পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় আমরা প্রায় এই ব্যথায় ভুগে থাকি। বেশিভাগ শিশুদের দাঁতে আমরা পোকার মতো দেখতে পাই। পোকার মতো যা দেখতে পাই সেগুলো হচ্ছে ক্যাভিটিস। সাধারণত ব্যাকটেরিয়া থেকেই কাবেরী উৎপত্ত। তাই দাঁতে পোকা ও দাঁতে ব্যথা এইসব বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করব।
দাঁতে ব্যাথা ও দাঁতের পোকা আমরা এই সমস্যায় প্রতিটি মানুষ ভুক্তভোগী। বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্ক লোক পর্যন্ত সকল বয়সের সকলেই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকি। একমাত্র দাঁতে পোকা ও দাঁতে ব্যথা এটা কতটা যন্ত্রণাদায়ক সেটা যে বুঝতে পারে।
তবে দাঁতে পোকা ও দাঁতে ব্যাথার জন্য আমরাই অনেকটা দায়ী বলি চলে। কারণ বাচ্চা থেকে শুরু করে সকল বয়সের মানুষ আমরা দাঁতের বিষয়টা ততটা গুরুত্ব দিয়ে থাকি না। যখন আমাদের দাঁ ত আস্তে আস্তে ব্যথা ও পোকায় ধরা পরিণত হয় তখনই আমরা বুঝতে পারি যে রোগ আক্রান্ত হয়েছে।
তাই আজকে আমরা পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। কি কি কারণে আমরা এসব সমস্যায় ভুক্তভোগী হয়ে থাকি, এবং কি করার মাধ্যমে এর থেকে মুক্তি মুক্তি পেতে পারি সেই বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় কি?
পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় গুলো কি কিআলোচনা করা হলো। আগে বলে নেই দাঁতের পোকা বলতে কিছুই নেই। দাঁতে কখনো পোকা হয় না, আমরা আমাদের দাঁতে যে কালো কালো ক্ষত দেখতে পাই সাধারণত ওই ক্ষতটা দেখতে কালো। তাই আমরা ওই কালো ক্ষতকে পোকা হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকে।
আমরা দাঁতে যে কালো কালো দেখতে পাই সেগুলো হল ব্যাকটেরিয়া কাবাডিস দাঁত যখন ব্যাকটেরিয়া ক্যামেডিসে আক্রান্ত হয় তখন তা দেখতে কালো পোকার মতোই দেখায়।
আর এই ব্যাকটেরিয়া ভাইরাসে যখন দাঁত আক্রান্ত হয় তখন দাঁতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আর সেই সমস্যা থেকেই দাঁতে ব্যথা, দাঁতের গোড়ায় পুজ হওয়া, মারি ফুলে ওঠা, দাঁত ব্যথা আরও ইত্যাদি রোগের আক্রান্ত হয়ে থাকে।
তাই আপনি যদি পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর চেষ্টা করেন তাহলে অবশ্যই নিম্নের বিষয়গুলো খেয়াল করবেন।
১ প্রথমত নিয়মিত ব্রাশ করা। রাত্রে ঘুমানোর আগে ও সকালে নির্মিত গ্রাস করতে হবে।
২ মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খাওয়া। এবং খেয়ে থাকলেও ঘুমানোর আগে তা পরিষ্কার করে ঘুমানো।
৩ পান জর্দা না খাওয়া। কারণ অতিরিক্ত হওয়ার ফলে দাঁতের গোড়া ও মারিতে ইনফেকশন হয়। এবংব্যথা হয়ে থাকে।
৪ ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে নিয়মিত ওষুধ সেবন করা ও ওষুধ ব্যবহার করা.
৫ দিনে তিন থেকে পাঁচ বার কুলকুচি করা। কোন কুচি করার মাধ্যমে আপনার দাঁতের গোড়ায় যদি ছোট কোন খাদ্য কণা লেগে থাকে তাহলে তা চির মাধ্যমে বাইরে বের হয়ে আসবে।
দাঁতের ঘোড়ার গর্ত কেন হয় দূর করার উপায়।
১ দাঁতের গর্ত কেন হয় সে বিষয় আলোচনা করা হলো-
শিশু থেকে ছোট বড় সবারই দাঁতের গোড়ায় গর্ত হয়ে থাকে। দাঁতের শক্ত জায়গায় ছোট গর্ত হয় এগুলো কর ডাক্তারের ভাষায়ক্যাভিটিস বলা হয়ে থাকে। এটি ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে তাই প্রতিবার খাওয়ার আগে ও খাবার পরে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা অবশ্যক।
এই দাঁতের ব্যাকটেরিয়া থেকে প্লাক নামক একটি স্তর তৈরি হয়ে থাকে দাঁতে। আমরা খাবার খাওয়ার পর যে খাবারের কণাগুলো দাঁতে লেগে থাকে, এই জমে থাকা খাদ্য কণা দাঁতের ব্যাকটেরিয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। আর শুরুতেই এই ক্যাভিটিস ও দাঁতের গোড়ায় গর্ত দেখার চিকিৎসকের কাছে না গেলে দাঁতের ক্ষয় বাড়তে শুরু করে।
দাঁতের ভেতরে পৌঁছায় যাকে ডেন্টিন বলে থাকা হয়। দাঁতে কেভিটি হয়েছে বুঝতে পারলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। আপনি যদি প্রাথমিক পর্যায়ে ডাক্তারের কাছে বা কোন ডেন্টাল এর কাছে না যান তাহলে আপনি চরম মারাত্মক ভাবে দাঁতের সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে।
২ দাঁতের ঘোড়ার গর্ত দূর করার উপায় বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হল-
১ আপনি কুসুম গরম লবণ পানি দাঁতের সমস্যায় খুব ভালো কাজ করবে। এই লবণ পানি কিছুক্ষণ মুখে নিয়ে আপনি কুলকুচি করবেন। এই কুসুম গরম লবণ পানি দাঁতের ক্যাভিটিস জন্মাতে দেয় না। তাই আপনি যদি ক্যামেরিস থেকে মুক্তি পেতে চান অবশ্যই এই কাজটি করবেন
২ নিম গাছের থাল অনেকে বলে থাকে নিমকাঠি নিম খান অথবা নিম কাঠি দিয়ে যদি আপনি প্রতিদিন ২ থেকে ৩ বার দাঁত মাজেন তাহলে আপনার দাঁতের গোড়া মজবুত করবে ও ব্যাকটেরিয়া কেবেটিস থেকে দূরে রাখবে আপনার দাঁত কে।
৩ ভিটামিন সি যুক্ত লেবু ধ্বংস করতে সাহায্য করে। কাবেরী থেকে যন্ত্রণা হলে সেটি কমিয়ে থাকে লেবু।
৪ মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া যাবেনা। মিষ্টি খাবার দাতের সবথেকে বেশি ক্ষতি করে থাকে।
৫ ক্যালসিয়াম যুক্ত ও ফসফরাস যুক্ত খাবার খেতে হবে।
৬ ফুলো রাইট ক্যাভিটির সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে এবং দাঁতের এনামেল রক্ষা করতে খুব ভালো কাজ করে থাকে। স্বাস্থ্য গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন ফ্লোরাইট টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজলে ক্যাভিটি হয় না।
দাঁতের পোকা ও ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়।
দাঁতের পোকা ও ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় ও পদ্ধতি বিষয় নিম্নে আলোচনা করা হলো।
১ প্রথমে নিয়মিত খাবার পর ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করে ঘুমানো ও সকাল উঠে দাঁত ব্রাশ করা।
২ দুই থেকে তিনটি লবঙ্গ থেতলে সাথে অলিভ অয়েল মিক্স করে আঙ্গুলের মাধ্যমে ভোট কেটে দাঁতের ব্যথা ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দেওয়া।
২ কুসুম গরম পানিতে লবণ ও লবঙ্গ মিক্স করে দিনে দুই থেকে চার বার কুলি করা।
৩ ঘরে যদি পেপসোডেন্ট, মেডিপ্লাস, রেড প্লাস, কোলগেট সহ যদি এই ধরনের সাদা পেস্ট গুলো থেকে থাকে তাহলে আঙুলের মাথায় করে সেগুলো আপনার দাঁতের ক্ষত ও ব্যথায় স্থানে লাগিয়ে দিবেন।
৪ একটা রসুন ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে তা থেকে রস বের করে তাতে ব্যবহার করতে পারেন।
৫ ২ থেকে ৪টি অথবা পাঁচটি লবঙ্গ থেতলে তার সাথে হালকা পরিমাণে লবণ ও সরিষার তেল মিক্স করে পোকা ও ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দিতে পারে।
৬ নিম পাতার ঠাল দিয়ে ক্ষতস্থানে নিয়মিত মেসওয়া ক করলেও দাঁতের পোকা দূর হয় ব্যথা ও দূর হয় ,
প্রিয় পাঠক আজকে আমাদের পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় যেসব বিষয়গুলো আলোচনা করলাম আশা করি সেগুলো অবশ্যই আপনাদের কাজে লাগবে।
Code: Pusti