আবেগ নিয়ন্ত্রণ ও মানসিক চাপ মোকাবেলার কৌশল - অধিকাংশ সময় আমরা আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না বা মানসিক চাপ মোকাবেলা করার বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে আমরা জানি না যার জন্য আমাদের বাস্তবিক জীবনে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাই আজকের এই আর্টিকেলে আবেগ নিয়ন্ত্রণ এবং মানসিক তাপ মোকাবেলার যে সমস্ত কৌশল এবং নিয়ন্ত্রণ করার যে প্রক্রিয়া রয়েছে সে সম্পর্কে এই আর্টিকেলে আলোচনা করার চেষ্টা করব।
অতিরিক্ত রাগ বা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না এরকম আবেগ যদি থাকে আমাদের শারীরিক এবং মানসিক অনেক ধরনের ক্ষতি সম্মুখীন হতে হয় যার ফলে শারীরিক এবং মানসিকভাবে অসুস্থ হতে হয় এবং মানসিক উত্তেজনা এবং অতিরিক্ত আবেগ নিয়ন্ত্রণ রাখা আমাদের জন্য তখন অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে পড়ে।
এই কথার অর্থ হচ্ছে আমরা যদি আমাদের আবেগ এবং মানসিক চাপ যদি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি, তখন বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এবং আমাদেরকে বিভিন্ন ঝামেলা পোহাতে হয়। তাই আমাদেরকে মাঝেমধ্যে আবেগ নিয়ন্ত্রণ এবং মানসিক চাপ মোকাবেলার কৌশল আয়ত্ত করা দরকার হয়।
আবেগ নিয়ন্ত্রণ ও মানসিক চাপ মোকাবেলার কৌশল
আমাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ যখন বাইরে চলে যায় তখন আমরা যে কোন কাজ ভুল করে ফেলি সুষ্ঠুভাবে কোন কাজ আমরা করতে পারিনা। এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় ফলে প্রতি ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন ধরনের বিপদ এবং সমস্যার সম্মুখীন হই বিশেষ করে উত্তেজনা এবং অতিরিক্ত আবেগে কোন ধরনের সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয় ধৈর্য দাঁড়ায় প্রকৃত ঈমানদার ব্যক্তির কাজ।
এই সমস্যার সমাধান যদি আপনি পেতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়।
আবেগ নিয়ন্ত্রণ এবং মানসিক চাপ মোকাবেলার জন্য কোরআন তেলাওয়াত করা
অনেক সময় আমরা যখন নামাজ থেকে দূরে থাকি, ভালো কাজ থেকে দূরে থাকি, সারাক্ষণ পাপ কাজে লিপ্ত থাকে তখন আমাদের মন অত্যন্ত সংকীর্ণ হয়ে যায়। তাই মাঝেমধ্যে আপনি যদি কোরআন তেলাওয়াত করেন কোরআনের অর্থ বুঝে বুঝে পড়ার চেষ্টা করেন তাহলে আপনার মন ভালো হয়ে যাবে, মানসিক প্রশান্তি পাবে, আপনার চিন্তা দূর হয়ে যাবে, এবং মানসিক চাপ আপনি মোকাবেলা করতে পারবেন।
এক কথায় দুনিয়াবী চিন্তা আপনাকে যখন ঘিরে ফেলবে তখন আপনি কোরআন তেলাওয়াত করবেন, তাহলে মানসিক চাপ এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
বেশি বেশি জিকির করা
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনি যদি সারাক্ষণ মনে মনে জিকির করতে থাকেন তাহলে, আপনার মানসিক চাপ এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ হবে। পাশাপাশি আপনি নেকি পেতে থাকবেন।
মানসিক চাপ সৃষ্টি হয় এমন কাজ এড়িয়ে চলা
উত্তেজিত হওয়ার ফলে পারিপার্শ্বিক অবস্থার বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয় যা দৈনন্দিন জীবনে হুমকির সম্মুখীন হতে হয় তাই মানসিক চাপ সৃষ্টি হয় এমন ধরনের কাজ থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে।
যেকোনো বিষয় আগে বুঝে শুনে তারপরে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন বিষয় হুট করে শুনে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না বা উত্তেজিত হওয়া যাবে না আপনার মানসিক চাপ বৃদ্ধি হতে পারে এমন পারিবারিক অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে যেমন আপনার চারপাশ বা ঘর বিছানা আঙ্গিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং অনুপ্রেরণাদায়ক কোরআনের বা ইসলামিক ছবি লেখা বা হাদিস ইত্যাদি আপনার ঘরে আপনার চারপাশে ছড়িয়ে রাখতে হবে।
সব সময় আল্লাহ তায়ালার প্রতি সন্তুষ্ট থাকতে হবে এবং নিয়তি তার হাতের উপর ছেড়ে দিতে হবে কেননা মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য যা করবেন তা আমাদের অবশ্যই মঙ্গলের জন্যই করবেন তাই কোন কিছুতে হতাশাগ্রস্ত না হওয়া।
শরীর সুস্থ এবং ফিট রাখার চেষ্টা করা
শরীর সবসময় সুস্থ এবং সতেজ রাখার চেষ্টা করতে হবে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে সঠিক পরিমাণে খাবার খেতে হবে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এক কথায় শরীর সুস্থ রাখার জন্য আমাদের যে সমস্ত নিয়মকানুন মেনে চলা দরকার সেগুলো মেনে চলতে হবে।
প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন করে রাখা
আমরা আমাদের অফিস কিংবা ঘরের যে সমস্ত কাজ আমাদের প্রতিনিয়ত করতে হয় সেগুলো প্রতিনিয়ত করে রাখা কেননা অনেক দিনের কাজ যদি জমা থাকে তখন আপনি যখন সেই কাজগুলো করবেন তখন এলোমেলো মনে হবে এবং মানসিক চাপ বেড়ে যাবে এছাড়াও কাজের মধ্যে তৃপ্তি পাবেন না।
কিছু অপ্রত্যাশিত বিষয় মেনে নিতে হবে তাহলে আপনার মানসিক চাপ এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ থাকবে।