফ্লাইটগুলো ব্যবহার করেন, তাহলে দ্রুত ট্রানজিট পাবেন এবং পৌঁছাতে আরও কম সময় লাগবে। এবং আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের ট্রানজিট ব্যবহার করেন তাহলে 8 থেকে 21 ঘন্টা পর্যন্ত আপনার সময় লাগতে পারে। 

এক্ষেত্রে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স লোকেশন ইত্যাদি উপর নির্ভর করে এই সময়ে ওঠানামা করতে পারে। 

ঢাকা থেকে থাইল্যান্ডের বিমান ভাড়া কত টাকা

ঢাকা থেকে থাইল্যান্ডের ফ্লাইট ভাড়া বা বিমান ভাড়া বিভিন্ন সময় স্থান এবং কালভেদে পরিবর্তন হতে পারে মৌসুম বেদে আগাম অগ্রিম টিকিট বুকিং ফ্লাইট এর বিভিন্ন ধরন বা শ্রেণি বা এয়ারলাইন্সের ধরন হিসাবে ভাড়ার তারতম্য হয়ে থাকে। 

সাধারণত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যটনের মৌসুম এই সময় বিমানের টিকিটের দাম সাধারণত বেশি হয়ে থাকে এবং এই সময় পর্যটক বেশি ভ্রমণ করে যার জন্য টিকিট চরমলে বিক্রি হয়ে থাকে। 

সাধারণত টিকিটের বুকিং যদি অগ্রিম করা হয় তাহলে ভাড়া কিছুটা ছাড় পাওয়া যায় বা অফার পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইট ভিজিট করে অগ্রিম টিকিট বুকিং দেওয়া যেতে পারে। 

ফ্লাইটের ধরন এবং বিভিন্ন এয়ারলাইন্স এর ধরন অনুযায়ী ভাড়া বিভিন্ন হয়ে থাকে। 

তবে ঢাকা থেকে থাইল্যান্ডে যাওয়ার জন্য সাধারণত ২৮০০০ টাকা থেকে ৮৮০০০  টাকা পর্যন্ত ভাড়া উঠানামা করে থাকে। 

বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ড কত কিলোমিটার


বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডের দূরত্ব ২২৭৬ কিলোমিটার। 
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post