ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয়? আমাদের দেশে একটি মারাত্মক ব্যাধি। বাংলাদেশ বাংলাদেশের ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করে প্রতিবছর জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে। তাই আমাদের সকলের জানা উচিত ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর পরে কতদিন পর ডেঙ্গু হয়। তাহলে সে সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জেনে নেই।
ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয়?
ডেঙ্গু ভাইরাস এডিস মশার কারণে হয়ে থাকে। সাধারণত ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর তিন থেকে ১৪ দিনের মধ্যে জ্বর আসে। তবে ডেঙ্গু মশা কামড়ালে সবার জ্বর হয় না। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একটু কম তাদের ডেঙ্গু জ্বর বেশি হয়। ডেঙ্গু জ্বরে ১০২ থেকে ১০৪ ফারেনহাইট পর্যন্ত জ্বর হয়ে থাকে। এবং ডেঙ্গুর লক্ষণ দুই থেকে সাত দিন পর্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের যারা জ্বরে আক্রান্ত হন তাদের প্রতি 20 জনের মধ্যে একজনের অবস্থা খুবই ভয়াবহ এবং মারাত্মক আকার ধারণ করে থাকে। এভাবে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় এবং ভয়াবহ আকার ধারণ করে মৃত্যুবরণ করে। বর্তমানে করোনা মহামারীর পরে দ্বিতীয় স্থানে মারাত্মক ব্যাধি হিসেবে ডেঙ্গু রয়েছে।
তবে জ্বর হলেই যে ডেঙ্গু হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই ডেঙ্গুর লক্ষণ সম্পর্কে জানতে হবে।
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ সমূহ কি কি
ডেঙ্গু জ্বর হলে সাধারণত তিন থেকে ১৪ দিনের মধ্যে তার লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে যায়। মাঝেমধ্যে সর্দি জ্বর কিংবা পেট খারাপের মত লক্ষণ প্রকাশ পায়। এবং ডেঙ্গু জ্বর হলে 102 ডিগ্রি থেকে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট পর্যন্ত জ্বর আসে।
ডেঙ্গু রোগের বা ডেঙ্গু জ্বরের সাধারণ লক্ষণসমূহ হচ্ছে
- তীব্র মাথাব্যথা
- চোখের পিছনে ব্যথা হওয়া
- মাংসপেশিতে এবং গিরায় গিরায় ব্যথা হওয়া
- বমি বমি ভাব হওয়া
- প্রচুর পরিমাণে এবং ঘন ঘন বমি হওয়া
- শরীরের গ্রন্থি ফুলে যাওয়া এবং বগলে এবং উস্তিতে এবং গলায় বিচির মত ফোলা ফোলা অনুভব হওয়া
- খাবারে অরুচি দেখা যায
- এবং প্রচুর পরিমাণে পেটে ব্যথা হয়
এ সমস্ত লক্ষণ সমূহ হচ্ছে ডেঙ্গু রোগের সাধারণ লক্ষণ।
ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর পর কতদিন পর্যন্ত জ্বর স্থায়ী হয়
ডেঙ্গু জ্বর আসার পর সাধারণত দুই থেকে সাত দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তবে যাদের অবস্থা একদম ভয়াবহ হয় তারা সেরে উঠতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে। মারাত্মক আকারে ডেঙ্গু লক্ষণসমূহ প্রকাশ পাওয়ার পর চিকিৎসকের কর্ম নিতে হয়।
কখন ডেঙ্গুর মারাত্মক আকার ধারণ করে
সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর আসার সাথে সাথেই আমাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এবং সে ক্ষেত্রে প্রথমে আমাদের নিশ্চিত হওয়া উচিত যে যার আসলে সাধারণ জ্বর কিনা অথবা ডেঙ্গুজ্বর কিনে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে বাসায় বসে ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব।
এবং যদি মারাত্মক এবং জটিল আকার ধারণ করে তখন হাসপাতালে নিয়ে আসা দরকার। তাই আমাদের অবশ্যই জানতে হবে ডেঙ্গু কখন মারাত্মক আকার ধারণ করে।
গর্ভবতী নারীদের জ্বর আসলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে.
এক বছর কিংবা তার কম বয়সী শিশুদের ডেঙ্গু হলে মারাত্মক আকার ধারণ করে।
বৃদ্ধ বা বয়স্ক ব্যক্তিদের ডেঙ্গু হলে মারাত্মক আকার ধারণ করে।
বিশেষ কিছু মরণবাদীরও যেমন ডায়াবেটিস ক্যান্সার হার্ট অ্যাটাক এই জাতীয় রোগের লক্ষণ থাকলে ভারত থাকলে তাদের ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করে।
সাধারণত ডেঙ্গুর জটিলতা দেখা দেওয়া শুরু করে এবং ওই সময় রোগীর লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায় তাই ডেঙ্গু জ্বর হলে আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে এবং কোনরকম জটিলতা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডেঙ্গু হলে বাসায় কিভাবে চিকিৎসা করতে হয়
ডেঙ্গু হলে আমরা বাসায় বসে চিকিৎসা নিতে পারি। এবং ডেঙ্গুর জীবনকে নিষ্ক্রিয় করে দ্রুত ডেঙ্গু সারিয়ে ফেলার মত চিকিৎসা নিতে পারি। তবে এক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত কোন পরীক্ষিত ওষুধ বের হয়নি। তাই আমাদের কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হয়।
- প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার খেতে হবে
- প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে
- পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হবে
- নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করতে হবে
- ডেঙ্গু জ্বর চলাকালীন অবস্থায় কোনভাবেই এন্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না
- প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে হবে এবং ফলমূল খেতে হবে।
আশা করি আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয় এবং ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ এবং ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে আমাদের আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি সংক্রান্ত তথ্য বা আর্টিকেল পেতে আমাদের পোস্টটি ওয়েবসাইট করুন।