ইসকন কি || কোন কোন দেশে ইসকন নিষিদ্ধ

বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি বিষয় নিয়ে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে সেটি হচ্ছে ইসকন কি। সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ইসকনের নামে নানা ধরনের অভিযোগ তৈরি হয়েছে এবং জনগণের প্রশ্ন হয়ে উঠেছে ইসকন কি এবং তাদের উদ্দেশ্য কি এবং তাদের কাজের সংবিধান কি কি। 

ইসকন কি || কোন কোন দেশে ইসকন নিষিদ্ধ


সাধারণ মানুষ ইসকন কে বয়কটের ডাক দিয়েছে এবং তাদের মনে প্রশ্ন ইসকন কি ধরনের সংগঠন এবং তাদের কাজ কি ?


ইসকন মূলত ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনার একটি সংগঠন এবং এই সংগঠনটি মন্দির নির্মাণের কাজ করে থাকে এবং হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নামেও পরিচিত। 

ইসকনের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে মন্দির নির্মাণ ধর্মীয় উপদেশ দেয়া এবং তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ গীতার প্রচার-প্রচারণা চালানো। 


ইসকন কি এবং তাদের মূল কাজ কি

মন্দির রক্ষণাবেক্ষণ এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলনের পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চার অংশ হিসেবে যোগব্যায়াম ও শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম করে থাকে সংগঠনটি। ইসকন সংগঠনটি ভারতে ব্যাপকভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে কিন্তু ইসকনের জন্ম ভারতীয় নয় আমেরিকা। ১৯৬৬ সালের যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে ইসকন সংগঠনটি গড়ে ওঠে। 



ইসকন এর প্রতিষ্ঠাতার নাম A. C. Bhaktivedanta Swami Prabhupada. তবে তিনি ভারতের কোন হিন্দু শিক্ষালয় বিদ্যালয় করেননি।  তিনি পড়ালেখা করেছেন খ্রিস্টানদের চার্জে। তাই ধারণা করা যায় ইসকন একটি ইহুদিদের সংগঠন এবং এটি খ্রিস্টানরা পরিচালনা করে আসছে এবং ইজরাইলের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গোপনে ইসকন কাজ করে যাচ্ছে। 


বাংলাদেশে ইসকনের কার্যক্রম


বাংলাদেশের ইসকন স্বাধীনভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করলেও তারা গোপনে নানা ধরনের তৎপরতা চালায় এবং ইসলামবিরোধী কার্যক্রম চালায় তারা বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা জমি দখল তাদের কর্মীদেরকে যৌন নিপীড়নসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে থাকে। যার জন্য নানা ধরণের অপঘাতে পরিস্থিরত্বের ঘটনা ঘটে। এমনকি সনাতনরা তাদের হিন্দুদের জমি দখল করে অবৈধভাবে নিয়ে যাচ্ছে। 



কোন কোন দেশে ইসকন নিষিদ্ধ

যেহেতু এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন তাই বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশেও ইসকনকে নিষিদ্ধ করেছে যেমন ইন্দোনেশিয়ায় ইসকন সম্পন্ন রূপে নিষিদ্ধ। এছাড়াও আরো বহুৎ মুসলিম দেশ এবং তাজাকিস্তান উদ্ভিদ-খ্রিস্টান কাজাকিস্তান এবং তুর্কীদের শহরেও ইসকনের কার্যক্রমে উপর বিশেষভাবে নজরদারি করা হয় যাতে কোন ধরনের কোন সন্দেহজনক কার্যক্রম দেখলে তাদের উপর কঠোর ব্যবস্থা নেয়া যায়। 


বর্তমানে ঢাকার স্বামীবাগ মসজিদ ইসকনের কেন্দ্রবিন্দু বা মূল অফিস হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এই অফিসের বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে তাই বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ ইস্কনকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে আপনার মতামত কি এবং আপনি ইসকনের নিষিদ্ধের ব্যাপারে একমত কিনে সেই ব্যাপারে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানান। 


إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم