টাচস্ক্রিন মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন

আসসালামু আলাইকুম, মোবাইল ফোন আমরা সকালে ইউজ করি, কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা ট্রাস্টে স্ক্রিন মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন, কত সালে আবিষ্কার করা হয় এবং টাচস্ক্রিন ফোন কত সালে বাংলাদেশে ব্যবহার করা শুরু হয়। 



যদিও বিষয়টি তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ না তবে অবশ্যই আমাদের সচেতন নাগরিক হিসেবে এবং আমরা আমাদের মুঠোফোন যেহেতু ব্যবহার করছি, তাই অবশ্যই আমাদের জানা উচিত, টাচ স্ক্রিন মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন। 


টাচস্ক্রিন মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন

অন্যান্য যে সমস্ত বড় আবিষ্কার রয়েছে তার মধ্যে টাচস্ক্রিন মোবাইল ফোন আবিষ্কার অন্যতম। তাই টাচস্ক্রিন মোবাইল ফোন আবিষ্কার কোন একক ব্যক্তি করেননি বরং এটি বিভিন্ন বিজ্ঞানের বিভিন্ন প্রচেষ্টার সমন্বয়ের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। 

সর্বপ্রথম টাচ স্ক্রিন এর উল্লেখযোগ্য একটি বিশেষ বর্ণনা তৈরি করেছিলেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী প্রকৌশলী এলিয়ট। তবে তিনি ট্রাস্কিন মোবাইল ফোনের জন্য এই প্রস্তাব তৈরি করেননি বরং তৈরি করেছিলেন এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য টাচস্ক্রিন প্রযুক্তির একটা বিশাল বর্ণনা তৈরি করেছিলেন। এলিয়ট এই বর্ণনা তৈরি করেছিলেন 60 এর দশকে। 


১৯৭০ সালে টাচস্ক্রিন মোবাইল ফোন আবিষ্কারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সাল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৭০ সালে ডক্টর শেম হ্যাস্ট প্রথম টাচ স্কিনের একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেন এবং বিশ্বে একটি তোলপাড় তৈরি করে ফেলেন। এবং প্রথম যখন টাচ স্ক্রিন এই ডিভাইসটি তৈরি করেছিলেন তখন এটি অত্যন্ত মোটা এবং অস্বস্ত ডিসপ্লে ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি এটিকে আরো নিখুঁতভাবে তৈরি করেন এবং তথ্য প্রযুক্তিকে একটি উদ্যান পঠন তৈরি করে ফেলেন। 


এর পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রযুক্তি কোম্পানি আইবিএম সর্বপ্রথম টাচ স্কিন ডিভাইস বা মোবাইল ফোন আবিষ্কার করেন। আইবিএম প্রতিষ্ঠানের সাইমন কমিউনিকেশন প্রযুক্তি প্রথম টাচস্ক্রিন মোবাইল ফোন আবিষ্কার করেন এবং এটি যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। 


ডিভাইসটিতে অত্যাধুনিক বৈশিষ্ট্য ছিল যেমন ইমেইল ক্যালেন্ডার মিটিং সহ বিভিন্ন ধরনের সময়সূচি সংরক্ষণ করা যেত এছাড়া কেউ কেউ এটিকে আইবিএম সাইমন কে প্রথম স্মার্টফোন হিসেবে ও অফিসিয়াল বা আনঅফিসিয়াল হিসেবেও বিবেচনা করে থাকেন। 


ঠিক একই সময় অ্যাপেল কোম্পানি তাদের ব্যক্তিগত ডিজিটাল সরকারের নিজস্ব সংস্করণ তৈরি করেছে যার নাম ছিল নিউটন মেসেজ প্যাড ১০০ এটি একটি টাচ স্কিনের সাথেও কাজ করেছিল এবং মোবাইল ফোনের টাচস্ক্রিন প্রযুক্তি বাস্তবায়নের জন্য প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে অ্যাপেল কোম্পানি এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিল। 


কে কেউ মনে করেন টাচস্ক্রিন মোবাইল ফোন আবিষ্কার করেছিলেন ইস্টিম জব তিনি একজন তথ্য প্রযুক্তি ও উপদেষ্টা এবং উদ্ভাবক এর সাথে ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে আপেল কম্পিউটারের সাথে তিনি এই প্রযুক্তি আবিষ্কার করেন। 


স্মার্ট ফোন কত সালে আবিষ্কার হয়

স্মার্ট ফোন হলো আমাদের হাতের মুঠোর একটি কম্পিউটার যন্ত্র বিশেষ আমাদের হাতের মাধ্যমে একটি যন্ত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার যে অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে তাকে নিয়ন্ত্রণ করার যে প্রসেস প্রক্রিয়া সেটি হচ্ছে স্মার্টফোন। 



যেহেতু এটি স্মার্টলি সবকিছু হ্যান্ডেল করতে পারে তাই একে স্মার্টফোন বলা হয়ে থাকে এবং বর্তমানে স্মার্টফোন দিনে দিনে আরো উন্নত স্মার্টনেস ফিউচার নিয়ে তৈরি হচ্ছে যা আধুনিক বিশ্বে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে এবং আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। 


প্রথমদিকে স্মার্ট ফোনগুলোর তেমন একটা ভালো ফিউচার ছিল না তবে আধুনিক বিশ্বে বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যাপক সাড়া লেগেছে ২০০০ সালের ব্ল্যাকবেরি nokia champion platform এবং উইন্ডোজ ফোনগুলো বিশেষভাবে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে এবং ২০০৭ সালে আইফোন ফ্রম মুক্তির পর থেকে স্মার্ট ফোনগুলো আরো অত্যাধুনিক মাল্টিটাস এবং বিভিন্ন ধরনের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরিতে ব্যাপকভাবে ভূমিকা রেখেছে তাই আমরা বলতে পারি স্মার্টফোনের উদ্ভাবন হয়েছে দুই হাজার সাল থেকে ২০০৭ সালের ভিতর। 


স্মার্টফোনের তৈরি করা হয়েছিল আইবিএম সাইম্যান তিনি যে ধারণা দিয়েছিলেন সেটা থেকে স্মার্টফোন তৈরি করা হয়েছিল এবং আপেল কোম্পানি ২০০৭ সালে সর্বপ্রথম স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ে তবে স্মার্টফোনের বিকাশ শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালে। 



বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোনের নাম কি

বিশ্বের প্রথম স্মার্ট ফোন ছিল সাইমন আইবিএম, এই স্মার্টফোনটি আপেল কোম্পানি চালু করেছিল ২০০৭ সালে। যা বর্তমানে আধুনিক মোবাইল স্মার্টফোনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। 

বর্তমানে সারা বিশ্বে বিভিন্ন কোম্পানির স্মার্টফোন পাওয়া যাচ্ছে এবং তাই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ও স্মার্টফোন পাওয়া যাচ্ছে। স্বনামধন্য কিছু স্মার্টফোন কোম্পানির নাম হচ্ছে samsung ,শাওমি, oppo, realme ,vivo ,apple iphone সহ অন্যান্য আরো চায়না কোম্পানি। 
إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم